Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফরিদপুরে পদ্মার পানি বৃদ্বি অব্যাহত ১২ দিনে তিন শত স্হাপনা নদী গর্ভে ব্যবস্হা নেওয়া জরুরী

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৪ জুন, ২০২২, ৮:১২ পিএম

ফরিদপুর সদর উপজেলার পদ্মার তীরবর্তী এলাকা পরিদর্শন কালে শুক্রবার (২৪জুন) দেখা যায় সদর থানার ডিক্রিরচর,নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের অধিকাংশ নিম্নাঞ্চল গুলো পানিতে তলিয়ে গেছে।

এসময় নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের বিশ্বাস ডাঙ্গিতে দেখা যায় কৃষকরা পানি থেকে ফসল উত্তোলনের ব্যস্ততা।
ফরিদপুর সিএন্ডবি ঘাটের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মজিবর মিয়া ইনকিলাবকে জানান, সপ্তাহ্ খানেক ধরে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, তবে দু'দিন ধরে পানি ব্যাপকভাবে বাড়ছে। পাশা-পাশি ডিক্রিচর ইউনিয়নের আইজউদ্দীন মাতুব্বর ডাঙ্গী এবং নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের গোলডাঙীর উজানের অংশে তথা উস্তাডাঙী এলাকায় দীর্ঘ ১০/১২ দিন যাবৎ নদী ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। এভাবে ভাঙ্গন অব্যাত থাকলে পুরো একটি বৃহওর গ্রাম মসজিদ স্কুলসহ সদর উপজেলার মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে। এই এলাকায় জরুরী ভিওিতে ভাঙ্গনরোধে ব্যবস্হা নেওয়া খুবই জরুরি। ১২ দিনে এই এলাকার তিন শত ছোট বড় স্হাপনা নদী গর্ভে চলে গেছে।

তিনি আরো বলেন, মাত্র ৭ দিন আগেও ফসলের খেতগুলো শুকনা ছিলো। কিন্তু হঠাৎ পানি আসায় অনেকেই তাদের ফসল তুলতে পারেনি। অনেকেরই বাদাম, তিলসহ ফসল লাখ লাখ টাকার ফসলি ক্ষপত তলিয়ে গেছে।

শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও নর্থচ্যানেল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী মোফাজ্জেল হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, কয়েকদিন আগে আমরা গোসলের পানি পাইনি অথচ ১০ ব্যাবধানে পানি এসে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হলো। এখানে প্রতিদিন এক দেড় হাত করে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে দুটি ইউনিয়নের কম পক্ষ লক্ষাধিক বাড়িঘরসহ হাজার হাজার ফসলের মাঠ তলিয়ে যাবে। এতে আর্থিক কস্টে ভুগবে চরবাসীসহ শহরের নিম্নাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ।

দৈনিক ইনকিলাবের সাথে কথা হয়,নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো.মোস্তাকুজ্জামান মোস্তাকের সাথে তিনি বলেন, আমার ইউনিয়নের শত শত কৃষকের ফসল তলিয়ে গেছে।, বিশেষ করে বাদাম চাষীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেকেই বাদাম খেত পানির নিচে চলে গেছে এবং প্রায় ১,০০০ (এক হাজার) পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

দৈনিক ইনকিলাবের সাথে কথা হয় চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মির্জা সাইফুল ইসলাম আজমের সাথে তিনি বলেন, ৭/৮'দিন ধরে পানি বেশি মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে, এভাবে পানি বৃদ্ধি পেলে অনেক হাজার হাজর একর ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা গনমধকে বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মায় ৩৬ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বিপদসীমার লেবেল ৮ দশমিক ৬৪ সেন্টিমিটার কিন্তু তা থেকে এখন ১৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি পেতে থাকলে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।যে কোন সময়।

ফরিদপুর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দীপক কুমার রায় বলেন, ফরিদপুরে বন্যা মোকাবেলায় প্রশাসনের যথেষ্ট প্রস্তুুতি রয়েছে। বন্যা মোকাবেলায় আমরা ইতোমধ্যে ফরিদপুরের ৯টি উপজেলার ইউএনও কে ৭ টন করে ত্রাণ বরাদ্দ দিয়েছি, আশা করি বন্যা পরিস্থিতি খারাপ বলেও খুব একটা অসুবিধা হবে না। তবে বন্যায় সকলকে ধর্যসহকারে যে কোন পরিস্তি নিয়ন্ত্রনের মধ্যে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফরিদপুর

১১ নভেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ