পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পবিত্র ঈদুল আজহা যতই এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে কোরবানির পশু বিক্রি। করোনা মহামারির ভয়াবহ এই পরিস্থিতির মধ্যে এবার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পশুই বিক্রি হচ্ছে অনলাইনে। গত বছর যেখানে কোরবানির আগের দিন পর্যন্ত মাত্র ৭০ হাজার পশু বিক্রি হয়েছিল এই মাধ্যমে এবার ১৬ দিনে তা ছাড়িয়ে গেছে তিন লাখ। ১৬তম দিন পর্যন্ত ডিজিটাল হাটে তিন লাখ ১৮ হাজার ৫০৭টি পশু বিক্রি হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য প্রায় ২২শ’ ৬ কোটি ৬২ লাখ ৪৩ হাজার ৫৬৮ টাকা। এর মধ্যে গতকাল রোববারের তথ্য অনুয়ায়ী, একদিনেই প্রায় দুইশ’ কোটি টাকার গরু/মহিষ ও ছাগল/ভেড়া অনলাইন হাটে বিক্রি হয়েছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে এক হাজার ৭৬৮টি অনলাইন হাট রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি উদ্যোগে ৬০২টি এবং বাকীগুলো ব্যক্তিগত উদ্যোগে পশু বিক্রি করছে। এসব হাটে ১৬তম দিনে ২৮ হাজার ৬৮৮টি গরু/মহিষ ও ছাগল/ ভেড়া বিক্রি হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ১৯৫ কোটি ৭৮ লাখ ৫৩ হাজার ৯৭০ টাকা। যা এবারের অনলাইন হাটে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ বিক্রি। সব মিলিয়ে মোট ৩ লাখ ১৮ হাজার ৫০৭ টি গরু/মহিষ ও ছাগল/ভেড়া বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৯১০টি গরু/মহিষ এবং ৭৩ হাজার ৫৯৭টি ছাগল/ভেড়া।
অনলাইনে সবচেয়ে বেশি পশু বিক্রি হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগে। এই বিভাগে এক লাখ ২৪ হাজার ৪৭টি গরু/মহিষ ও ২৫ হাজার ২৩৮টি ছাগল/ভেড়া বিক্রি হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রংপুর বিভাগ। এই গরু/মহিষ বিক্রি হয়েছে ৩১ হাজার ৭৭৪টি ও ছাগল/ভেড়া ১৭ হাজার ১৪টি। তৃতীয় রাজশাহী বিভাগে গরু/মহিষ ২৮ হাজার ২৫৫টি ও ছাগল/ভেড়া ১৮ হাজার ৫৩টি। চতুর্থ স্থানে ঢাকা বিভাগ। এই বিভাগে গরু/মহিষ বিক্রি হয়েছে ৪২ হাজার ৫১৪টি এবং ছাগল/ভেড়া ৩ হাজার ৭০৫টি। অনলাইনে পশু বিক্রিতে সবচেয়ে পিছিয়ে আছে ময়মনসিংহ বিভাগ। এই বিভাগে অনলাইন হাটে মাত্র এক হাজার ৮৩৯টি গরু/মহিষ ও ১১৭টি ছাগল/ভেড়া বিক্রি হয়েছে। আগামী দু’একদিন বিক্রির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (খামার) জিনাত সুলতানা। তিনি বলেন, গত বছর ৯৪ লাখ ৫০ হাজারের মতো পশু কোরবানি হয়েছে। তার মধ্যে অনলাইনে কোরবানির পশু বিক্রি হয়েছে প্রায় ৭০ হাজার। এবার এখন পর্যন্ত তিন লাখের বেশি বিক্রি হয়ে গেছে। গতবারের চেয়ে এবার করোনা পরিস্থিতি খারাপ। তাই অনলাইনে কোরবানির পশু বিক্রির সম্ভাবনাও বেশি।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ি, গত ২ জুলাই শুরু হয়েছে অনলাইন হাট। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অধীনে ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ ডেইরী ফার্ম এসোসিয়েশন ঢাকায় ডিজিটাল হাট বাস্তবায়ন করছে। আর গত মঙ্গলবার সবগুলো হাটকে একসাথে করে ফরমরঃধষযধধঃ.হবঃ নামে অনলাইন প্ল্যাটফর্মের উদ্বোধন করা হয়। এতে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলার ১ হাজার ৮৪৩ টি অনলাইন শপের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ের ২৪১টি হাট একটি প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছে।
জানা যায়, চলতি বছর কোরবানিযোগ্য মোট গবাদিপশুর সংখ্যা ১ কোটি ১৯ লাখ। তার মধ্যে গরু-মহিষ ৪৫ লাখ ৪৭ হাজার, ছাগল-ভেড়া ৭৩ লাখ ৬৫ হাজার এবং অন্যান্য ৪ হাজার ৭৬৫টি। কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর মধ্যে গৃহপালিত গবাদিপশুর সংখ্যা ৫৬ লাখ ৮০ হাজার ৪৫২টি। খামারে পালন ৬২ লাখ ৩৬ হাজার। এসব কোরবানিযোগ্য পশু উৎপাদনের খামারির সংখ্যা ৬ লাখ ৯৮ হাজার। কোরবানির পশু বিক্রির ক্ষেত্রে এবার ২৫ শতাংশ অনলাইনে বিক্রির টার্গেট নির্ধারণ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (সম্প্রসারণ) ডা. দেবাশীষ দাশ বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে জনসমাগম এড়াতে অনলাইনে কোরবানির পশু কেনাকাটার ওপর জোর দেয়া হয়েছে। মোট পশুর ২৫ শতাংশ ডিজিটাল মার্কেটপ্লেস থেকে বিক্রির লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।