Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঈশ্বরদীতে বন্দুক যুদ্ধে চার ডাকাত নিহত

গুলিবিদ্ধ ৪ ডাকাত গ্রেফতার ॥ ৩টি বিদেশী পিস্তল ও দুটি ট্রাক উদ্ধার

ঈশ্বরদী (পাবনা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৬ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম


ঈশ্বরদীতে গভীর রাতে ট্রাক ভিড়িয়ে চাউল ডাকাতি করার সময় র‌্যাবের সাথে সরাসরি বন্দুক যুদ্ধে চার ডাকাত নিহত ও ৪ ডাকাত গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সে সময় গুলিবিদ্ধ আহত ৪ ডাকাতকে গ্রেফতার, ৩টি বিদেশী পিস্তল, ৮ রাউন্ড গুলি, ডাকাতি করার বিভিন্ন সরঞ্জাম ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দু’টি চাল ভর্তি ট্রাক উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে ঈশ্বরদী উপজেলার ছলিমপুর ইউনিয়নের জয়নগর আই কে রোডস্থ বাদশা রাইচ এজেন্সিতে এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ আহত ডাকাতদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং নিহতদের লাশ ময়না তদন্তের জন্য পাবনা মর্গে প্রেরণ করা হয়।
র‌্যাব জানায়, শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে জয়নগর মোকামের বাদশা রাইস এজেন্সিতে ট্রাক ভিড়িয়ে চাউল ডাকাতি হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাবের টহল দল সেখানে অভিযানে আসেন। র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদল তাদের উপর গুলিবর্ষণ শুরু করে। এই খবরে র‌্যাবের আরও একটি ইউনিট সেখানে উপস্থিত হলে ডাকাতদলের সাথে সরাসরি বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। ঘটনা স্থলেই বাচ্চু, মেহেদী  হানিফ ও রুস্তম নামের তিন ডাকাত গুলিবিদ্ধ হয়। অন্যরা চাউল ভর্তি একটি ট্রাক নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে র‌্যাবের আরও একটি টিম বড়ইচারা মোড়ের রাস্তায় তাদের ব্যারিকেড দেয়। অবস্থার বেগতিক দেখে চাউল ভর্তি ট্রাক নিয়েই ডাকাতদল ওই ইউনিয়নের বড়ইচারা গ্রামের মধ্যে ঢুকে পরে। র‌্যাবও তাদের পেছন পেছন ধাওয়া করে। একপর্যায়ে গাড়ির উপর থেকেই র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধ চলে ডাকাতদলের। সে সময় র‌্যাবের গুলিতে ঘটস্থলেই চার ডাকাত নিহত হয়। নিহত ৪ ডাকাত ১. মোঃ বাচ্চু মিয়া (৩৫), পিতা-মৃত মফিজ, সাকিনÑকাটনি, থানা-ফুলপুর, জেলা-ময়মনসিংহ, ২. মোঃ মেহেদী হাসান (২৫), পিতা- মোঃ কবিরুল ইসলাম, থানা-বোদা, জেলা-পঞ্চগড়, ৩. মোঃ হানিফ মিয়া (২৫), পিতা-বিল্লাল হোসেন, সাকিন-দক্ষিণ বড়চর, থানা-মতলব, জেলা-চাঁদপুর, ৪. মোঃ রুস্তুম আলী (৩০), পিতা-আব্দুল হামিদ, সাকিন তৃষ্ণামত দৌলা, থানা-ফুলপুর, জেলা-ময়মনসিংহ বলে জানা যায়।
সেখান থেকে তিনটি বিদেশী পিস্তল, ৮ রাউন্ড গুলি, ডাকাতি করার বিভিন্ন সরঞ্জাম ও চাউল ভর্তি ট্রাক উদ্ধার করা হয়। নিহত ও আহত ডাকাতদের বাড়ি ময়মনসিং জেলার ফুলপুরে। তারা সবাই আন্তঃজেলা ডাকাতদলের নেতৃত্বদানকারী সদস্য বলেও র‌্যাব জানায়। অভিযানের নেতৃত্বদেন র‌্যাব-১২’র সিইও সাহাব উদ্দিন খাঁন, র‌্যাব টাঙ্গাইলের এডিশনাল এসপি মহিউদ্দিন ফারুকী ও পাবনার কোম্পানী কমান্ডার বীনা রানী দাস।   
বাদশা রাইচ এজেন্সির ব্যস্থাপনা পরিচালক মাহামুদুল ইসলাম জানান, প্রায় ২০/২৫ জনের শসস্ত্র একদল ডাকাত প্রথমে তার মিলের পার্শ্ববর্তী ঈশ্বরদী ডেইরি মিলে অভিযানে যায়। সেখানে সুবিধা করতে না পেরে তাদের মিলে এসে আজিবর রহমান ও নজরুল ইসলাম নামের দুই পাহারাদারকে হাত, পা ও মুখ বেঁধে একটি ঘরে আটকে রেখে দ্রুত ট্রাকে চাউল ভর্তি করে। সে সময় তার অফিসের আলমারী ভেঙে নগদ টাকা লুট ও বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। দুর্ধর্ষ এই ঘটনার সাথে স্থানীয় কেউ জড়িত থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হাই তালুকদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ডাকাত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ