পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি বলেছেন, আওয়ামী লীগ ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে। যতদিন জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকবেন ততদিন জনগণ কষ্টে থাকবে না। শ্রীলঙ্কায় দুর্ভিক্ষ হয়েছে। আমরা কখনও শ্রীলঙ্কার মতো হবো না। তিনি গতকাল সোমবার নগরীর পাঁচলাইশে দি কিং অব চিটাগাং কমিউনিটি সেন্টারে নগর যুবলীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশে করোনার মহামারী হয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে। তারপরও দেশ সুন্দরভাবে চলছে জননেত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে। বিশ্বে তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশেও পেয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনা তেলের দাম জনগণের নাগালের মধ্যে রেখেছেন। তিনি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। আজকে পদ্মা সেতু হয়েছে। এ সেতু নিয়েও কত কথা হয়েছে। কিন্তু তিনি সমস্ত কিছুকে পেছনে ফেলে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু তৈরি করেছেন। আমেরিকা-কানাডায় যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশেও সেভাবে নির্বাচন হয়। শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশ কখনও পিছিয়ে পড়বে না। বরং সামনে এগিয়ে যাবে।
বিএনপি-জামায়াত কখনও গণতান্ত্রিক দল হতে পারে না-মন্তব্য করে তিনি বলেন, যাদের নেতা যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযম, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী; তাদের উত্তরসূরীরা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করতে চায়। কিন্তু তাদের সে স্বপ্ন কখনোই বাস্তবায়ন হবে না। নির্বাচনের মাধ্যমেই সরকার নির্বাচিত হবে।
স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্রের যদি কেউ সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে থাকে সে হলো জিয়াউর রহমান। জিয়া ছিল পাকিস্তানি। তার মা-বাবার কবর পাকিস্তানে। তার জন্মই পাকিস্তানে। সে-ই সবচেয়ে বেশি দেশের ক্ষতি করেছে। সম্মেলনে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খাঁন নিখিল, যুগ্ম-সাধারণ সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম ছাড়াও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ভোর ৬টা থেকে আশপাশের বেশ কয়েকটি সড়ক বন্ধ করে দেয়ায় দিনভর চরম দুর্ভোগের শিকার হয় লোকজন। চমেক হাসপাতালসহ ওই এলাকায় বেশ কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। সেখানে নগরী ছাড়াও দূরদূরান্ত থেকে শত শত রোগী আসে। এতে রোগী ও তাদের স্বজনদের দুর্ভোগের মুখোমুখি হতে হয়। সম্মেলন উপলক্ষে পাঁচলাইশ-প্রবর্তক প্রধান সড়ক ছাড়াও আশপাশের আবাসিক এলাকাগুলোর প্রধান ফটক বন্ধ করে দেয়া হয়। এছাড়া বাঁশের প্রতিবন্ধকতা দেয়া হয় সুগন্ধা আবাসিক এলাকার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতেও।
এতে ভোগান্তিতে পড়েন এসব সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারীরা। এর প্রভাবে মেডিক্যাল কলেজ সংলগ্ন কে বি ফজলুল কাদের সড়ক, প্রর্তক ২ নম্বর গেইট সড়ক, গোলাপাহাড় ও জিইসি মোড়ের সড়কগুলোতে তীব্র যানজট হয়। ব্যস্ততম এসব সড়কে যানজট আটকা পড়ে লোকজনকে ক্ষোভ অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা যায়। যেখানে মিছিল কিংবা মানববন্ধনের মতো ছোট কোন কর্মসূচিতে কিছু সময়ের জন্যও বিরোধী দলকে পুলিশ রাস্তায় দাঁড়াতে দেয় না, সেখানে সরকারি দলের সহযোগী সংগঠনের জন্য দিনভর রাস্তা বন্ধ করে দেয়ার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও অনেকে নানা মন্তব্য করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।