মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিজ্ঞান বইয়ের পাতায় লেখা থাকত এতদিন, মানবদেহে তিনটি প্রধান লালাগ্রন্থি রয়েছে। প্যারোটিড, সাবম্যান্ডিব্যুলার এবং সাব-লিঙ্গুয়াল। এ ছাড়াও শরীরের ন্যাসোফ্যারিঙ্গাল অংশে রয়েছে হাজারো অসংখ্যক্ষুদ্র এবং অতি-ক্ষুদ্র লালাগ্রন্থি।
সেসব বইয়ের পরবর্তী সংস্করণে লালাগ্রন্থির সংখ্যা একটা বেড়ে যাবে। নেদারল্যান্ডসে বিজ্ঞানীদের এক দল প্রস্টেট ক্যানসারের বিষয়ে গবেষণা করার সময় আচমকাই ওই অঙ্গ খুঁজে পান। বিজ্ঞান বিষয়ক ওয়েবসাইট লাইভসায়েন্সের এক প্রতিবেদন থেকে তেমনটাই জানা গিয়েছে।
‘নেদারল্যান্ডস ক্যানসার ইনস্টিটিউটে’র ওই গবেষকরা গলার উপরের দিকে হাজার হাজার আণুবীক্ষণিক লালা গ্রন্থি দেখতে পেয়েছেন। গ্রন্থিগুলির তারা নামকরণ করেছেন ‘টিউবারিয়াল লালা গ্রন্থি’। গবেষকরা ১০০ জনের উপর পরীক্ষা চালিয়ে নিশ্চিত হয়েছেন নাকের পিছনে থাকা প্রায় দেড় ইঞ্চি লম্বা একজোড়া লালাগ্রন্থির। যা সন্নিহিত অঞ্চলকে শুষ্কতার থেকে রক্ষা করে।
যদিও নেহাতই আকস্মিক ভাবেই এই লালাগ্রন্থির সন্ধান পাওয়ার কথা জানিয়েছেন গবেষকদ্বয়। প্রস্টেট ক্যান্সার নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছিলেন তারা। যেখানে একই ব্যক্তির দেহে সিটি স্ক্যান এবং আরও আধুনিক পিএসএমএ পজিট্রন এমিসন টমোগ্রাফি স্ক্যান করে। সেই ছবি থেকে পরীক্ষা চালানো হচ্ছিল। সেই সূত্রেই ‘ট্রেসার’ এলিমেন্ট ঢুকে পড়ছিল ওই লালাগ্রন্থিতে।
একজনের দেহে এ রকম ছবি পাওয়ার পর পরীক্ষার জন্য আরও ১০০ মানুষকে এই লালাগ্রন্থির অস্তিত্বের খোঁজে পরীক্ষায় সামিল করেন তারা। সব ক্ষেত্রেই তা দেখার পর মৃত শরীরেও পোস্টমর্টেম করে গ্রন্থিটির উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তা গবেষণাপত্রে প্রকাশ করেছেন তারা।
গবেষকদের দাবি, এই গ্রন্থির আবিষ্কার ক্যান্সার চিকিৎসায় কেমোথেরাপি দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা নেবে। চিকিৎসকরা ক্যানসারের চিকিৎসার সময় রেডিওথেরাপি ব্যবহার করেন। সেই সময় তারা প্রধান লালাগ্রন্থিগুলিকে বাঁচিয়ে তা প্রয়োগ করেন, যাতে রোগীদের খেতে, কথা বলতে কিংবা খাবার চিবোতে সমস্যা না হয়।
কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, যেহেতু ওই আণুবীক্ষণিক লালা গ্রন্থিগুলি সম্পর্কে তারা অবহিত ছিলেন না তাই সেগুলো হয়তো রেডিয়েশনের কবল থেকে বাঁচত না। ফলে রোগীর শরীরে আরও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যেত। আগামী দিনে বিজ্ঞানীরা এই লালা গ্রন্থিগুলির সম্পর্কে সচেতন থাকলে রেডিয়েশনের সময় রোগীদের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমবে। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।