পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, দেশের ১০ জেলার ৬৪ উপজেলা বন্যাকবলিত। এর মধ্যে সিলেট ও সুনামগঞ্জে ভয়াবহ অবস্থা। বলা হচ্ছে, ১২২ বছরের ইতিহাসে সিলেট ও সুনামগঞ্জে এমন বন্যা হয়নি। বন্যাকবলিত সিলেট এবং সুনামগঞ্জে ৯০ হাজার মানুষকে উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে।
গতকাল শনিবার বিকেলে সচিবালয়ে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি এ কথা জানান। এনামুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দেশের সব সংস্থা একসঙ্গে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী না ঘুমিয়ে উদ্ধার কার্যক্রম তদারকি করছেন। গতকাল পরিস্থিতি খুবই খারাপ হয়, লাখ-লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে যায়। উদ্ধারের জন্য সিভিল প্রশাসন জলযান নিয়ে মাঠে নামে। সিলেট এবং সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক জানিয়েছিলেন, পানিবন্দির তুলনায় জলযান অপ্রতুল। তারা আরো সাহায্য চায়। যথেষ্ট পরিমাণ ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রম চলমান। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছে। উদ্ধার শেষ না হওয়া পর্যন্ত কার্যক্রম চালাবে সেনাবাহিনী। সিলেট ও সুনামগঞ্জে আগামী দুই দিনে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হবে। মঙ্গলবার ও বুধবার থেকে পানি কমে সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি আরো উন্নতি হবে। তবে, দেশের মধ্যাঞ্চলে বন্যা দেখা দেবে। এই সময়ে ওপরের পানি নেমে যাবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দেশের সব সংস্থা একসঙ্গে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী না ঘুমিয়ে উদ্ধার কার্যক্রম তদারকি করছেন। যথেষ্ট পরিমাণ ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রম চলমান। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছে, উদ্ধার কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত কার্যক্রম চালাবে সেনাবাহিনী। পানির স্রোতের কারণে সবার কষ্ট হচ্ছে, তারা উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাৎক্ষণিক আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনকে নির্দেশ দেন, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং কোস্ট গার্ডকে মোতায়েন করার জন্য। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী গতকাল দুপুরে ৩১টি স্পিডবোটসহ সেনাবাহিনী উদ্ধার কাজে নামে। রাতের দিকে নৌবাহিনী ৩০ জন ডুবরিসহ তাদের নৌযান নিয়ে উদ্ধার কাজ চালায়। কোস্টগার্ড সেখানে পৌঁছে। সবাই সম্মিলিতভাবে সিলেটে প্রায় ২৫ হাজার মানুষকে সাড়ে চারশ’ আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তর করে।
তিনি বলেন, সুনামগঞ্জে দশটি আশ্রয়কেন্দ্রে ৬৫ হাজার মানুষকে তারা উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে রান্না করা খিচুড়ি, মুড়ি, চিড়া, গুড়, পানি এবং পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে আমরা দুই জেলাতে ৮০ লাখ টাকা করে নগদ দিয়েছি। রেডিমেড খাবার বিতরণের জন্য এসব টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রায় ৩২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে। দুই জেলায় মোট দেড় হাজার টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত দুইদিন ধরে ১০ জেলায় ছিল এখন ২১ জেলায় বন্যা ছড়িয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আরো কিছু জেলায় বন্যার পানিতে প্লাবিত হবে। আমরা সব কিছুতে প্রস্তুত রয়েছি। তিনি বলেন, উত্তরাঞ্চলের কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, গাইবান্ধা, জামালপুর জেলাগুলোতে বন্যা দেখা দিয়েছে। সে জেলাগুলোয় সরকারিভাবে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ডিসিরা সে জেলাগুলো দেখভাল করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।