Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্রহ্মপুত্রের পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে নিম্নাঞ্চল

চিলমারী (কুড়িগ্রাম)উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৯ জুন, ২০২২, ৪:৫৭ পিএম

কুড়িগ্রামের প্রধান-প্রধান নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় তলিয়ে যাচ্ছে চিলমারী উপজেলার বিভিন্ন এলাকা। বাড়তে শুরু করেছে দূভোর্গ। বিশেষ করে চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছে নিন্মাঞ্চল, দ্বীপচর ও নদনদী তীরবর্তী এলাকার মনুষজন। গত ২৪ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পেয়ে চিলমারী পয়েন্টে বিপদ সীমার ৩৬ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল (রবিবার বেলা ১২টা পর্যন্ত) এবং তা অব্যাহত থাকায় বিপাকে পড়েছে সকল স্থরের মানুষজন। জানা গেছে, পানি বাড়ার ফলে এরই মধ্যে কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ডুবে গেছে পাট, আউস, সবজিসহ বিভিন্ন ফসলি জমি। টানা বৃষ্টির ফলে বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে এছাড়াও উজানের ঢলে ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় তলিয়ে যাচ্ছে একের পর এক এলাকা। তীব্র স্রোতে ভেঙ্গে গেছে বেশকিছু এলাকার রাস্তাঘাট, ভেঙ্গে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা হুমকির মুখে রয়েছে ডানতীর রক্ষা প্রকল্প। ডুবে যাচ্ছে ফসলি জমি। পানিবন্দি মানুষসহ কৃষকদের বাড়ছে দুশ্চিন্তা। কৃষকদের চোখে মুখে দেখা দিয়েছে হতাশ। কৃষক আজিজল বলেন, হঠাৎ বন্যায় আমাদের যে ক্ষতি হলো আমরা চলবো কি ভাবে আর ঋণ শোধ করবো কি ভাবে। টানা বৃষ্টির সাথে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জোড়গাছ, মাঝিপাড়া, ব্যাংক মারা, রাজারভিটাসহ চরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ায় তাদের মাঝে দেখা দিয়েছে হাহাকার। পানিবন্দি মানুষ ইতি মধ্যে বাঁধসহ উঁচু স্থানে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। চিলমারীর চিলমারী, অস্টমীরচর, নয়ারহাট সহ কয়েকটি এলাকার বীজতলা, সবজি ক্ষেত ও পাটক্ষেত জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। ফলে কৃষকরা দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টে বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ৩৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নয়ারহাট নব-নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, ব্রহ্মপুত্রের পানি বাড়াতে থাকায় ইউনিয়নের বজরা দিয়ারখাতা, ফেচকা, উত্তর খাউরিয়াসহ কয়েকটি চরের কয়েকশত পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বেশি করে বিপাকে পড়েছে পাট চাষিরা ইতি মধ্যে প্রায় ৭০ ভাগ পাট নষ্ট হয়েছে। ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে অষ্টমীরচর, নয়ারহাট, চিলমারী চরসহ বিভিন্ন চরের মানুষ। অষ্টমীর চর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সোহরাব হোসেন জানান, এই ইউনিয়নে ব্রহ্মপূত্রের ভাঙ্গনে প্রায় শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়েছে। আর পানি বন্দি হয়ে পড়েছে কয়েকশত পরিবার। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, বন্যা মোকাবেলায় সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এদিকে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বেশি করে বিপাকে পড়েছে বাঁধের পাড়ের মানুষজন, দেখা দিয়েছে তাদের মাঝে হাহাকার।



 

Show all comments
  • jack ali ১৯ জুন, ২০২২, ৫:১৬ পিএম says : 0
    ও আল্লাহ তুমি সাধারণ মানুষদেরকে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রেহাই দাও যারা এদেশের শত্রু তাদের পরে তুমি আল্লাহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ চাপিয়ে দাও আমিন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নিম্নাঞ্চল


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ