পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ভয়াবহভাবে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। দেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে কয়েকগুণ। এমন পরিস্থিতিতে দেশে পবিত্র ঈদ-উল-আযহার কোরবানির পশু বিক্রি শুরু হয়। পশু বেচাকেনাতে হাটে বিপুল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণ করা যায় এজন্য এবার অনলাইন হাটকেই বেশি গুরুত্ব দেয় সরকার। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও এই হাটে কেনাকাটাকেই উৎসাহিত করেছেন। এজন্য সরকারও জেলা-উপজেলার ১ হাজার ৮৪৩ টি অনলাইন শপের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ের ২৪১টি হাট একটি প্লাটফর্মে যুক্ত করে।
১৯ দিনে এবার এই হাটে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৫৭৯টি কোরবানির পশু বিক্রি হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য দুই হাজার ৭৩৫ কোটি ১১ লাখ ১৫ হাজার ৬৭৮ টাকা। গতবছরের তুলনায় এবার সাড়ে ৫ গুণ বেশি পশু অনলাইনে বিক্রি হয়েছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত ২ জুলাই শুরু হয়েছে অনলাইন হাট। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অধীনে ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ ডেইরী ফার্ম এসোসিয়েশন ঢাকায় ডিজিটাল হাট বাস্তবায়ন করছে। আর গত ১২ জুলাই সবগুলো হাটকে একসাথে করে ফরমরঃধষযধধঃ.হবঃ নামে অনলাইন প্ল্যাটফর্মের উদ্বোধন করা হয়। তবে এর বাইরেও অনেকে ব্যক্তি পর্যায়ে অনলাইনে পশু বিক্রি করছেন। অনেক কৃষক ব্যক্তি উদ্যোগে, আবার কেউ কেউ কয়েকজন মিলে একেকটি হাটের আয়োজন করেছেন। খামারিদেরও রয়েছে পৃথক পৃথক অনলাইন পশুর হাট।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে থাকা এক হাজার ৭৬৮টি হাটে এবার সর্বমোট ১৮ লাখ ১২ হাজার ২০২টি পশু বিক্রির জন্য তথ্য ও ছবি আপলোড করা হয়। এর মধ্যে ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৮৪০টি গরু/মহিষ ও ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৩৬২টি ছাগল/ভেড়া। এসব পশুর মধ্যে বিক্রি হয়েছে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৫৭৯টি। যার মধ্যে ২ লাখ ৯৬ হাজার ৭১০টি গরু/মহিষ ও ৯০ হাজার ৮৬৯টি ছাগল/ভেড়া।
এই মাধ্যমে সবেচেয়ে বেশি সংখ্যক পশু বিক্রি হয়েছে ১৯ জুলাই। এই দিন ৩৮ হাজার ১৫১টি পশু বিক্রি হয়। যার আর্থিক মূল্য ৩১১ কোটি ১ লাখ ৭৯ হাজার ৪২৪ টাকা।
বিক্রির দিক দিয়ে শীর্ষে রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ। এই বিভাগে অনলাইন মাধ্যমে বিক্রি হয়েছে এক লাখ ৩৩ হাজার ৪০৬টি গরু/মহিষ ও ২৫ হাজার ৮০৫টি ছাগল/ভেড়া। দ্বিতীয় স্থানে রংপুর বিভাগ। এই বিভাগে ৪১ হাজার ৯৯০টি গরু/মহিষ ও ২৫ হাজার ৫৯২টি ছাগল/ভেড়া বিক্রি হয়েছে। ঢাকা বিভাগে গরু/মহিষ বিক্রি হয়েছে ৫৮ হাজার ২৪৮টি ও ছাগল/ভেড়া ৪ হাজার ৭৯৪টি। চতুর্থ স্থানে রাজশাহী বিভাগ। এই বিভাগে অনলাইনে ৩৬ হাজার ৫৫৫ গরু/মহিষ ও ২২ হাজার ৩৯৫টি ছাগল/ভেড়া বিক্রি হয়েছে। অনলাইনে কোরবানির পশু বিক্রিতে সবচেয়ে পিছিয়ে আছে ময়মনসিংহ বিভাগ। এই বিভাগে মাত্র ২ হাজার ২৭৪টি গরু/মহিষ ও ১৫৩টি ছাগল/ভেড়া অনলাইন হাটে বিক্রি হয়েছে।
জানা যায়, চলতি বছর কোরবানিযোগ্য মোট গবাদিপশুর সংখ্যা ১ কোটি ১৯ লাখ। তার মধ্যে গরু-মহিষ ৪৫ লাখ ৪৭ হাজার, ছাগল-ভেড়া ৭৩ লাখ ৬৫ হাজার এবং অন্যান্য ৪ হাজার ৭৬৫টি। কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর মধ্যে গৃহপালিত গবাদিপশুর সংখ্যা ৫৬ লাখ ৮০ হাজার ৪৫২টি। খামারে পালন ৬২ লাখ ৩৬ হাজার। এসব কোরবানিযোগ্য পশু উৎপাদনের খামারির সংখ্যা ৬ লাখ ৯৮ হাজার। কোরবানির পশু বিক্রির ক্ষেত্রে এবার ২৫ শতাংশ অনলাইনে বিক্রির টার্গেট নির্ধারণ করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।