Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নারীর প্রতি সহিংসতা

| প্রকাশের সময় : ১ জুলাই, ২০২২, ১২:১১ এএম

স্বাধীনতা পরবর্তী পাঁচ দশকে বাংলাদেশের নারীদের জীবনমানে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। পড়াশুনা ও কর্মক্ষেত্রসহ জীবনের সর্বক্ষেত্রেই নারীদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। গত কয়েক দশকে নারীরা পড়াশুনা ও কর্মক্ষেত্রে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করলেও দেশে এখনো নারী নির্যাতন, যৌননীপিড়ন, শ্লীলতাহানি, ইভটিজিংসহ নারীদের প্রতি সহিংসতামূলক কর্মকাণ্ডে ইতিবাচক কোনো পরিবর্তন আসছে না। বরং নারীর প্রতি সহিংসতার হার বেশ উদ্বেগজনক। গণপরিবহন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কর্মস্থল, এমন কি অনেক নারী নিজের পরিবারেও সহিংসতার শিকার হচ্ছেন। অপেক্ষাকৃত দুর্বল শ্রেণীর মানুষেরাই বেশির ভাগ সহিংসতা শিকার হন। বিশেষ করে নারী ও শিশু, অর্থনৈতিকভাবে দরিদ্র, বিশেষত শ্রমজীবী মানুষ এবং সমাজের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা সহিংসতার শিকার হন। তাই নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে প্রচলিত আইনের যথাযথ প্রয়োগ অত্যন্ত জরুরি। অবশ্য শুধুমাত্র আইন দিয়েই আমরা আমাদের সমাজে নারীদের প্রতি করা অমানবিক আচরণ বন্ধ করতে পারবো না। এজন্য আমাদের মানসিকতার ইতিবাচক পরিবর্তনও অত্যন্ত জরুরি। নারীর প্রতি সহিংসতা একটি জাতীয় সমস্যা। এর ফলে একজন নারীর স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হয় এবং সে তার জীবনের স্বাভাবিক গতিপথ থেকে বিচ্যুত হয়। সহিংসতামূলক আচরণ ব্যক্তিকে মানসিক ও শারীরিকভাবে দুর্বল করে তুলে। যা তার বর্তমান ও ভবিষ্যৎ জীবনকে অনিশ্চয়তায় ফেলে দেয়। সমাজ, পরিবার এবং জীবনের সর্বক্ষেত্রে নারীদের যথাযথ মর্যাদা দিতে হবে। আমাদের গড়ে তুলতে হবে একটি সহিংসতামুক্ত সমাজ।

হাসনাত জাহান সিফাত
শিক্ষার্থী, ফাজিলপুর ওয়ালিয়া ফাযিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা, ফেনী সদর, ফেনী



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নারীর প্রতি সহিংসতা
আরও পড়ুন