পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার ভিশন শেখ হাসিনামুক্ত বাংলাদেশ বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার ভিশন জেগেছে, তা হলো শেখ হাসিনামুক্ত বাংলাদেশের। উনার ভিশনেই উনার পোলা (তারেক রহমান) ২০০৪ সালেই গ্রেনেড হামলা করেছেন। শেখ হাসিনাকে মারবে এটাই তাদের ভিশন।
গতকাল (রোববার) বিকালে রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ ফজলুল করিম সেলিম অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনাকে হত্যা করা খালেদা জিয়ার শেষ ভিশন। তিনি বলেন, তোমার (খালেদা) যতই ষড়যন্ত্র থাকুক সেই ভিশন তুমি বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করতে পারবে না। তোমার পেট্রলবোমার ভিশন যেমন ব্যর্থ হয়েছে, তেমনি এই ভিশনও ব্যর্থ হবে।
আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু ‘ভবিষ্যতে প্রতিহিংসামূলক কাজ করব না’ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দলীয় কাউন্সিলে দেয়া এ বক্তব্য তুলে ধরে বলেন, চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী।
আমু বলেন, যাদের জন্ম হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে, তাদের কেউ বিশ্বাস করতে পারে না। ২০১৫ সালেও যারা পেট্রলবোমা মেরে মানুষ হত্যা করেছিল তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা কেউ বিশ্বাস করে না।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, একজন নেত্রী উনি বলেন কি; ভষিষ্যতে তিনি প্রতিহিংসামূলক কাজ করবেন না। তার মানে অতীতে প্রতিহিংসামূলক কাজ করেছিলেন। খালেদা জিয়া আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিলেন।
আলোচনা সভায় দলটির সভাপতিম-লীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, যদি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা করেন তবে তো স্বাধীনতা দিবস হওয়ার কথা ছিল ২৭ মার্চ। কিন্তু তা তো হয়নি। আমাদের স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চ।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ‘হাসিনামুক্ত নির্বাচন’ বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে এ বক্তব্য পরিষ্কার করতে হবে। তা না হলে তাকে (খালেদা জিয়া) গ্রেফতার করে সঠিক ব্যবস্থা নেয়া হোক।
দলের সভাপতিম-লীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা: দীপু মনি, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।