মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
একদল কম্পিউটার বিজ্ঞানী ও নির্বাচন আইনবিদ হিলারি ক্লিনটনের প্রতি ভোট পুনর্গণনার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। উইসকনসিন, মিশিগান ও পেনসিলভানিয়া- এ তিন সুইং স্টেটে (তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ রাজ্য) ভোট পুনর্গণনার বিষয়টি বিবেচনা করতে হিলারি ও তার নির্বাচনী প্রচারশিবিরের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এ অবস্থায় মিশিগান, উইসকনসিন ও পেনসিলভানিয়ার ফলাফল যদি হিলারির পক্ষে যায়, তাহলে সামগ্রিক ফলাফল উল্টে যাবেÑ হেরে যাবেন ট্রাম্প, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন হিলারি। মিশিগানের ইলেক্টরাল ভোট ১৬টি, উইসকনসিনের ১০টি এবং পেনসিভানিয়ার ২০টি নিয়ে তিন রাজ্যে ইলেক্টোরাল ভোট ৪৬টি। হিলারি এরই মধ্যে পেয়েছেন ২৩২টি। এর সঙ্গে ৪৬টি যোগ হলে দাঁড়ায় ২৭৮টি। অর্থাৎ হিলারি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী! কিন্তু হিলারি ও তার প্রচারশিবিরের পক্ষ থেকে ভোট পুনর্গণনার বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। আর গুনলেই যে হিলারি জয়ী হবেনই, এমন কোনো নিশ্চয়তাও নেই। বিশেষজ্ঞ দলে রয়েছেন ভোটাধিকারবিষয়ক অ্যাটর্নি জন বোনিফাজ। মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফল কম্পিউটার সিকিউরিটি অ্যান্ড সোসাইটি-এর পরিচালক জে. এলেক্স হলডারম্যানও এ দলে রয়েছেন। তাদের কাছে এমন কিছু তথ্য রয়েছে, যা থেকে তারা বিশ্বাস করছেন, উইসকনসিন, মিশিগান ও পেনসিলভানিয়ায় হয় ভোট কারচুপি না হয় ভোট হ্যাক করা হয়েছে। এ বিশেষজ্ঞ দল সম্ভবত তাদের প্রাপ্ত রেকর্ডপত্রের ওপর কথা বলছেন না বরং তারা ব্যক্তিগত পর্যায়ে হিলারির নির্বাচনী টিমের সঙ্গে যোগাযোগে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। নিউইয়র্ক ম্যাগাজিনের ডেইলি ইন্টেলিজেন্সার-এ ২২ নভেম্বর এ খবর প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার হিলারির প্রচারশিবিরের চেয়ারম্যান জন পোডেস্টা ও জেনারেল কাউন্সেল মার্ক এলিয়াসের সঙ্গে কনফারেন্স কলে বিশেষজ্ঞ দল কথা বলেছে। বিশেষজ্ঞ দল উদঘাটন করেছেন, উইসকনসিনে যেসব ভোটকেন্দ্রে অপটিক্যাল স্ক্যানার ও ব্যালট পেপার ব্যবহার করা হয়েছে, তার তুলনায় ইলেক্ট্রোনিক ভোটকেন্দ্রগুলোতে ৭ শতাংশ ভোট কম পেয়েছেন হিলারি। অর্থাৎ ইলেক্ট্রোনিক ভোটিং মেশিনে কারচুপি বা হ্যাক করা হয়ে থাকতে পারে। যদি তাই হয়, তাহলে হিলারির ৩০ হাজার ভোট নষ্ট হয়েছে, যেখানে ট্রাম্প জিতেছেন ২৭ হাজার ভোটে। গুরুত্বপূর্ণ হলোÑ বিশেষজ্ঞরা হ্যাকিং বা কারচুপির নির্দিষ্ট তথ্য উদঘাটন করতে পারেননি। ডেইলি ইন্টেলিজেন্সার, ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।