পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রেলওয়ের মান উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের ১৮৮৯ জন গেইট কিপারের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থায়ীকরণের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন কর্মীরা। গতকাল সোমবার ২য় দিনেও মাথায় কাফনের কাপড় পড়ে অনশন অব্যাহত রেখেছেন গেইট কিপাররা। ইতোমধ্যে অনশনের কারণে অনেকেই অসুস্থ্ হয়ে পড়ছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও রেলপোষ্য এবং বাংলাদেশ রেলওয়ে ১৮৮৯ জন গেইট কিপার রাজস্বকরণ বাস্তবায়ন ঐক্য পরিষদ পূর্ব ও পশ্চিম অঞ্চল এর উদ্যোগে কমলাপুর রেলওয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই অনশনে নেমেছেন রেলওয়ের গেইট কিপাররা।
জানা যায়, গত দুইদিন ধরে রেলওয়ের গেইট কিপাররা কমলাপুরের বিভাগীয় ব্যবস্থাপকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করে অনশন পালন করছেন। প্রথম দিন গত রোববার সকালে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জিএম মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, ঢাকা বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজারসহ বিভিন্ন কর্মকর্তারা অনশনস্থলে এসে অনশন প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। কিন্তু রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিব অথবা বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালকের পক্ষ থেকে দাবি মেনে নেয়ার কোন সুর্নিদিষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত গেইট কিপাররা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ঘোষণা দিয়েছেন।
কর্মসূচিতে গেইটকিপাররা বলেন, রেলওয়ের মান উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্প নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক ১৮৮৯ জন গেইট কিপার অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে নিয়োজিত আছি। এর মধ্যে ৫৭২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, ৫৫৫ জন রেলপোষ্য এবং ৩২৫ জন নারী গেইট কিপার রয়েছেন। ২০১৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী এ প্রকল্পের কর্মরত গেইট কিপারদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করে চাকরি স্থায়ীকরণে রেলপথ মন্ত্রণালয়কে জরুরি ভিত্তিতে উদ্যোগ গ্রহণ করতে নির্দেশ দেন। কিন্তু রেলপথ মন্ত্রণালয় এখন পর্যন্ত দৃশমান কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। রেলপথ মন্ত্রণালয়ে বহুবার স্মারকলিপি দিয়েছি, চিঠি দিয়েছি, আমাদের দুর্দশার কথা জানিয়েছি কিন্তু তারা আমাদের কোন কথায় কর্ণপাত করেনি।
তারা আরও বলেন, নিয়োগের সময় গেইট কিপারদের বেতন নির্ধারণ করা হয় সর্বসাকুল্যে ১৪ হাজার ৪ শত ৫০ টাকা। অথচ বিগত ৫ বছরে এ বেতন বাড়েনি। বেশিরভাগ গেইট কিপার তাদের নিজ জেলা ব্যতীত অন্য জেলায় চাকরি করেন। বর্তমান দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির বাজারে বাসাভাড়া, পরিবারের ভরণপোষণ, ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া, চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে তাদের হিমশিম খেতে হয়। অপরদিকে প্রায় সকলের বয়স ৩২ বছর অতিক্রম করায় অন্য চাকরিতেও ঢোকার সুযোগ নেই। তাই অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে আমাদের চাকরি রাজস্বখাতে স্থানান্তর করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
অন্যথায় আমাদের আমরণ অনশত অব্যাহত থাকবে। এতে কোন প্রকায় ক্ষয়ক্ষতি হলে তার দায় রেলপথ মন্ত্রণালয়কে নিতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।