পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতের ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতাদের মহানবী সা.-কে নিয়ে কটূক্তির পর মুসলিম দেশগুলোর কাছ থেকে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারত। কাতার, কুয়েত ও ইরান রোববার ভারতের দূতদের তলব করে তাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে। এছাড়া ওআইসি, সউদী আরব, পাকিস্তান, ওমান নিন্দা করেছে ভারতের। আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দলটি এ প্রেক্ষাপটে দলের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ভারতের ভাইস প্রেসিডেন্ট বেঙ্কাইয়া নাইডু বর্তমানে কাতার সফর করছেন। তারই মধ্যে সেদেশে অবস্থিত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব করার ঘটনাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা।
সাম্প্রতিক এক টেলিভিশন বিতর্কে মহানবী (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি করায় বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে রোববার দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। আর বিজেপির দিল্লি মিডিয়া অপারেশন প্রধান নবীন কুমার জিন্দালকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে দলটি জানিয়েছে।
জানা গেছে, নূপুর শর্মা গত সপ্তাহে এক টিভি বিতর্কে মহানবী (সা.) ও তার স্ত্রী আয়েশা (রা.) সম্পর্কে অপমানসূচক মন্তব্য করেন। এ বিতর্ক নিয়ে তীব্র প্রতিবাদের মুখে নূপুরের সহকর্মী জিন্দাল টুইটারে মহানবী (সা.) সম্পর্কে আরো কিছু কটূক্তি করেন। এতে ক্ষোভ আরো বাড়ে। ওই টুইটার পোস্টটি এখন সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
তাদের এ মন্তব্যের পর ভারতীয় এক রাজ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায় এবং নূপুরকে গ্রেফতারের দাবি ওঠে।
গত রোববার কুয়েত ও কাতারের ভারতীয় রাষ্ট্রদূতদের তলব করে ওই মন্তব্যের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদ জানানো হয়।
ওমানের গ্র্যান্ড মুফতি আহমেদ বিন হামাদ আল-খালিলি ভারতের ক্ষমতাসীন চরমপন্থী দলের সরকারি মুখপাত্রের অভদ্রতা এবং অশ্লীল অভদ্রতার’ নিন্দা করেছেন। তবে, অনেক পর্যবেক্ষক উল্লেখ করেছেন যে, ভারতে মুসলমান এবং নাগরিক অধিকার কর্মীরা এক সপ্তাহ আগে যখন তাদের মন্তব্য প্রথম রিপোর্ট করা হয়েছিল তখন দু’জন কোনো পদক্ষেপের মুখোমুখি হননি। এর বিপরীতে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ইসলামবিরোধী মন্তব্যের বিষয়টি প্রকাশকারী সাংবাদিককে গ্রেফতারের জন্য বিজেপি সমর্থকদের কাছ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ‘অত্যন্ত আপত্তিকর মন্তব্য’ এবং বিজেপির প্রতিক্রিয়ার নিন্দা করে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের বিবৃতিতে বলে, এসব সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য মন্তব্য কেবল পাকিস্তানের নয়, সারা দুনিয়ার কোটি কোটি মুসলিমকে আহত করেছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও বিজেপি নেত্রীর মন্তব্যের নিন্দা করেন।
ইসলামী সহযোগিতা সংস্থাও (ওআইসি) এ ঘটনায় ভারতের নিন্দা করেছে। সউদী আরবও বিজেপি মুখপাত্রের ‘অপমানসূচক’ মন্তব্যের নিন্দা করেছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে ‘সব বিশ্বাস ও ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন’ করার আহ্বান জানিয়েছে।
আন্তর্জাতিক মূল্য দিতে হবে : দিল্লিভিত্তিক সাংবাদিক সাবা নকভি আল-জাজিরাকে বলেন, বিজেপি ইতঃপূর্বে ভারতে মুসলিমদের বিরুদ্ধে উত্তেজনা সৃষ্টি করে রাজনৈতিকভাবে লাভবান হয়েছে। নকভি বলেন, ‘কিন্তু এবার তাদেরকে আন্তর্জাতিক মূল্য দিতে হবে’। তিনি বলেন, ভারতে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম মুসলিম জনগোষ্ঠী রয়েছে। ফলে এ ঘটনা বিশ্ব জেনে গেছে।
ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক : পদক্ষেপ করেও ক্ষোভ প্রশমন হচ্ছে না। উল্টো মহানবী (স:-)কে নিয়ে ভারতের বিজেপির নেতৃত্বের বিতর্কিত মন্তব্যের অভিঘাত ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। ভারতীয় পণ্য বয়কটের জন্য সোশাল মিডিয়ায় হু হু করে বার্তা ছড়িয়ে পড়ছে। বিদেশে প্রশ্নের মুখে পড়েছে ভারতীয় ধর্ম-নিরপেক্ষতার নীতি।
সংযুক্ত আরব আমিরাত, সউদী আরব এবং ইরাক ২০২১ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ভারতের তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম বৃহত্তম ব্যবসায়িক অংশীদার ছিল। একটি বিশাল প্রবাসী জনসংখ্যার সাথে এ অঞ্চলটি তার আগত রেমিটেন্সের অর্ধেকেরও বেশি ভারতে পাঠায়। উপসাগরীয় অঞ্চলে ভারতীয় পণ্য বয়কটের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় আহ্বানের কারণে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় ভারতীয় জনতা পার্টি রোববার একজন মুখপাত্রকে বরখাস্ত করেছে এবং অন্য একজনকে বহিষ্কার করেছে।
২০২১-২০২২ সালে সাতটি উপসাগরীয় দেশের সাথে ভারত প্রায় ১৮৯ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য করেছে, যা আমদানি ও রফতানির মোট মূল্যের ১৮.৩ শতাংশ প্রতিনিধিত্ব করে। বাণিজ্য ছাড়াও আরব দেশগুলোতে ভারতে গুরুত্বপূর্ণ ডায়াসপোরার সংখ্যা এই অঞ্চলকে গুরুত্বপূর্ণ গুরুত্ব দেয় এবং যদি এটির সুরাহা না করা হত তবে প্রতিক্রিয়া একটি বৃহত্তর বা সরকারি বয়কটের মধ্যে বহুগুণ বেড়ে যেতে পারে। ২০১৭ সালে পাঁচটি উপসাগরীয় দেশ ভারতের মোট রেমিট্যান্স প্রবাহের ৫৪ শতাংশ যোগান দেয়।
দলের জাতীয় মুখপাত্র নূপুর শর্মা ও দিল্লির মিডিয়া প্রধান নবীন কুমার জিন্দালের মন্তব্য ঘিরে যে বিতর্ক হবে তা হয়তো আঁচ করেছিল পদ্মবাহিনী। তাই আগুনে ঘি পড়তেই তড়িঘড়ি এ দু’জনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। বিজেপির তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয় যে, তারা ‘সকল ধর্মকে সম্মান করে’ এবং ‘যেকোনো ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের অবমাননার তীব্র নিন্দা করে।’
ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে কাতার। সেদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ভারতীয় রাষ্ট্রদূত দীপক মিত্তালকে তলব করা হয়েছিল এবং একটি ‘সরকারি নোট হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখানে মহানবী (স:)-এর বিরুদ্ধে ভারতের ক্ষমতাসীন দলের দুই নেতা-নেত্রীর মন্তব্যে কারণে অসন্তোষের কথা বলা হয়েছে এবং বিতর্কিত মন্তব্যের সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান ও নিন্দা প্রকাশ করা হয়েছে।’
বিবৃতিতে যোগ করা হয়, ‘এ মন্তব্যের জন্য কাতার ভারত সরকারের কাছ থেকে জনসাধারণের উদ্দেশে ক্ষমা এবং অবিলম্বে নিন্দা প্রত্যাশা করছে, এ ধরনের ইসলামবিরোধী মন্তব্যের কারণে শাস্তি না হওয়া মানবাধিকার সুরক্ষার জন্য একটি গুরুতর বিপদ এবং তা আরো কুসংস্কারের দিকে ঠেলে দিতে পারে, যা ক্রমশ হিংসা ও ঘৃণার চক্র তৈরি করবে। এছাড়া এ ধরনের অপমানজনক মন্তব্য ধর্মীয় বিদ্বেষের উসকানি দেবে এবং সারা বিশ্বের দুই বিলিয়নেরও বেশি মুসলমানকে ক্ষুব্ধ করবে।’
তেহরানের তরফেও বিজেপি কর্মকর্তাদের মন্তব্য নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান চলতি সপ্তাহে ভারত সফরে আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
পাকিস্তানও অসন্তোষের কথা উল্লেখ করেছে। বিশ্বমঞ্চে দিল্লিকে কোনঠাসা করতে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ বলেছেন, ‘বারবার বলেছি যে, মোদির অধীনে ভারত ধর্মীয় স্বাধীনতাকে পদদলিত করছে এবং মুসলমানদের নিপীড়ন করছে। বিশ্বের এ দিকটি দেখা প্রয়োজন এবং ভারতকে কঠোরভাবে তিরস্কার করা উচিত।’
ভারতের ডানপন্থী টিভি নিউজ চ্যানেলগুলোতে বিজেপি সমর্থকদের মুসলিমবিদ্বেষী বক্তব্য দেখানো হয়, কিন্তু ক্ষমাপ্রার্থনা বা বক্তব্য প্রত্যাহার খুব কমই দেখা যায়। ঘটনাটি ভারতীয় জনতা পার্টির অভ্যন্তরীণ রাজনীতির মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনাকে তুলে ধরে।
ভারতের গ্যাস চাহিদার প্রায় ৪০ শতাংশ কাতার থেকে আসে এবং প্রায় ৬৫ লাখ ভারতীয় উপসাগরীয় অঞ্চলে বাস করে। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক গভীর করতে ভারতের ভাইস প্রেসিডেন্ট এম ভেঙ্কাইয়া নাইডুর কাতার সফরের সময় কূটনৈতিক ঘটনাটি ঘটেছে। শর্মা এবং জিন্দালকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত কিছু বিজেপি সমর্থককে ক্ষুব্ধ করেছে যারা এ সিদ্ধান্তকে ‘কাপুরুষোচিত’ বলে অভিহিত করে।
একটি ভিডিও অনলাইনে প্রচারিত হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে হিন্দুত্ববাদী জঙ্গি গোষ্ঠীর নেতা ইয়াতি নরসিংহান মহানবী মুহাম্মদ (স.) সম্পর্কে তার মন্তব্যকে দ্বিগুণ করছেন এবং সমস্ত মুসলমানকে ‘অপরাধী’ বলছেন। গত সপ্তাহে জারি করা মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের একটি প্রতিবেদনে ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের হত্যা, হামলা এবং ভয় দেখানোর বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। ভারত সরকার গভীরভাবে উদ্বিগ্ন, প্রতিবেদনটিকে ‘অজ্ঞাত’ এবং ‘পক্ষপাতমূলক’ বলে অভিহিত করেছে। সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান, আল-জাজিরা, ডন অনলাইন, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
ভারতে মহানবীর (সা.) অবমাননায় মুসলিম উম্মাহ ক্ষুব্ধ : স্টাফ রিপোর্টার জানান, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ও হজরত আয়েশা (রা.) কে নিয়ে নিয়ে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির মুখপাত্র নূপুর শর্মা ও দিল্লি শাখার গণমাধ্যম প্রধান নবীন কুমার জিন্দালের অবমাননাকর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ। নেতৃবৃন্দ বলেন, ভারতে মহানবী (সা.) কে নিয়ে অবমাননা করায় মুসলিম উম্মাহ চরমভাবে ক্ষুব্ধ ও ব্যাথিত। উগ্রবাদী বিজেপির ইসলাম বিদ্বেষী বক্তব্য প্রত্যাহার করে মুসলিম বিশ্বের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
পীর সাহেব চরমোনাই : সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ও তাঁর স্ত্রী হযরত আয়েশা (রা.) কে নিয়ে ভারতের বিজেপি নেতাদের অবমাননাকর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই। উগ্রবাদী বিজেপির এধরণের অবমাননাকর বক্তব্য প্রত্যাহার এবং মুসলিম বিশ্বের কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, অন্যথায় বিশ্বময় প্রতিবাদের আগুন জ্বলে উঠলে ভারতের আখের রক্ষা হবে না।
গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, অবমাননার প্রতিবাদে বিশ্বের দেশে দেশে প্রতিবাদের আগুন জ্বলে উঠলেও বাংলাদেশের সরকারের পক্ষ থেকে এখনো প্রতিবাদ না করায় মুসলিম উম্মাহ ক্ষুব্ধ ও ব্যথিত। এখন ভারত সরকারের তরফ থেকে এ নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। তিনি মুসলিম বিশ্বে ভারতীয় পণ্য বয়কটের আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি : বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির এক সভায় নেতৃবৃন্দ ভারতে মহানবী (সা.) ও আয়েশা (রা.) কে নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে এ ঘঁনার সাথে জড়িতদের অবিলম্বে গেস্খফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।
বাদ মাগরিব বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সাপ্তাহিক সভা পার্টির সভাপতি মাওলানা আব্দুর রশিদ মজুমদারের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব মুফতি মুহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন পার্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক এহতেশাম সারওয়ার, মুফতি জিয়াউল হক মজুমদার, মাওলানা শেখ লোকমান হোসেন, হাফেজ নুরুজ্জামান, মো. মনির হোসেন, মীরুজামান। সভায় বক্তারা বলেন যে বিজেপি নেত্রী নুপুর শর্মা হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর বিবাহ ও ইসলাম নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করেন। তারা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মুসলমানদেরকে শান্ত থেকে মোকাবেলা করার আহ্বান জানান।
ইসলামী ঐক্যজোট : মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ও হজরত আয়েশা (রা.) কে নিয়ে নিয়ে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির মুখপাত্র নূপুর শর্মা ও দিল্লি শাখার গণমাধ্যম প্রধান নবীন কুমার জিন্দালের অবমাননাকর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী ঐক্যজোট। আজ সোমবার দলের চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী ও মহাসচিব মুফতী ফয়জুল্লাহ এক যৌথ বিবৃতিতে এ নিন্দা জানান। বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, মহানবী (সা.) ও হজরত আয়েশা (রা.)কে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করে বিজেপির দুই নেতা বিশে^র কোটি কোটি মুসলমানের হৃদয়ে আঘাত করছে। এ ঘটনায় আরব বিশে^ প্রতিবাদের ঝড় ওঠেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক উঠেছে। নেতৃদ্বয় বিবৃতিতে ভারত সরকারকে অন্যের ‘বিশ্বাস ও ধর্মের প্রতি সম্মান’ জানানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, রাসূল (সা.)-এর অবমাননা সর্বকালে অগ্রহণযোগ্য ও সবদিক থেকে ধিক্কারযোগ্য। এতে মুসলিমদের হৃদয় ক্ষতবিক্ষত হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।