যেভাবে মাছ ভাজলে ভেঙে যাবে না
বাঙালির প্রতিদিনের খাবারে মাছ তো থাকেই। এটি সব খাবারের মধ্যে পুষ্টির অন্যতম উৎস। তাড়াহুড়ো করে
মেহেদী বা মেন্দী আমরা সবাই চিনি। সাধারণত মেহেদী পাতা হাত পা চুল রাঙ্গাতে ব্যবাহার করা হয়। ঈদ বিয়ে শাদী ইত্যাদি অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে মেয়েদের সাজতে মেহেদীর ব্যবহার সবচেয়ে বেশী দেখা যায়। তাছাড়া পাঁকা চুল দাড়ি রং করতে মেহেদীর পাতা খুব ব্যবাহার করা হয়। আজকাল বাজারেও মেহেদী পাতা কিনতে পাওয়া যায়। অনেক বাড়ির আঙ্গিনায়, বাসার ছাদে মেহেদী গাছ লাগিয়ে থাকে। এই গাছ বেশী বড় হয় না, কাঠ হিসাবে ব্যবহার করা যায় না বিধায় যে কোন জায়গায় এর রোপন করা যায়। মেহেদী শুধু রাঙ্গাতে নয় অনেক রোগের চিকিৎসা আল্লাহ তায়ালা মেহেদী পাতার মধ্যে রেখেছেন।
১. খুশকি: কারো মাথায় খুশকি হলে মেহেদী পাতা বেটে মাথায় দিলে খুশকি দুর হয়ে যায়।
২. মাথাব্যথা: মাথাব্যথায় মেহেদী পাতা বেটে প্রলেপ দিলে মাথাব্যথা সেরে যায়।
৩. মূখ গলার ক্ষত: কারো মুখ বা গলায় ক্ষত বা ঘা হলে মেহেদী পাতা সিদ্ধ করে সেই পানি মুখে রাখলে বা গড়গড়া করলে ক্ষত ভাল হয়ে যায় ।
৪. শুক্রমেহ: কারো এই রোগ হলে মেহেদী পাতার রস এক চা চামচ পানি বা দুধের সাথে একটু চিনি মিশিয়ে দিনে ২ বার খেলে এক সপ্তাহের মধ্যে উপকার পাওয়া যাবে।
৫. ঘামের গন্ধ: গ্রীষ্মকালে ঘেমে শরীর দুর্গন্ধ হলে মেহেদী পাতা ও বেনামূল সিদ্ধ পানিতে গোসল করলে শরীর থেকে ঘেমে দুর্গন্ধ হওয়ার রোগ দুর হয়ে যাবে।
৬. চুল উঠা বা চুল পাকা : ১০-১২ গ্রাম মেহেদী পাতাা ও একটি হরীতকী সামান্য থেঁতো করে ২৫০ মিঃলিঃ পানিতে সিদ্ধ করে ৬০-৭০ মিঃলিঃ থাকতে নামিয়ে ছেঁকে ঠান্ডা করে মাথায় লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
৭. নখ ও চুলের পরিচর্যায়: মেহেদী পাকা বেটে নখ ও চুলে লাাগালে নখ ও চুল ভাল থাকে।
৮. চুখের গুটি: মেহেদী পাতা বেটে পায়ের তলায় লাগালে চোখে গুটি উঠে না।
৯. শ্বেতপদর: ২৫ গ্রাম মেহেদী পাতা সিদ্ধ করে সেই পানিতে উত্তরবস্তি (ডুশ দেওয়া) দিলে সাদা স্রাব বন্ধ হয় এমনকি অভ্যন্তরের চুলকানি ভাল হয়। জরায়ু স্থানচ্যুত হলে এই ব্যবস্থা দিলে উপকার হয়।
১০. অনিদ্রা: আগের দিনে রাজা বাদশাহদের অনিদ্রা হলে মেহেদী ফুলের বালিশে ঘুমানোর পরামর্শ দেওয়া হত।
১১. জন্ডিস: মেহেদীর শিকড় আতব চাউল ধোয়া পানিতে বেটে পেষ্ট তৈরী করতে হবে । এই পেষ্ট থেকে ২ চা চামচ নিয়ে ঐ আতব চাউল ধোয়া পানি ৮-১০ চা চামচ নিয়ে সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে। প্রতি দিন সকাল বিকাল ৪-৫ দিন খেলে জন্ডিস ভাল হয়ে যাবে।
১২. গনোরিয়া এবং মূত্রকৃচ্ছ: মেহেদী পাতার রস ২-৪ চা চামচ সামান্য চিনি বা মিছরির সাথে মিশিয়ে কয়েকদিন সকাল বিকাল খেলে রোগ ভাল হয়ে যায়।
১৩. নখকুনি: নখকুনি হলে বা হাত ও পায়ের আঙ্গলের ফাঁকে হাজা হলে পাতার ক্বাথকে জ¦াল দিয়ে ঘন করে সকাল বিকাল দুই বার করে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
১৪. পায়োরিয়া: দাতের গোড়ায় পুঁজ হলে পাতার ক্বাথে অল্প খয়ের মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগালে কয়েকদিনের মধ্যে ভাল হয়ে যায় । এতে দাতের গোড়া রঙ্গিন হতে পারে তবে কয়েকদিনের মধ্যে এই রঙ আর থাকবে না ।
১৫. হাত পা জ্বালা: কারো পিত্তবিকৃত হলে হাত পা জ্বালা হয়ু । এই অবস্থায় মেহেদীর টাটকা পাতার রস হাত পায়ে মাখলে এবং সাথে পিত্তবিকৃতির ঔষধ খেলে দ্রুত উপকার হয় ।
১৬. কানে পূঁজ: কানে পুঁজ হলে মেহেদী পাতার রস ২ ফোঁটা করে কানে দিলে ৪-৫ দিনের মধ্যে কানের পুঁজ পড়া বন্ধ হয়ে যায়।
১৭. চোখ উঠা: কারো চোখ উঠলে অল্প কয়েকটি মেহেদী পাতা থেঁতো করে গরম পানি ফেলে তারপর ছেঁকে নিয়ে সেই পানির ফোঁটা চোখে দিতে হবে। এতে চোখ ভাল হয়ে যাবে। এমনকি চোখের কোন থেকে পুঁজের মত পড়তে থাকলেও এই পানির ফোঁটা দিলে চোখ ভাল হয়ে যাবে।
১৮. চর্মরোগ : যে কোন ধরণের চর্ম রোগে মেহেদী পাতার প্রলেপ দিলে রোগ ভাল হয়ে যায়।
মুন্সি আব্দুল কাদির
ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, সিলেট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।