পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজস্ব খাতে চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে কমলাপুর রেলস্টেশনে অবস্থান ও আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন রেলওয়ের গেটকিপাররা। বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও রেলপোষ্য এবং রেলওয়ের গেটকিপার রাজস্বকরণ বাস্তবায়ন ঐক্য পরিষদ পূর্ব ও পশ্চিম অঞ্চলের চাকরিজীবীরা এ কর্মসূচি পালন করছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের মানোন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের এক হাজার ৮৮৯ গেটকিপারের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে এই কর্মসূচি। আন্দোলন চলাকালে অনশনকারীদের সঙ্গে গতকাল রোববার সকালে কথা বলেছেন রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের জিএম জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) মোহাম্মদ সফিকুর রহমান। গেটকিপারদের চাকরি স্থায়ীকরণ প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন তারা।
জানা গেছে, সারাদেশে ৮০ শতাংশ লেভেল ক্রসিংই অবৈধ। এসব লেভেল ক্রসিংয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। এজন্য সারাদেশে লেভেল ক্রসিং উন্নয়নে ২০১৫ সালে দুটি প্রকল্প নেয় রেলওয়ে। এগুলোর আওতায় এক হাজার ৬৮০ গেটকিপারও নিয়োগ দেয়া হয়। প্রকল্প দুটির মেয়াদ আগামী জুনে শেষ হতে যাচ্ছে। ফলে চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন গেটকিপারা। আর প্রকল্প দুটি শেষ হলে অরক্ষিত হয়ে পড়বে অধিকাংশ লেভেল ক্রসিং।
বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের লেভেল ক্রসিং গেটসমূহের পুনর্বাসন ও মানোন্নয়ন এবং বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের লেভেল ক্রসিং গেটসমূহের পুনর্বাসন ও মানোন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্প দুটি ২০১৫ সালের ২৫ জুন একনেক সভায় অনুমোদিত হয়। মূল প্রকল্পের আওতায় অবকাঠামো নির্মাণ এরই মধ্যে সমাপ্ত হয়েছে। পাশাপাশি একনেক সভার নির্দেশনাক্রমে পূর্বাঞ্চলে ৮২৯ ও পশ্চিমাঞ্চলে ৮৫১ জনকে গেটকিপার হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। তাই প্রকল্প দুটির আওতায় সংস্থানকৃত গেটকিপারদের রাজস্ব খাতে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
গেটকিপার দিদার এসেছেন সিরাজগঞ্জ থেকে। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ আমরা চাকরি করে আসছি কিন্তু আমাদের চাকরি এখনো রাজস্ব করা হয়নি। আমরা এই অবস্থায় চরমভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছি। কোন কোন মাসে বেতন পাইনা। এতে করে আমাদের পরিবার নিয়ে চলতে খুবই কষ্ট হয়।
চট্টগ্রামের মাহমুদ হাসান বলেন, চার বছরের মতো হলো আমাদের চাকরি। নিয়োগের সময় সরকারি সকল নিয়ম মেনেই নিয়োগ প্রক্রিয়া করা হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত আমাদের স্থায়ী করা হয়নি। রাজস্ব খাতে না নেয়ার কারণে আমরা সরকারি সকল সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। এখন আমাদের পরিবার নিয়ে এমন অবস্থায় রয়েছি যে কাউকে বলতেও পারছি না। আমরা মাসের বেতন মাসে পাই না। কয়েকমাস পর পর এক মাসের বেতন পাই। এখন প্রত্যেক গেটকিপারই আর্থিক অভাব-অনটনের মধ্যে রয়েছেন।
একই কথা বলেন, যশোর থেকে আসা সজল ও টঙ্গী থেকে আসা আরিফ। তারা জানিয়েছেন এখন আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। আমাদের দাবি একটাই চাকরি রাজস্ব করা হোক। আমাদের এখানে অনেকেই আছেন যাদের বয়স এখন আর সরকারি চাকরির জন্য নেই। আমরা চাই সবার চাকরি স্থায়ীকরণ করা হোক।
অনশন আহ্বানকারী সংগঠনের দফতর সম্পাদক মো. আল মামুন বলেন, দাবি না মানা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।
আন্দোলনে প্রায় এক হাজার ব্যক্তি অংশ নিয়েছেন। তাদের সবারই একই চাওয়া চাকরি স্থায়ী করা হোক। আমরা গেটকিপাররা রোদ-বৃষ্টি, রাত-দিন কাজ করি কিন্তু আমাদের চাকরি এখনো রাজস্ব হয়নি। আর্থিক অনটন ও চাকরি স্থায়ীকরণের চিন্তায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।