Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জ্বর থেকে শুরু করে ভালো হয় ক্যানসারও

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ জুন, ২০২২, ১২:০৩ এএম

কুলু কুলু বয়ে চলা নদীটির নাম বাতাং হারি। তারই গা ঘেঁষে সটান দাঁড়িয়ে আছে মুয়ারা জাম্বি। ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে অবস্থিত জাম্বি প্রদেশের একটি সুপ্রসিদ্ধ গ্রাম। এখানকার অধিকাংশ মানুষেরই ধ্যান-জ্ঞান-জীবিকা ঔষধি গাছকে ঘিরে। নতুন নতুন ঔষধি সংগ্রহ করে চাষ এবং সংরক্ষণ করে তা বাণিজ্যিকীকরণ- সে গ্রামের মানুষের সুপ্রাচীন ঐতিহ্য। কী নেই গ্রামটিতে? স্থানীয় একজন বদ্যির মতে, জ্বর থেকে শুরু করে পেট ব্যথা, হাড় ফাটা এমনকি ক্যান্সার নিরাময়েরও ঔষধি গাছ রয়েছে গ্রামটিতে। ইন্দোনেশিয়ার প্রথাগত ঔষধি চিকিৎসকদের স্থানীয় ভাষায় দুকুন নামে সম্বোধন করা হয়। এমনই একজন সিতি হাওয়া (৬২)। ঘাসের মতো পাতা ছড়ানো একটি গাছ দেখিয়ে জানালেন, কাশি কমাতে এ গাছের ফুল সিদ্ধ করে খাওয়ানো যেতে পারে। সিতির এলাকায় ২০ ধরনেরও বেশি ঔষধি গাছের চাষ হয়-যেগুলোর মধ্যে পেট ফোলা, ম্যালেরিয়াসহ অনেক জটিল রোগের চিকিৎসা করার গাছও রয়েছে। ব্রিচ বেবী (মায়ের পেট থেকে উল্টোভাবে প্রসব হওয়া) হয়ে জন্মেছিলেন সিতি। তিনি আল-জাজিরাকে হাসতে হাসতে বললেন, ‘একজন ব্রিচ বেবীকে তো অবশ্যই দুকুন হতে হয়। আপনি দেখুন (গাছগুলো দেখিয়ে) আমার বাড়ির উঠোনে কত্তো ওষুধ।’ সিতি একা নন। ইন্দোনেশিয়ার জাম্বি প্রদেশের মুয়ারা জাম্বির এই ঐতিহ্য ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বব্যাপী। স্থানীয় ঔষধি উদ্ভিদ সংরক্ষণ গোষ্ঠী মেনাপো হাউজ অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা মুখতার হাদি বলেন, ‘প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই আপনি ঔষধি গাছ পাবেন।’ পৃথিবীর আনুমানিক ১০ শতাংশ বিরল প্রজাতির ফুলেল উদ্ভিদ ইন্দোনেশিয়া ছাড়া পৃথিবীর আর কোথাও পাওয়া যায় না। আল-জাজিরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ক্যানসার

১২ সেপ্টেম্বর, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ