মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ঘোড়া কিংবা বিলাসবহুল গাড়িতে চড়ে বিয়ে করতে যান প্রায় প্রত্যেকেই। ট্রাক্টরে চড়ে বিয়ে করতে যাওয়ার ঘটনাও নতুন নয়। কিন্তু বুলডোজারে চেপে বিয়ে করতে যাওয়ার কথা শুনেছেন কখনও? মনে করতে পারছেন না তো? এমনই অবাক করা কাণ্ড ঘটল উত্তরপ্রদেশের শ্রাবস্তী রোডের বাহরাইচে। বুলডোজারে চেপে বিয়ের আসরে পৌঁছলেন মুসলমান যুবক। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি বিধায়কের মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে জোর আলোচনা।
বিষয়টি খোলসা করা যাক। দুই পরিবারের সম্মতিতে লক্ষ্মণপুরের শংকরপুরের বাসিন্দা রুবিনার সঙ্গে বাদশাহের বিয়ের কথা স্থির হয়। সেই অনুযায়ী নির্দিষ্ট দিনে বিয়ের আয়োজন করা হয়। বর বিয়ের আসরে পৌঁছলে হইচই তো হবেই, সেরকমই হয়েছিল। কিন্তু এখানে হইচইয়ের অন্য কারণ ছিল। কারণ, কোনও বিলাসবহুল গাড়ি কিংবা ঘোড়া নয়। বাদশাহ বুলডোজারে করে বিয়ের আসরে পৌঁছন। অনেকেই তাঁকে দেখে ‘বুলডোজার বাবা’ বলেও চিৎকার করতেও শুরু করেন। ভুরে খান নামে এক বরযাত্রী বলেন, “সাধারণত গাড়ি কিংবা ঘোড়ার গাড়ি অথবা হাতির পিঠে চেপে সকলে বিয়ে করতে আসেন। কিন্তু বিয়ে আরও স্মরণীয় করে রাখার জন্য আমরা বুলডোজারে করে বরকে আসরে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিই।”
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বুলডোজার দিয়ে উত্তরপ্রদেশে বাড়ি ভাঙার ঘটনা সামনে আসে। যোগীরাজ্যের এই ঘটনার জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। বাড়ি ভাঙতে হলে, তা নিয়ম মেনে করতে হবে বলেই বুলডোজার ইস্যুতে যোগী সরকারকে জানায় সুপ্রিম কোর্ট। এই পরিস্থিতিতে বুলডোজারে চড়ে মুসলমান যুবকের বিয়ের আসরে পৌঁছনো যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন কেউ কেউ।
এ প্রসঙ্গে বাহরাইচের বিজেপি বিধায়ক অনুপমা জয়সওয়াল বলেন, “দক্ষ প্রশাসনের প্রতীক হয়ে গিয়েছে বুলডোজার। রাজ্যের প্রত্যেক সম্প্রদায়ের প্রতিটি মানুষ তা মেনে নিয়েছেন। যারা অপরাধী তারাই বুলডোজারকে ভয় পায়। শান্তিপ্রিয় সাধারণ মানুষ বুলডোজারকে দক্ষ প্রশাসনের চিহ্ন হিসাবেই মনে করেন। সে কারণেই মুসলমান যুবক বুলডোজারে করে বিয়ে করতে আসার কথা ভেবেছেন।” তবে বিজেপি বিধায়কের কথা মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই। তাদের মতে, বুলডোজার দক্ষ প্রশাসনের পরিবর্তে ধ্বংসের প্রতীক। তাই বিজেপি বিধায়কের এই মন্তব্য করা উচিত হয়নি। সূত্র: টাইমস নাউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।