নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
যেভাবে আলোচনা চলছে, তাতে এউইন মরগান ভাবতেই পারেন, আর ঘটা করে ঘোষণা দেওয়ার কী দরকার! গতপরশু দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছিল, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের চিন্তা করছেন ইংল্যান্ডের একদিনের ক্রিকেটের অধিনায়ক। আভাস যেমন ছিল, ঠিক তেমনই হলো। গতকাল সন্ধ্যায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েই দিলেন ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। ঘরোয়া ক্রিকেটে অবশ্য খেলা চালিয়ে যাবেন তিনি। সে খবর এতটাই চাউর হয়েছে যে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ইতিহাসগড়া টেস্ট সিরিজের মাঝেও এ নিয়ে কথা বলেছেন টেস্ট দলের কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। ইংল্যান্ডের টেস্ট দলে যে আগ্রাসন আনার চেষ্টা করছেন ম্যাককালাম, ওয়ানডে দলে সেটাই এনেছেন মরগান। ভিন্ন সংস্করণে ভিন্ন কোচ–নীতিতে যাওয়ায় মরগান ও ম্যাককালাম জুটি দেখার কোনো সুযোগ ছিল না। সম্ভাব্য বিদায় সম্ভাষণে মরগানের আগ্রাসী চিন্তা ও ইংল্যান্ডের ক্রিকেটে এর প্রভাব নিয়ে মুগ্ধতার কথা জানিয়েছেন ম্যাককালাম।
কিছুদিন ধরেই শোনা যা”িছল, ৩৫ বছর বয়সী মরগান অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিতে চান। কিš‘ সে চিন্তা যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোর পর্যায়ে চলে গেছে, এমনটা আঁচ করা যায়নি। গতকাল ইংল্যান্ডের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়ে দিল, এ সপ্তাহেই সে ঘোষণা আসছে। গতকাল এক ঘণ্টার মধ্যে হেডিংলি টেস্ট শেষ হওয়ার পরপর তাই সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল ম্যাককালামের কাছে। কিউই কোচ ইংল্যান্ডকে নিয়ে ইতিবাচক ক্রিকেট খেলতে চান। আর এই মানসিকতার বীজ ইংল্যান্ড দলের ম‚ল তারকাদের মনে আগেই পুঁতে দেওয়ায় মরগানকে কৃতিত্ব দিয়েছেন। বলেছেন, শুধু ইংল্যান্ড নয়, ক্রিকেট ইতিহাসেই অনন্য হয়ে থাকবেন আয়ারল্যান্ডের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখা এই অধিনায়ক, ‘শুধু ইংলিশ ক্রিকেট নয়, বিশ্ব ক্রিকেটেই সবচেয়ে প্রভাবশালী চরিত্রদের একজন হয়ে থাকবে সে। ইংল্যান্ডের অধিনায়কের পদ পেয়ে সে যে পদক্ষেপ নিয়েছে, যেভাবে সবার মানসিকতা বদলে দিয়েছে এবং যে ক্রিকেটটা খেলেছে—সবকিছুর জন্য।’
স্কাই স্পোর্টসকে ম্যাককালাম আরও বলেন, ‘বিশ্বজুড়েই এর প্রভাব পড়েছে। সে একটা বিশ্বকাপও জিতেছে এবং এই ছেলেদের একটা দারুণ যাত্রার অংশ করেছে। আপনি যখন জস বাটলার, জেসন রয়, জনি বেয়ারস্টো, বেন স্টোকসদের দেখবেন, তারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সুপারস্টার। তারা এমন খেলোয়াড় হতে পেরেছে এওইন মরগানের নেতৃত্বের কারণে।’
বিশ্বকাপ জয় তো আছেই, এমনিতেও সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের সফলতম অধিনায়ক তিনি। ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিয়েছেন ১২৬ ম্যাচে, যেখানে জয় ৭৬টি। তার নেতৃত্বে এরপর সাদা বলের ক্রিকেটে পুরোপুরি বদলে যায় ইংল্যান্ড দলটি। এই পথচলায় মরগ্যানের সঙ্গী ছিলেন কোচ ট্রেভর বেলিস। এই দুইজনের হাত ধরে ২০১৯ সালে ঘরের মাঠে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ উঁচিয়ে ধরে ইংলিশরা। টি-টোয়েন্টিতে তার নেতৃত্ব ৭২ ম্যাচ খেলে ইংলিশরা জিতেছে ৪২ ম্যাচ। দুই সংস্করণেই ইংল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়া ও জয়ের রেকর্ড তার। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে গতরাতের ওয়ানডেটিই হয়ে থাকলো ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।