মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে জি-৭-এর মঞ্চে নিজেদের পুরনো অবস্থানেই অটল থাকল ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বৈঠকে জানিয়েছেন, আলোচনা এবং কূটনৈতিক মতবিনিময়ের মাধ্যমেই সংঘাতের নিরসন সম্ভব।
বৈঠকের পরে সাংবাদিক সম্মেলনে ভরতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রা রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে ভারতের অবস্থান জানান। তিনি বলেন, ‘‘রাশিয়া-ইউক্রেন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন। অবিলম্বে হিংসা বন্ধের ডাক দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, কূটনৈতিক স্তরে বার্তালাপ ও আলোচনাই সঙ্কট নিরসনের পথ।’’ পররাষ্ট্রসচিব এক প্রশ্নের উত্তরে জানান, পূর্ব ইউরোপে যুদ্ধের প্রভাবে খাদ্যসঙ্কট নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রের নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। বিশেষ করে অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল দেশগুলির কথা উঠে এসেছে মোদীর বক্তব্য।
পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের দাবি, এ বারের সম্মেলনে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে, সংঘাতের সমাধানের জন্য ভারতের দিকে তাকিয়ে পশ্চিমের ধনী দেশগুলি। মোদীর সঙ্গে অন্য রাষ্ট্রনেতাদের আচরণ এবং ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনাতেই তা স্পষ্ট বলে মনে করেন বিনয় কোয়াত্রা।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ভারত ভারসাম্যের কূটনীতি নিয়ে চলেছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আমেরিকা তথা পশ্চিমি বিশ্ব, একের পর এক রাশিয়া-বিরোধী প্রস্তাব আনলে, ভোটাভুটিতে বিরত থেকেছে নয়াদিল্লি। বরং রাশিয়া এবং ইউক্রেনের রাষ্ট্রপ্রধানদের ফোন করে তাদের সরাসরি আলোচনার টেবিলে বসার পরামর্শ দিয়েছেন মোদী। একই সঙ্গে, আমেরিকার চাপ এবং নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও সস্তায় রাশিয়া থেকে অশোধিত তেল আমদানি করে চলেছে ভারত।
জি-৭ ভুক্ত রাষ্ট্রগুলির সম্মিলিত চাপের পরেও সেই অবস্থানের কোনও বদলের আপাতত সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করছে কূটনৈতিক শিবির। তাদের বক্তব্য, বরং মোদী জ্বালানি ক্ষেত্রে রাশিয়া-নির্ভরতাকে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ধরে রাখতে চেয়ে, নিজের দেশের শস্যভান্ডারকে পাল্টা দর কষাকষির একটি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছেন। প্রধানমন্ত্রী বোঝাতে চাইছেন, অন্যের খাদ্য নিরাপত্তার প্রশ্নে ভারত সহায়তা করতে প্রস্তুত।
সেই সূত্রেই জি-৭ বৈঠকে খাদ্য ও জ্বালানি ক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিয়ে বিশদে বলতে শোনা গিয়েছে মোদীকে। পররাষ্ট্রসচিবের কথায়, “প্রধানমন্ত্রী মোদী বৈঠকে জানিয়েছেন, খাদ্যশস্য এবং জ্বালানির মাত্রাতিরিক্ত মূল্যবৃদ্ধি, বিভিন্ন দেশকে প্রভাবিত করছে। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলির শক্তিসঙ্কট এবং নিরাপত্তা ঝুঁকির সামনে। এই কঠিন সময়ে ভারত বিভিন্ন দেশকে খাদ্য শস্য সরবরাহ করেছে। এই প্রসঙ্গে আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সঙ্কটে ভারত কী ভাবে পাশে দাঁড়িয়েছে, তা-ও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।” সূত্র: টাইমস নাউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।