মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে একটি পরিত্যক্ত লরি থেকে কমপক্ষে ৪৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ৪ শিশুসহ আরও ১৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা সবাই অভিবাসী বলে ধারণা করা হচ্ছে। টেক্সাসের সান অ্যান্টোনিওর শহরতলিতে লরিটি পড়ে ছিল। সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা ছবিতে দেখা যায়, জরুরি সেবা বিভাগের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক সদস্য লরিটি ঘিরে রেখেছেন।
কীভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। স্থানীয় পুলিশ এ নিয়ে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেয়নি। তবে শহরটিতে এখন গ্রীষ্মকাল চলছে। স্থানীয় সময় সোমবার তাপমাত্রা ৪৯ দশমিক ৪ ডিগ্রিতে গিয়ে ঠেকে। একটি টিভি চ্যানেল জানিয়েছে, সান অ্যান্টোনিও শহরের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে রেললাইনের পাশে লরিটির সন্ধান মেলে। যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরে শহরটি অবস্থিত। নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, লরিচালকের হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। সান অ্যান্টোনিও পুলিশ চালকের খোঁজে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
এই প্রাণহানির জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে দায়ী করেছেন টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবোট। তিনি একে বাইডেনের ‘প্রাণঘাতী উন্মুক্ত সীমান্তনীতির’ ফলাফল বলে মন্তব্য করেন তিনি। মেক্সিকোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্সেলো এবরার্দ বলেন, দেশটির কনস্যুলেট-প্রধান ঘটনাস্থলের পথে রয়েছেন। তবে তিনি জানান, ভুক্তভোগীরা কোন দেশের নাগরিক, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সোমবারের মতো ঘটনা অবশ্য আমেরিকায় নতুন নয়। মেক্সিকা থেকে আমেরিকায় প্রবেশ করার পথে বিগত কয়েক বছরে বহু অনুপ্রবেশকারী এ ভাবেই মারা গিয়েছেন বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। তবে মৃতের সংখ্যার নিরিখে স্যান অ্যান্টোনিয়োর ঘটনাটি ভয়ঙ্কর। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের দাবি, একসঙ্গে এত মানুষ সীমা পার হতে গিয়ে কখনও মারা যাননি আমেরিকায়।
২০১৭ সালে ট্রাকে বদ্ধ অবস্থায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছিল এই স্যান অ্যান্টোনিয়োতেই। তার আগে ২০০৩ সালে টেক্সাসের এই দক্ষিণপ্রান্তের শহরে অনুপ্রবেশ করার সময় ট্রাকের ভিতরে মারা যান ১৯ জন। ট্রাকের মধ্যে এ ভাবে মানবপাচারের প্রক্রিয়া নব্বইয়ের দশক থেকেই শুরু হয়েছিল। পুলিশের নজর এবং পুলিশ-কুকুরের ঘ্রাণশক্তি থেকে বাঁচাতে সামান্য জায়গার মধ্যে ঠেসেঠুসে বসানো হয় অনুপ্রবেশকারীদের। সামনে কখনও রেখে দেয়া হয় পচা তরমুজ, কখনও বা দুর্গন্ধযুক্ত জিনিসপত্র। বদ্ধ ট্রাকে এ ভাবেই প্রায় দু’দশক ধরে অনুপ্রবেশকারীরা মেক্সিকো থেকে ঢুকেছেন আমেরিকায়। সূত্র : আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।