Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

২০২৩ এর মাঝামাঝি শতভাগ মানুষ বিদ্যুতায়নের আওতায় আসবে: নসরুল হামিদ

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ জুন, ২০২২, ৭:৪০ পিএম

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন এলাকাসমূহে শতভাগ মানুষকে বিদ্যুতায়নের আওতায় আনার কাজ চলমান রয়েছে। আগামী ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে এটি সম্পন্ন হবে বলে আশা প্রকাশ করা যাচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৪ জুন) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে চট্টগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

এ দিন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উত্থাপিত হয়। এ সময় প্রতিমন্ত্রী জনগণকে সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ দিতে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।

নসরুল হামিদ বলেন, ২০০৯ সালের আগে দেশে বিদ্যুৎ সুবিধাভুক্ত মানুষ ছিলো ৪৭ শতাংশ। গত ১৩ বছরে অবশিষ্ট ৫৩ শতাংশ মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এনে শতভাগ মানুষের কাছে এ সুবিধা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, পার্বত্য চট্টগ্রামের কিছু দুর্গম এলাকা বাদে দেশের সব উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন সম্প্রসারণ করা সম্ভব হয়েছে।

গণফোরামের মোকাব্বির খানের অপর এক প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল জানান, জনগণকে সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ দেওয়ার জন্য সরকার প্রতি বছর ক্যাপটিভ রেন্টাল বা ভাড়ায় চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রে ভর্তুকি দিচ্ছে। গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে এক হাজার ৭১৪ কোটি ৭৭ লাখ ও ২০২০-২১ অর্থবছরে এক হাজার ৩৭৮ কোটি ৪১ লাখ টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে।


নাটোর-২ আসনের শফিকুল ইসলাম শিমুলের এক প্রশ্নের জবাবে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী জানান, সর্বশেষ প্রাক্কলন অনুযায়ী দেশে মোট প্রাথমিক গ্যাস মজুদের পরিমাণ ৩৯ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন ঘনফুট।

এছাড়া উত্তোলনযোগ্য প্রমাণিত ও সম্ভাব্য গ্যাস মজুদের পরিমাণ ২৮ দশমিক ৪২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। শুরু থেকে গত ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত ১৯ দশমিক ১১ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলনের পর চলতি বছরের জানুয়ারিতে এ মজুদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৩০ ট্রিলিয়ন ঘনফুটে।

সরকারি দলের মোহাম্মদ এবাদুল করিমের এক প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ জানান, বর্তমানে দেশীয় গ্যাসক্ষেত্র হতে দৈনিক গড়ে দুই হাজার ৩০৩ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদিত হচ্ছে।

দেশে বর্তমানে আটটি গ্রাহক শ্রেণির অনুমোদিত গ্যাস লোড অনুযায়ী, দৈনিক চাহিদা তিন হাজার ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট। দেশীয় গ্যাসক্ষেত্র থেকে উৎপাদন কম হওয়ায় দৈনিক প্রায় ৮৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস এলএনজি আমদানির মাধ্যমে ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করা হচ্ছে।

সরকারি দলের বেনজীর আহমেদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে উৎপাদনরত ২০টি গ্যাসক্ষেত্রের উত্তোলনযোগ্য গ্যাসকূপের সংখ্যা ১০৭টি। সর্বশেষ আবিষ্কৃত জকিগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্রের উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের মজুদ রয়েছে ৫৩ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ঘনফুট।

এ সময় চট্টগ্রাম-১১ আসনের এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেন, কর্ণফুলী পেপার মিলের উৎপাদিত চার হাজার ৯৫ মেট্রিক টন কাগজ অবিক্রিত রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ