নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের ‘ই’ গ্রুপে বাহরাইন ও তুর্কমেনিস্তানের কাছে হেরে ইতোমধ্যে টুর্নামেন্ট থেকে প্রায় ছিটকে পড়েছে বাংলাদেশ দল। তবে গ্রুপের শেষ ম্যাচে স্বাগতিক মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ভালো ফল চায় লাল-সবুজরা। এ লক্ষ্যে মঙ্গলবার স্বাগতিকদের বিপক্ষে মাঠে নামবে জামাল ভূঁইয়া বাহিনী। কুয়ালালামপুরের বুকিত জলিল জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হবে মালয়েশিয়া-বাংলাদেশ ম্যাচটি। খেলাটি সরাসরি সম্প্রচার করবে টি-স্পোর্টস।
নিজ দেশের খেলা মানেই মালয়েশিয়ার বুকিত জলিল জাতীয় স্টেডিয়াম পরিপূর্ণ। ৬০ থেকে ৭০ হাজার দর্শকের গগনবিদারী চিৎকারে এলোমেলো হয়ে যান প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়রা। তাই ১১ ফুটবলারের সঙ্গে গ্যালারির প্রতিপক্ষ দর্শকদের চাপও মঙ্গলবার সামলাতে হবে বাংলাদেশের স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার দলকে।
এ ম্যাচে বাংলাদেশকে হারালে সেরা পাঁচ রানার্সআপের একটি হয়ে মালয়েশিয়ার মূল পর্বে খেলার সম্ভাবনা উজ্জল হবে। অন্যদিকে তুর্কমেনিস্তানের কাছে যদি বাহরাইন দুইয়ের কম গোলে হেরে যায়, তাহলে গ্রুপ সেরা হতে পারে মালয়রা। তাই বাংলাদেশের জন্য চূড়ান্ত পর্বে খেলার অংকটা অনেক জটিল। যেটা ভাল করেই জানা আছে কোচ ক্যাবরেরার। তাই ভবিষ্যতের চিন্তা না করে আপাতত মালয়েশিয়াকে আটকানোর পরিকল্পনা এই স্প্যানিশ কোচের। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের (১৮৮) চেয়ে ৩৪ ধাপ এগিয়ে মালয়েশিয়া (১৫৪)। সাম্প্রতিক সময়ের পারফরম্যান্সও তারা জামালদের চেয়ে এগিয়ে আছে। কিন্তু বাছাই পর্বে যেভাবে লড়াকু পারফরম্যান্স করেছেন রাকিব হোসেন-সাজ্জাদ হোসেনরা, তাতে জয়ের স্বপ্ন উকি দিচ্ছে বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের হƒদয়ে। বিশেষ করে তুর্কমেনিস্তানের কাছে ২-১ গোলে হারলেও জামালদের সাহসি এবং ইতিবাচক ফুটবলে নতুন আলো জ্বলে ওঠেছে। সেই আলোয় উদ্ভাসিত হওয়ার সুযোগটা হেলাফেলায় হারাতে চান না টুটুল হোসেন বাদশা-আনিসুর রহমান জিকোরা। সমর্থকরা মালয়েশিয়ার বড় শক্তি হলেও বাংলাদেশের আছে আত্মবিশ^াস। সঙ্গে আছে অতীতে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে জয়ের ইতিহাস। যেটা বাহরাইন ও তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে ছিল না। মালয়েশিয়ার সঙ্গে নয় বারের সাক্ষাতে বাংলাদেশের একমাত্র জয়টি এসেছিল চল্লিশ বছর আগে। ১৯৮২ সালের ২৪ নভেম্বর দিল্লিতে অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসে মালয়েশিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর আরও কয়েকবার জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও দুইবার ড্র এবং ছয়বার হেরেছে লাল-সবুজরা। তবে ক্যাবরেরার দলকে আশা দেখাচ্ছে দু’দলের মধ্যকার সর্বশেষ দুই লড়াইয়ের ফল। ২০১২ সালের ২০ নভেম্বর প্রীতি ম্যাচে ১-১ গোলে ড্র করার পর ২০১৫ সালের ২৯ আগস্ট সর্বশেষ প্রীতি ম্যাচে মালয়েশিয়ার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছিল বাংলাদেশ।
মঙ্গলবারের ম্যাচটি মালয়েশিয়ার মাঠে হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে চাপে থাকার কথা বাংলাদেশ দলকে। কিন্তু সেই চাপ অনুভব করছেন না বাংলাদেশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। তাই তো কুয়ালালামপুরে ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে সোমবার তিনি বলেন, ‘আমাদের উপর কোনো চাপ নেই। সব চাপ মালয়েশিয়ার উপর। নিজেদের ঘরের মাঠে খেলবে তারা, আমাদের চেয়ে র্যাঙ্কিংয়েও এগিয়ে আছে দলটি। এশিয়ান কাপে খেলার সুযোগ তাদের সামনে। আবারও বলছি আমাদের সামনে দারুণ সুযোগ। আমাদের জন্য এটাই সঠিক সময় দেখানোর যে, আমরা যে কারও বিপক্ষে লড়তে পারি। আমরা ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে লড়তে চাই। তবে একটা জিনিস বলতে চাই, আমাদের সত্যি ভালো একটা ফল প্রাপ্য। আমাদের সমর্থকদের ভালো একটা ফল উপহার দিতে চাই আমি। ভালো একটা ফল নিয়ে দেশে ফিরতে চাই, দেশকে কিছু একটা উপহার দিতে চাই। আমরা আমাদের সুযোগের উপর ভরসা রাখতে চাই। কাল (মঙ্গলবার) আমরা আমাদের সেরাটাই উপহার দেব এবং জয় তুলে আনার চেষ্টা করবো।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।