পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৮, সিলেটেই ৪৬ জন : বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সঙ্কটে মানুষ : নৌযান দেখলেই মানুষ ছুটছে ত্রাণের আশায় : সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় গতকাল ত্রাণ বিতরণ করেছেন সেনাবহিনী প্রধান, পুলিশ প্রধান এবং আর্মি প্রধান : ডায়রিয়াসহ নানা পানিবাহিত রোগ ছড়াচ্ছে : দেশে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৮৯৫ জন
দেশের মধ্যাঞ্চলে পানি কিছুটা বাড়লেও সিলেট ও নেত্রকোণা জেলায় বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জে বন্যার পানি এখনো বাড়ছে। কুড়িগ্রাম, গাইবান্দা এবং রংপুর এলাকার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। দেশের ১২টি নদ-নদী ২২টি পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। অনেক এলাকায় বানের পানি কিছুটা কমলেও এসব এলাকার মানুষের ঘরে খাবার নেই, বাইরে কাজ নেই। বেশিরভাগ দোকানপাট এখনো খুলতে পারেননি দোকানিরা। এ অবস্থায় দুর্গত এলাকায় চরম খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা গেছে। বিভিন্ন এলাকায় ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ ছড়াচ্ছে। বন্যার শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৮৯৫ জন। চিকিৎসার কোন সুব্যবস্থা নেই। মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত সবাই মহাবিপদে পড়েছেন। দুর্গত এলাকায় এখনো ত্রাণ পৌঁছাচ্ছে না। কোন কোন এলাকায় ত্রাণ গেলেও তা খুবই সামান্য। না খেয়ে দিন পার করছে মানুষ। হাওরে নৌযান দেখলেই নারী, পুরুষ, শিশু ও বৃদ্ধ সবাই ত্রাণের আশায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছুটে যাচ্ছেন। কেউ সাঁতার কেটে কেউবা গলাসমান পানিতে নেমেও নৌযানের কাছাকাছি চলে যাচ্ছেন। তবে বেশিরভাগই ফিরছেন খালি হাতে। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুরা প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে ত্রাণ না পাওয়ার বুক ভরা কষ্ট নিয়ে ফিরছেন। বন্যা দুর্গত জেলারগুলোর বেশিরভাগ এলাকায়ই এ অবস্থা চলছে।
এ দিকে গতকাল সুনামগঞ্জের সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরন করেন সেনাবাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল সফি উদ্দিন আহমদ। এ ছাড়া তাহিরপুর উপজেলায় আইজিপি বেনজির আহমদ এবং ব্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বানভাসীদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন।
সারাদেশে বন্যায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৬৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ২৮ জন। সবচেয়ে বেশি ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে সিলেট বিভাগে। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। জেলাভিত্তিক মৃত্যুর সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে সুনামগঞ্জ। এ জেলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সিলেট জেলায় মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা ও জামালপুর জেলায় মৃত্যু হয়েছে পাঁচজন করে। কুড়িগ্রাম ও শেরপুরে তিনজন করে এবং লালমনিরহাটে একজন মারা গেছেন।
গতকাল পদ্মা, যমুনা-ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, সুরমা, কুশিয়ারা, তিতাসসহ ১২টি নদ-নদী ২২টি পয়েন্টে বিপদসীমার ঊর্ধ্বে প্রবাহিত হয়। বর্তমানে বন্যা ও নদীভাঙন কবলিত জেলাগুলো হচ্ছে- সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, কিশোরগঞ্জ, লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নদ-নদীর পরিস্থিতি ও পূর্বাভাসে বলা হয়, ব্রহ্মপুত্র নদের পানির সমতল অপরিবর্তিত রয়েছে। অন্যদিকে যমুনা ও পদ্মা নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কুশিয়ারা ও তিতাস ব্যতীত অন্যান্য প্রধান নদ-নদীর পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে।
বরিশাল ব্যুরো জানায়, বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে আসায় দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীর পানি বিপদসীমার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার পাউবো জানায়, কির্তনখোলা, তেতুলিয়া, সুুরমা ও মেঘনা, ঝালকাঠীতে বিষখালী, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে বুড়িশ^র,পায়রা, বরগুনা সদর ও পাথরঘাটাসহ পানি এখন বিপদসীমার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে।
গাইবান্ধা থেকে, স্টাফ রিপোর্টার জানান, জেলার সবকটি নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। গতকাল ব্রহ্মপুত্রের তিস্তামুখ ঘাট পয়েন্টে পানি ২১ সে.মি. কমে বিপদসীমার ৩৯ সে.মি. উপর দিয়ে এবং ঘাঘট নদীর পানি গাইবান্ধা শহর পয়েন্টে ১৭ সে.মি. কমে বিপদসীমার ২২ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এছাড়া তিস্তা ও করতোয়া নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। এদিকে পানি কমতে শুরু করায় বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এলেও তাদের দুর্ভোগ কমেনি। বন্যার পানি সম্পুর্ণ নেমে না যাওয়া পর্যন্ত মানুষের কষ্ট লাঘব হবে না। বন্যা দুর্গত এলাকাগুলোতে বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার যথেষ্ট অভাব রয়েছে।
সুনামগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা জানান, জেলার সুরমা ইউনিয়নের মঈনপুর গ্রামে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ শেষে সেনাপ্রধান লে. জেনারেল সফি উদ্দিন আহমদ বলেন, বন্যার্ত মানুষের জন্য যা করনীয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাই করছে। যারা যারা এটার সাথে সম্পৃক্ত আছেন সকলেই অত্যন্ত উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে আন্তরিকতার সাথে কাজ করছেন। মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ হয়েছে আমরা এ সুযোগটা সুন্দরভাবে কাজে লাগাতে চাই। এটা প্রমান করতে হবে যে, আত্মত্যাগের মাধ্যমে আন্তরিকতার সহিত কাজ করছি। মাঠ পর্যায়ে কর্মরত সেনা সদস্যদের আন্তরিকতার সাথে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছি। আমরা এখনও সব জায়গায় পোঁছাতে পারিনি। যতদ্রæত সম্ভব সব জায়গাতে ত্রাণ ও অন্যান্য সহায়তা পৌঁছানোর চেষ্টা করছি। আমি হেলিকপ্টার থেকে দেখেছি সুনামগঞ্জের অনেক মানুষ এখনও পানিবন্দি অবস্থায় আছে। বন্যার্তদের কল্যানে যা যা করনীয় তাই আমরা করব। এদিকে, আইজিপি বেনজির আহমদ তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট বাজার ও বিশ্বম্ভরপুরের বিভিন্ন এলাকায় বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ শেষে জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে বন্যায় কবলিত দুর্গম এলাকাগুলোতে ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত থাকার আশ্বাস প্রদান করেন। বন্যার সময় হাওরাঞ্চলের আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আইনশৃংখলা পরিস্থিতি অনেক ভাল। জনগন ও রাজনীতিবিদ প্রশাসনসহ সকলের সমন্বয়েই হাওরাবাসীর এ সমস্যা উত্তরনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি হাওরাঞ্চলের যেখানে যোগাযোগ ভাল সেখানে ত্রাণ নিয়ে সবাই যায়। আমি অনুরোধ করব যেখানে সহজে যাওয়া যায় না সেই দুর্গম এলাকায় ত্রাণ সহায়তা দেয়ার পৌঁছানোর জন্য। র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বিশ্বম্ভরপুরের ভাদেরটেক ও সোনাপুর গ্রামে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ শেষে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সকল প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছে। এই বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতেও প্রধানমন্ত্রী আন্তরিকভাবে কাজ করছেন। কোন মানুষ না খেয়ে মরবে না। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ র্যাব ক্যাম্পের কমান্ডার সিঞ্চন আহমদসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ও জনপ্রতিনিধিরা।
সিরাজগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা জানান, গত দুই সপ্তাহ টানা যমুনা নদীসহ অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার পাঁচটি উপজেলার ৩৮টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রামের ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। সেই সঙ্গে শিক্ষাপ্রতষ্ঠানের মাঠে ও শ্রেণিকক্ষে পানি ওঠায় জেলায় ৮৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। গতকাল জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জানান, জেলার পাঁচটি উপজেলার ৩৮টি ইউনিয়নের ৮ হাজার ৪০০ পরিবারের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বন্যাকবলিতদের মাঝে ১৪০ মেট্রিকটন চাল, ৬ লাখ টাকা ও ৩ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার স্ব স্ব উপজেলায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বাবলু কুমার সূত্রধর জানান, যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে অভ্যন্তরীণ নদ-নদী ও খাল-বিলের পানি বাড়ায় জেলার নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। এরই মধ্যে ৯১০৬ হেক্টর জমির রোপা আমন, পাট, তীল, মরিচ, বাদাম, বোনা আমন, শাক-সবজি, বীজতলাসহ উঠতি ফসল পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়েছে। এতে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।
টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা জানান, জেলার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে ধলেশ^রী নদীর পানি। এখনও প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। জেলার নিম্নাঞ্চল, নদী তীরবর্তী ও চরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি, বসতঘর ও রাস্তাঘাট তলিয়ে আছে পানির নিচে। গতকাল সরেজমিনে প্রতক্ষ্য করা যায়, পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে লাখেরও বেশি মানুষ।
কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা জানান, জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অপরিবর্তিত রয়েছে। বন্যাদুর্গত আড়াইলাখ মানুষের দুর্ভোগ এখন চরমে উঠেছে। খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির জন্য হাহাকার চলছে। সরকারি ত্রাণ সহায়তা অপ্রতুল হওয়ায় সবার ভাগ্যে জুটছে না ত্রাণ। জেলার ৩২৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পানিতে নিজজ্জিত হওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে প্রায় ৮৫ হাজার শিক্ষার্থীর পড়ালেখা বন্ধ। এ পর্যন্ত ১৫ হাজার ৮৫২ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। যার অধিকাংশ পাট, আউস ধান,বীজতলা এবং সবজি ক্ষেত। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম ইনকিলাবকে জানান, দুর্গম চরগুলোতে উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে জরুরি ভিত্তিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। ত্রাণের কোন সমস্যা নেই। চাহিদা দেয়ার পর পরই প্রয়োজনীয় ত্রাণের বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৯ উপজেলার বন্যা কবলিত মানুষের জন্য ৩৩৮ মেট্রিকটন চাল, নগদ ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ১৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকার শিশু খাদ্য ও ১৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা গো-খাদ্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলমান আছে।
ছাতক (সুনামগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ছাতক-সিলেট সড়ক থেকে পানি কিছুটা নেমেছে। উপযোগী হচ্ছে যান চলাচল। সকল রাস্তাঘাট, বাসা-বাড়ি থেকে পানি নামছে। এখনও পানিবন্দি লাখো মানুষ। প্রথম থেকেই খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির চরম সঙ্কট আছেন আশ্রয়কেন্দ্রের থাকা লোকজন। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রাক ভর্তি ত্রাণ নিয়ে আসছেন মানবিক মানুষ। এদিকে ছাতকে বন্যার পানিতে নিখোঁজের ৪দিন পর গতকাল বিতরকুলাই হাওরে লাশ ভেসে উঠলে স্থানীয়রা উদ্ধার করেন। নিহত মখলিছুর রহমান খুরমা ইউনিয়নের বিলচর গ্রামের মৃত রমজান আলীর পুত্র। জানা যায়, বসত ঘরে পানি উঠায় গত সোমবার সকালে তিনি আশ্রয় নিতে যাচ্ছিলেন। পথে প্রবল স্রোতে তিনি ভেসে যান। তাকে অনেক খোঁজাখুজি করেও উদ্ধার করতে পারেনি পরিবার।
বালাগঞ্জ (সিলেট) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ওসমানীনগরের শতভাগ এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত। চারিদিকে পানি আর পানি। মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে অবর্ণনীয় দুঃখ দুর্দশা। গতকালও বন্যার পানি কমেনি। পানিস্থির অবস্থায় বিরাজ করছে। বন্যার্ত মানুষের মধ্যে কষ্ট বাড়ছে, বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকট দেখা দিয়েছে। গবাদি পশুর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। উপজেলার সকল রাস্তা ঘাটের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। নৌকাই ভরসা। এদিকে, বন্যা আক্রান্ত মানুষ গরু-বাছুর, ছাগল, ভেড়া, হাঁস, মুরগী নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। এছাড়াও খাদ্যদ্রব্য ও আসবাবপত্র রক্ষা করতে মানুষ নিরাপদ স্থানের খুঁজে এদিক ওদিক ঘুরাঘুরি করছেন এখনো। গতকালও বিকেল ৬ টার দিকে বৃষ্টি হয়েছে। আশংকা করা হচ্ছে বৃষ্টির কারণে পানি বৃদ্ধি পাবে। এদিকে সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান ওসমানীনগরের আশ্রয়কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ত্রাণ বিতরণ করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।