পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক হতে হবে সমতার ভিত্তিতে এবং মর্যাদাপূর্ণ। তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে ভারতের সাথে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক সকল ক্ষেত্রে সম্পর্ক হতে হবে জনগণের মতামতের ভিত্তিতে। গতকাল রোববার দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের উদ্যোগে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে “বাংলাদেশ- ভারত সম্পর্ক ও জাতীয় স্বার্থ ‘’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
সংগঠনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক চিফ হুইফ জয়নুল আবদিন ফারুক, সাবেক পররাষ্ট্র মহাপরিচালক সাকিব আলী, বাংলাদেশ লেবার পার্টির সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ১৯৭১ সালে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণের ধারাবাহিকতা বর্তমানে নেই। তারা সর্বদা শোষণ করে যাচ্ছে। পূর্বের ন্যায় বাংলাদেশের কোনো বিশেষ দলের প্রতি আগ্রহী না হয়ে বাংলাদেশ ও তার জনগণের প্রতি আগ্রহী হওয়াটাই ভারতের জন্য বুদ্ধিমানের কাজ হবে। তিনি বলেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশের আমদানি রপ্তানিতে ভারসাম্য নেই। এমনকি ভারতের স্বাস্থখাতে বাংলাদেশ থেকে আয় ৬৪% যা অস্বাভাবিক। পোশাকখাত থেকেও তারা শোষণ করছে। ভারতের অনেকেই বাংলাদেশে চাকরি করছে যা বাংলাদেশ সরকার প্রকাশ করেন না।
বিএনপির এ নেতা বলেন, আমাদের দেশের লোক চাকরি পায় না অথচ তাদের অনেকেই অবৈধভাবে এখানে থেকে টাকা পাচার করে ভারতে। এভাবেই ভারত শোষণ করছে। বাংলাদেশ বন্ধুত্ব চাইলেই ভারত বন্ধুত্ব চায় না। তারা যদি বন্ধত্ব চায় তবে আমাদেরকে যথাযথ সম্মান দিতে হবে। আমাদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে, পানির হিস্যা সমাধান করতে হবে। রামপালের কয়লা বিদ্যুৎ একটি ভারত পরিকল্পিত প্রজেক্ট যা সুন্দরবনকে ধ্বংস করবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ক্ষমতায় আসার জন্য গণতান্ত্রিক বিশ্বের যেমন ভারত-আমেরিকা এমন কারো সহযোগিতা প্রয়োজন নেই মন্তব্য করে গয়েশ্বর বলেন, জনগণের ভোটাধিকার এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় গণতান্ত্রিক বিশ্বের সহযোগিতা আমাদের জরুরি। তাই যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন তাদেরকে বলব জনগণের ভোটাধিকার আন্দোলন, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আপনারা আমাদের পাশে থাকুন, সহযোগিতা করুন। তিনি বলেন, জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে আগামী দিনে রাষ্ট্রক্ষমতা কে পরিচালনা করবে। দেশের মালিক জনগণ, জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে কে পরবর্তী সরকার হবে।
গয়েশ্বর বলেন, ইনক্লুসিভ নির্বাচন নিয়ে বাজারে কয়েকদিনের মধ্যে একটি ভাবনা আসবে, যাতে করে আমদের দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার প্রতি সমবেদনা হয়, তার কথা বিবেচনায় নিয়ে এখন তাকে মুক্ত করতে আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। এমন একটা ট্যাবলেট আসবে। শেষ পর্যন্ত হয়ত সরকার খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে দিয়ে বলবে এই করেছি সেই করেছি, আমি ভালো হয়ে গেছি আমাকে বিশ্বাস করতে পারেন। শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এ নেতা বলেন, মানুষকে ততটুকু আঘাত করবেন না, জীবনে এতটুকু আঘাত এলে যা আপনি সহ্য করতে পারবেন না। এই সরকারের সঙ্গে কোনো শর্ত হতে পারে না। শর্ত হবে- পদত্যাগ, সংসদ বাতিল, নির্বাচন কমিশন বাতিল, ইভিএম বাতিল, যে নামেই হোক নির্বাচনকালীন সরকার। এর বাইরে অন্য কোনো খানাপিনা বিকল্প হবে না। কারণ বিষ খাওয়ার চেয়ে না খেয়ে মরে যাওয়া ভালো।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সমালোচনা করে গয়েশ্বর বলেন, ওনাকে কে দায়িত্ব দিয়েছে যে মন্ত্রিসভার ফর্মূলা দিতে, যাদের নাম দিয়েছেন তারা একদিকে জনগণের কাছে বিপদে, অন্যদিকে সরকারের কাছে রোষাণল পরিস্থিতিতে পড়েছেন তারা। ওনার উদ্যোগ ঘুরে ফিরে সরকারের পক্ষেই গিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।