পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আসন্ন ঈদ-উল-আযহাকে সামনে রেখে কোরবানির পশু কেনাবেচায় জনসমাগম ও ভোগান্তি কমাতে বিগত দু’বছরের ন্যায় এবারও ডিজিটাল হার্ট চালু করা হয়েছে। গতকাল রোববার এটুআই-এর একশপ ও ই-ক্যাবের আয়োজনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় ডিজিটাল হাটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। প্ল্যাটফর্মের উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক।
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন বলেন, এবার ১ কোটি ২১ লাখ ২৪ হাজার ৩৮৯টি পশু মজুদ রয়েছে। ফলে কোরবানির জন্য কোনরকম সংশয়, সংকট বা আশঙ্কার কারণ নেই। কোরবানির হাটে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা হবে। রোগগ্রস্ত পশু হাটে বিক্রি করতে দেয়া হবে না। ক্রেতা-বিক্রেতা কেউ হয়রানির শিকার হবেন না, ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পর্যাপ্ত সদস্য নিয়োগ করা হবে।
জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেন, বর্তমানে ইউনিয়ন পর্যায়ে ডিজিটাল নেটওয়ার্ক বিস্তৃত হয়েছে। লেনদেনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে হয়রানি ও দুর্নীতিমুক্ত করতে ডিজিটাল ইকোসিস্টেম তৈরি করার জন্য চারটি ডিজিটাল প্রযুক্তি উন্নয়ন করা হয়েছে। এসব প্রযুক্তিগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে ই-কমার্স খাতে শৃঙ্খলা ও আস্থা আরও বাড়বে। দেশব্যাপী গত দু’বছরের ডিজিটাল হাট যে সাড়া ফেলেছে তারই ধারাবাহিকতায় এবছর সরকারি প্ল্যাটফর্মের আওতায় আনা হয়েছে এবং একে বছরব্যাপী পশু ক্রয় বিক্রয়ের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে তৈরি করা হবে।
আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এএনএম জিয়াউল আলম বলেন, ডিজিটাল হাটে পশু বিক্রির যে চিত্র ফুটে উঠেছে তাতে সরকারের ডিজিটাল রেডিনেস যে উন্নত হয়েছে এটা তার প্রমাণ করে। শুধু করোনার কারণে নয় আমাদের দেশের মানুষের ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রতি যে ঝোঁক আছে সেটাই প্রমাণ করে ডিজিটাল হাটের ক্ষেত্রে ক্রেতা ও বিক্রেতার সাড়া।
এটুআইয়ের প্রকল্প পরিচালক দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ন কবীর বলেন, এবার ডিজিটাল হাটে দুটো নতুন সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে এর মধ্যে রয়েছে গরুর ওজন মাপার ডিজিটাল ক্যালকুলেটর এবং পূর্বাচলে গরু রাখার জন্য একটি জায়গাও রাখা হয়েছে। এছাড়া প্ল্যাটফর্মে যারা পশু বিক্রি করবে তাদেরকে আয়োজকদের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।
ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সার বলেন, ২০২০ এবং ২১ সালে ডিজিটাল হাটের সফল বাস্তবায়ন করেছে। ২০ সালে ২৭ হাজার এবং ২১ সালে ৩ লাখ ৮৭ হাজার পশু বিক্রি করে মাইলফলক সৃষ্টি করেছে ডিজিটাল হাট।
চলতি বছর ডিজিটাল হাটে কেন্দ্রীয় হাটের সাথে জেলা উপজেলা পর্যায়ের হাটগুলোকে যুক্ত করা হয়েছে। দুইভাবে ক্রেতারা পশু কিনতে পারবেন। প্রথম বিক্রেতার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে পশু ক্রয় করতে পারবেন আবার চাইলে এসক্রো’র মাধ্যমেও ক্রয় করতে পারবেন। ঢাকার ক্রেতাদের জন্য রয়েছে স্লটারিং সুবিধা।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।