পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ডিজিটাল হাটে এক লাখ গরু বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। এর জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও সম্পন্ন করা হয়েছে। গতকাল অনুষ্ঠিত ‘ডিএনসিসি ডিজিটাল হাট’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গত বছর ডিজিটাল গরুর হাটে প্রায় ২৭ হাজার গরু বিক্রি হয়েছিল। দ্বিতীয় বছর এই আয়োজনে গরু বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে এক লাখ। এক লাখ গরু যদি আমরা কোরবানির হাটে বিক্রি করতে পারি তাহলে পাঁচ লাখ মানুষকে গরুর হাটে যাওয়া থেকে বিরত রাখতে পারবো। এতে এই মানুষগুলো করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে পারবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নাগরিকেরাও ডিজিটাল হাট থেকে গরু কিনতে পারবেন জানিয়ে ডিএনসিসির মেয়র বলেন, শুধু ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুরের মানুষেরাও এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে গরু কিনতে পারবেন।
উত্তরের মেয়র আরও বলেন, গতবার শুরু করার পর অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে। গরু কেনার পর অনেকে অসুবিধায় পড়েছেন বলে অভিযোগ এসেছে। এই জন্য এবার বাংলাদেশ ব্যাংক অনলাইনে নিরাপদ লেনদেনের প্লাটফর্ম এসক্রো সার্ভিসের মাধ্যমে গ্রাহকদের সুরক্ষা দেবে। এই পদ্ধতিতে গরু কেনার টাকা জমা হবে বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে। এরপর গ্রাহক নিশ্চিত করলে টাকা পাবে বিক্রেতা।
ভার্চ্যুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ সময় আরও যুক্ত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রমুখ। এতে সভাপতিত্ব করেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, সরকারী সেবাগুলো দিনে দিনে আধুনিক হচ্ছে এবং সেটির সুফল মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে। করোনা মহামারী থেকে সুরক্ষা পেতে মানুষ বড় ধরনের একটা সহযোগিতা পাবে অনলাইনে পশু ক্রয়ের মাধ্যমে। প্রযুক্তির সুবিধায় সাধারণ মানুষের দৈনিন্দন জীবনকে বদলে দেয়ার মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে। মন্ত্রী ১ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকা দামের একটি গরু ক্রয়ের মাধ্যমে ডিজিটাল হাটের উদ্বোধন ঘোষনা করেন।
ডিএনসিসির তথ্য বলছে, গতকাল থেকে অনলাইনে শুরু হয়েছে কোরবানির পশুর ডিজিটাল হাট। ডিজিটালহাট ডট নেট–এই ঠিকানায় গিয়ে পছন্দের কোরবানির পশু কিনতে পারবেন ক্রেতারা। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এবং বাংলাদেশ ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) যৌথ উদ্যোগে এই হাট বসছে।
এবার ই-ক্যাব এবং বিডিএফএ অনুমোদিত সদস্যের প্রতিষ্ঠানই কেবল পশুর ডিজিটাল হাটে অংশ নিতে পারবে। জেলা প্রশাসকদের অনুমোদিত বিক্রেতারাও তাদের পশু বিক্রি করতে পারবেন। তবে প্রান্তিক চাষিরা এবার তাদের পশু ডিজিটাল হাটে বিক্রি করতে পারবেন না।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ডিজিটাল কোরবানি পশুর হাটে পশু ক্রয়-বিক্রয় ও সøটারিং সেবা সংক্রান্ত গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে এবং সেই গাইডলাইন অনুসরণ করেই ডিজিটাল পশুর হাটের বেচাকেনা হবে বলে জানিয়েছে ই-ক্যাব। সংস্থাটির জেনারেল সেক্রেটারী মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, আমরা কোরবানীর পশুর স্পর্শকাতরতা এবং জনসাধারণের ইচ্ছাকে গুরুত্ব দিচ্ছি। এখানে দেখানো পশুগুলো ডিজিটাল স্কেলে ওজন দেয়া এবং ক্রেতারা ন্যায্যমূল্যে পশু পাবেন। আমরা ৬৪ জেলা প্লাটফর্মগুলো সরকারের সহযোগিতা পেলে এর সাথে যুক্ত করতে চাই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।