পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একাংশের নিয়ন্ত্রক দিয়াজ ইরফান চৌধুরী (২৫) আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ঝোলানো অবস্থায় দিয়াজের লাশ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গতরাত সাড়ে ৯টার দিকে দিয়াজের মৃত্যুর খবর ক্যাম্পাসে এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দিয়াজের বাসার আশপাশে ভিড় জমায়।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) এইচ এম মশিউদ্দৌলা রেজা বলেন, বাসার ভেতর লাশ ঝুলছে খবর পেয়ে হাটহাজারী থানা থেকে পুলিশ সেখানে যায়। দরজা ভেঙে বাসায় ঢোকার পর ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ পাওয়া গেছে। এখন লাশটি উদ্ধার পরবর্তী প্রক্রিয়া চলছে।
হাটহাজারী থানার ওসি বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর বলেন, ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজের লাশ উদ্ধার করার জন্য আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। কীভাবে মৃত্যু হয়েছে সেটা তদন্তের পর বলা যাবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপু বলেন, দিয়াজ আত্মহত্যা করেছে বলে শুনেছি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়া দিয়াজের অনুসারী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শোভন শুভ বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেইট এলাকায় ভাড়া বাসায় ফ্যানের সঙ্গে দড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় আমরা দিয়াজ ভাইকে দেখেছি। রাত পৌনে ১০টার দিকে পুলিশ দরজা ভেঙে বাসার ভেতর ঢুকে।
শোভন জানান, সম্প্রতি কোন্দলের জের ধরে দিয়াজের বাসায় ভাঙচুর হয়। এরপর থেকে তার মা ও বোন এ বাসায় থাকেন না। তার ছোট ভাই ঢাকায় থাকেন। দিয়াজ একাই বাসায় থাকেন। শত্রুতার জেরে কেউ তাকে খুন করে লাশ ঝুলিয়ে দিয়েছে কিনা সেটা তদন্ত করে দেখার অনুরোধ করেন শোভন। শোভন জানান, দিয়াজের মা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন বিভাগের কর্মকর্তা। তার বাবা নেই।
এদিকে দিয়াজের মৃত্যু খবরে ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতিতে দিয়াজ ইরফান চট্টগ্রামের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী ছিলেন। সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মেয়রের অনুসারী ছাত্রলীগের মধ্যে দুটি ধারা সৃষ্টি হয়। সূত্রমতে, এর একটি ধারার নেতৃত্বে আছেন বর্তমান সভাপতি আলমগীর টিপু এবং নেপথ্যে থেকে আরেকটি ধারার নেতৃত্ব দিতেন দিয়াজ। দলীয় কোন্দলের জেরে সম্প্রতি দিয়াজের বাসায় ব্যাপক ভাঙচুর ও লটপাট হয়। এ ঘটনার পর তার মাকে থানায় মামলা করতে গিয়ে হেনস্থা হতে হয়।
দিয়াজের অনুসারী ছাত্রলীগ নেতা শোভন শুভ বলেন, বাসায় ভাঙচুরের পর দিয়াজ ভাই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। তার উপর অনেক ধরনের চাপ ছিল। কিন্তু এজন্য দিয়াজ ভাই আত্মহত্যা করবেন, এটা আমরা মানতে পারছি না। এজন্য আমরা তাকে কেউ মেরে ঝুলিয়ে রেখেছে কিনা সেটা তদন্তের দাবি জানান তিনি। শোভন জানান, গত শনিবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সুবর্ণ জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে ছিলেন দিয়াজ ইরফান। এ সময় তাকে হাসিখুশিই দেখা গিয়েছিল। সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে ক্যাম্পাসে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আলাউদ্দিন নাসিমের সঙ্গে সেলফিও তোলেন দিয়াজ। সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীদের সঙ্গে দিয়াজ এসময় হাসিঠাট্টায় মেতে ওঠেন বলে জানান নগর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।