পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কুমিল্লা শহরের প্রবেশদ্বার শাসনগাছা রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণের কারণে উপরে গতি বাড়লেও নিচে ঠিক বিপরীত চিত্র। ওভারপাসের নিচে ভাঙা সড়ক, ফুটপাত দখল, কাদাপানি আর যানজটে চরম বিরক্ত সাধারণ পথচারীরা। সড়কের নিচের জায়গা নিয়ে যেন ভাবনা নেই করোর। কুমিল্লার শাসনগাছা রেলওয়ে ওভারপাসের নিচের সড়কে তৈরি হয়েছে অসংখ্য খানাখন্দ। ফলে সামান্য বৃষ্টিতে ওই সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ইঞ্জিনে পানি ঢুকে গাড়ি বিকল হওয়াসহ ছোট-বড় দুর্ঘটনা এখন নিত্য-নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির কারণে সড়কটি পানিবদ্ধ অবস্থায় থাকায় সড়কটি স্থানীয়দের চোখের কাঁটায় পরিণত হয়েছে।
শাসনগাছা থেকে কান্দিরপাড় যাওয়ার জন্য সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ওঠেন শাহ-আলম সোহেল। কৃষি অফিস খামার বাড়ির সামনে এসে হঠাৎ অটোরিকশাটি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে মুহুর্তেই সড়কে দেখা দেয় যানজট। চালক আমির হোসেন বলেন, একে তো খানাখন্দ তার সাথে জলাবদ্ধতা। কোন দিকের রাস্তা ভালো আর কোথায় গর্ত তা বোঝার কোনো উপায় নাই।
পথচারী সাইফুল ইসলাম দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, এ রাস্তা যেন মরদফাঁদ। গতদিন পরিবারসহ আসার সময় গর্তে পড়ে উল্টে যায় রিকশা। আমার কিছু না হলেও স্ত্রী বেশ আঘাত পান। পুরো রাস্তা ময়লা পানিতে ডুবে থাকায় খানাখন্দ বোঝা যায় না। ফলে প্রতিনিয়ত এ সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে। নিউ জনতা পরিবহনের চালক তোফায়েল বলেন, সারাপথ স্বস্তিতে আসার পর ফ্লাইওভারের পশ্চিম প্রাপ্ত থেকে বাসস্ট্যান্ড যেতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। দোয়া-দুরুদ পড়ে এতটুকু জায়গা পাড়ি দিতে আমরা এখন ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। আমাদের এই দুর্ভোগ দেখার কি কেউ নেই ?
কুমিল্লা বাস মালিক সমিতির মহাসচিব মো. তাজুল ইসলাম বলেন, শাসনগাছা ফ্লাইওভারের পাশে কুমিল্লা, ঢাকাসহ আন্তঃজেলা সকল বাস সাভির্সের টার্মিনাল ও স্ট্যান্ড। ফ্লাইওভারের পশ্চিম দিকের দু’পাশের প্রবেশ পথগুলো খুবই সরু। এ ছাড়া খানাখন্দ ও গর্তের সৃষ্টি হয়েছে সড়কে। ঝুঁকি নিয়ে চালকরা পরিবহন চালাচ্ছেন। কুমিল্লা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও শাসনগাছার স্থানীয় বাসিন্দা আহমেদ নিয়াজ পাবেল বলেন, শাসনগাছায় ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়েছে মানুষের দুভোর্গ লাঘবের জন্য। ভোগান্তি সৃষ্টির জন্য নয়। ফ্লাইওভারের প্রবেশমুখে অবৈধভাবে সিএনজি চালিত অটোরিকশার স্ট্যান্ড বসানোয় প্রতিদিন নগরবাসীকে দীর্ঘ যানজটে আটকা পড়তে হচ্ছে। বর্ষায় কর্দমাক্ত খানা-খন্দেভরা প্রবেশপথে যাত্রীরা চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
ওভারপাসের সড়কটির নীচের অংশে স্লাব ভেঙে যাওয়ায় ময়লা আবর্জনায় সড়কটির অবস্থা একেবারেই যাচ্ছে তাই। সামান্য বৃষ্টিতে এখানকার হাজারো মানুষকে চরম দুর্ভোগের কবলে পড়তে হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে ২০১৪ সালে শাসনগাছা এলাকায় নির্মাণ কাজ শুরু হয় ফ্লাইওভারের। ২০১৮ সালের এপ্রিলে এটি উদ্বোধন হয়। এতে করে যানজট কিছুটা কমলেও জনভোগান্তি কমেনি।
শাসনগাছা এলাকার একাধিক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ফ্লাইওভারটি চালু হলেও এর নীচের সড়কের দিকে খেয়াল নেই কর্তৃপক্ষের। ফলে সামান্য বৃষ্টিতে পানি জমে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে সড়কটি। ময়লা আবর্জনাসহ পানি সামান্য বৃষ্টিতে একসাথে মিশে জনজীবন বিপর্যস্ত করে তোলে। স্থানীয় অনেক দোকানীরা বাধ্য হয়ে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ রাখছে। এখানে রয়েছে বেশ ক’টি হাসপাতাল। ময়লা আবর্জনার গন্ধে রোগীও তাদের স্বজনদেরও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তবে অজ্ঞাত কারণে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল বা দোকানীরাও কোন প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেনা।
সরেজমিন দেখা যায়, শহরের বাদশা মিয়ার বাজার, রেইসকোর্স, স্টেশন মার্কেট সড়ক, ধর্মপুর ভিক্টোরিয়া কলেজ রোড সড়ক এবং বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া সড়কে ওভারপাসের নিচ দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। সড়কটি সরু এবং নাজুক হওয়ায় চলাচলে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের। ওভারপাসের দুই পাশ দিয়ে যানবাহন চলাচলের কোনো সুব্যবস্থা নেই। একটি গাড়ি অতিক্রম করতে আরেকটি গাড়ির পেছনে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এ ছাড়া সড়কের ওপরে হকার এবং তিশা ও এশিয়া লাইন পরিবহনের অঘোষিত স্ট্যান্ড গড়ে তোলায় নিয়মিত সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের।
কুমিল্লা ইষ্টার্ণ ইয়াকুব প্লাজার দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব নূরে আলম ভুঁইয়া দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, ওভারপাসের নিচের পথচারী ও ব্যবসায়ীদের দুর্ভোগ কমাতে সড়কটি সংস্কারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। এ বিয়য়ে কুমিল্লার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা বলেন, ওভারপাসের নিচের সড়কটি শীঘ্রই সংস্কার কাজ শুরু করা হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।