পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : মার্কিন দূতাবাসের সাবেক প্রটোকল অফিসার ও দাতা সংস্থা ইউএসএইডের কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নান হত্যার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির ফোনের তীব্র সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি। তিনি বলেন, আজ জন কেরি যে কথা বলে, বিএনপি-জামায়াতও একই কথা বলে।
গতকাল শুক্রবার বিকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের এক যৌথ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের কর্মসূচি নির্ধারণে ওই যৌথ সভাটি করা হয়।
শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, জন কেরি আমাদের শিক্ষা দেয়, শেখ হাসিনাকে ফোন করে বলে তাদের নাগরিক, বন্ধু জুলহাজ মান্নানের হত্যাকা-ের বিচার করুন। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে নৃশংস হত্যাকা-ের সময়, বিশ্বের জঘন্যতম ওই হত্যাকা-, যেখানে মা-শিশুকে হত্যা করা হয়েছিল নির্মমভাবে, তখন জন কেরিরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অবৈধ সরকারকে স্বীকৃতি দিয়ে বাংলাদেশে খুনের রাজনীতির ইন্ধন দিয়েছিল।
তিনি বলেন, আজকেও আমেরিকায় অবস্থান করছে বঙ্গবন্ধুর তিনজন খুনি। কিন্তু তারা তাদের এখনও হস্তান্তর করছে না। এদের রাজনীতি হচ্ছে বাংলাদেশ যাতে সামনে এগিয়ে যেতে না পারে। এদের রাজনীতি হচ্ছে যেন বাংলাদেশে গণতন্ত্র অব্যাহত না থাকে। এরা বঙ্গবন্ধুকে বিপর্যস্ত করেছিল, মুক্তিযুদ্ধে আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। এরা নিজেদের স্বার্থের জন্য সবকিছু করতে পারে।
সেলিম বলেন, জুলহাজের খুনীরা যেই হোক না কেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা তাদের খুঁজে বের করবই। তাদের বিচার করব। কিন্তু দেশের জনগণকে বলব, ষড়যন্ত্রকারীদের কোনোভাবেই উৎসাহিত করবেন না। কারণ আমরা হত্যার ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করি না, সে রাজনীতি বঙ্গবন্ধুও করেননি, শেখ হাসিনাও করেন না। আর বিএনপি-জামায়াত স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি যেন কোনোভাবেই মাথাচাড়া দিয়ে না উঠতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। যে যেখানেই কোনো ষড়যন্ত্র দেখবেন, সাথে সাথেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানাবেন।
তিনি বলেন, কিছুদিন আগে আওয়ামী লীগের একজন নেতাকেও হত্যা করা হয়েছে। জন কেরিরা সে কথা বলেন না। তারা উদ্দেশ্য নিয়ে কথা বলেন। এই জন কেরি, যখন কাদের মোল্লার ফাঁসি হয় তখনও প্রধানমন্ত্রীকে ফোন দিয়ে বলেছিলেন, ‘ফাঁসি না দিয়ে পারা যায় না?’ আমার দেশে গণহত্যা করেছে, তাদের সমর্থনে সুপারিশ করে; এরা কারা? এদের ’৭১-এর ভূমিকা মাথায় রেখে জনগণ যেন বিভ্রান্ত না হয়।
আওয়ামী লীগের সিনিয়র এ নেতা বলেন, বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বাতিল করতে ব্যর্থ হয়ে প্রথমে মানুষ পুড়ালো। পুলিশ, শিক্ষক, সাধারণ মানুষ মেরে, সন্ত্রাসী কাযক্রম, জঙ্গি তৎপরতা চালিয়ে গণতান্ত্রিক ধারা ব্যাহত করতে চেয়েছিল। কিন্তু শেখ হাসিনার দৃঢ়তার কারনে তারা পারেনি। পরে পেট্রোল বোমা হামলা, বিদেশি নাগরিক হত্যা শুরু করে, যাতে করে বিদেশিরা আমাদের উপর নাখোশ হয়, চাপ প্রয়োগ করে। এখন গুপ্তহত্যা চালানো হচ্ছে সুপরিকল্পিতভাবে, দেশের উন্নয়নকে ব্যাহত করতে বিএনপি-জামায়াত স্বাধীনতাবিরোধীরা এসব করছে।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত যতগুলো হত্যাকা- হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবগুলোর বিচার আমরা করেছি। আমাদের দলের কেউ হলেও বিচার করা হয়েছে। জগন্নাথের ছাত্রলীগ কর্মীদেরও ফাঁসি দেয়া হয়েছিল। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমনে আমরা জিরো টলারেন্স গ্রহণ করেছি। যে কেউই হোক অপরাধী, তার বিচার হবে।
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের কর্মসূচি জানিয়ে সেলিম বলেন, শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের তিন যুগ হচ্ছে এবার। আমরা আগামী ১৭ মে নেত্রীকে অভ্যর্থনা দিব। ওইদিন বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভা হবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।