পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ক্যাটারিং ও পর্যটন সেবার মান উন্নয়নে পৃথক কোম্পানি গঠন করতে যাচ্ছে। পাশাপাশি পেশাদারিত্ব বৃদ্ধির জন্যও কাজ করবে এই কোম্পানি। ইতোমধ্যেই রেল মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে এ বিষয়ে গঠিত কমিটি প্রথম বৈঠক করেছে। নতুন এই কোম্পানির নাম হতে পারে বাংলাদেশ রেলওয়ে ক্যাটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কোম্পানি লিমিটেড।
২০১৯ সালের গঠিত বাংলাদেশ রেলওয়ে ক্যাটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম সেল-এর আওতায় অল্প কয়েকটি যাত্রীবাহী ট্রেনে এখন ক্যাটারিং সেবা দেয়া হয়। বেশিরভাগ ট্রেনে এই সেবা দেয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। উভয় ক্ষেত্রেই খাবারের মান ও দাম নিয়ে অভিযোগ রয়েছে যাত্রীদের।
জানা যায়, গত এক দশকে বিপুল বিনিয়োগ ও যাত্রী বৃদ্ধির পরেও এই খাতটি প্রত্যাশিত সেবার মান অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিপুল বিনিয়োগ ও যাত্রী বৃদ্ধির পরেও রাষ্ট্রীয় এই পরিবহন সংস্থা লোকসানেই রয়ে গেছে এবং বছরের পর বছর এর লোকসান ক্রমাগত বাড়ছে। মন্ত্রণালয় গত বছরের অক্টোবরে ক্যাটারিং সার্ভিস সেলের জন্য নিয়োগ ও পরিচালনার নির্দেশিকা অনুমোদন দিয়েছে। তবে, রেলওয়ের বিপণন বিভাগের অধীনে পরিচালিত এই কর্তৃপক্ষ এখনও কর্মী নিয়োগ করতে পারেনি। এর ফলে সেলটি কেবলমাত্র ৪ থেকে ৫টি নতুন ট্রেন সেবা দিতে পারছে। এই সুযোগে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রেলওয়ে থেকে ইজারা নিয়ে বেশিরভাগ যাত্রীবাহী ট্রেনে ক্যাটারিং সেবা দিচ্ছে। প্রায়শই এসব প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি টাকায় খাবার বিক্রি করে এবং অধিক মুনাফার লোভে ভালো মানের খাবারও দেয় না।
রেল মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রণব কুমার ঘোষের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের একটি কমিটিকে এ বিষয়ে ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে খসড়া প্রস্তাব তৈরির দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। তারপর বৈঠকে প্রাথমিকভাবে ৫ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ নিয়ে কোম্পানিটি গঠন করা যায় কি না তা নিয়ে আলোচনা হয়। মন্ত্রণালয়ের সচিব বা অতিরিক্ত সচিব বোর্ডের সভাপতিত্ব করতে পারেন। যেখানে ২ জন পরিচালক বাংলাদেশ রেলওয়ে থেকে এবং বাকি সদস্য বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) থেকে নেয়া হতে পারে। পরিকল্পনা ও পরিচালনার জন্য কোম্পানির একজন ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকতে পারেন। প্রাথমিক পর্যায়ে কোম্পানিটি ন্যূনতম মানবসম্পদ নিয়ে কাজ করবে। সময়ের সঙ্গে কার্যক্রম প্রসারিত হলে জনবল বাড়ানো হবে। এখন পর্যন্ত কনটেইনার কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড একমাত্র কোম্পানি হিসেবে বাংলাদেশ রেলওয়ের অধীনে রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।