মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পার্টিগেট কেলেঙ্কারি কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না বরিস জনসনের। দেশের পার্লামেন্টকে ফের বিভ্রান্ত করায় অভিযুক্ত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। এ বার ২০২০ সালের ১৩ নভেম্বরের একটি ছবিতে বিয়ারের গ্লাস হাতে দেখা গিয়েছে তাকে। যা নিয়ে ফের হইচই শুরু হয়েছে ব্রিটিশ রাজনীতিতে।
২০২০ সালে গোটা ব্রিটেনে কড়া কোভিড বিধি জারি থাকাকালীন নিয়ম ভেঙে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে একাধিক পার্টি ও জমায়েত হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে আগেই। সেই পার্টিগুলি সম্পর্কে তিনি আদৌ অবগত ছিলেন না এবং তার একটিতেও তিনি উপস্থিত ছিলেন না বলে প্রথমে পার্লামেন্টকে জানিয়েছিলেন বরিস।
পরে একাধিক প্রথম সারির ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায় একাধিক পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন বরিস। মিথ্যা বলে পার্লামেন্টকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ ওঠে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। যা নিয়ে তদন্ত শুরু করে মোট্রোপলিটন পুলিশ। বরিস ও তার স্ত্রী-সহ পার্টিতে উপস্থিত বেশ কয়েক জন সরকারি কর্তার জরিমানাও ধার্য করেছে পুলিশ। সম্প্রতি এ রকমই আর একটি ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। সেটি সরকারি ফটোগ্রাফারের তোলা বলেই মনে করা হচ্ছে।
১০ ডাউনিং স্ট্রিটে সে দিন বরিসের এক সহকারীর বিদায় সংবর্ধনার অনুষ্ঠান হয়েছিল বলে অভিযোগ। দু’জনের বেশি মানুষের জমায়েত তখন নিষিদ্ধ ছিল ব্রিটেনে। বরিস নিজে জানিয়েছিলেন ওই তারিখে কোনও পার্টিই হয়নি তার বাসভবনে। অথচ সেই ছবিতে দেখা গিয়েছে বরিসের পাশে রাখা টেবিলে ওয়াইন ও জিনের বোতল, অজস্র খালি গ্লাস। যা দেখে বোঝাই যাচ্ছে, সেই সময়ে অনেকেই ওখানে উপস্থিত ছিলেন। বরিসের পাশে চেয়ারে সরকারি নথি রাখার লাল বাক্সও দেখা গিয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে ফের মাঠে নেমেছেন বিরোধীরা। পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে কোনও এমপি মিথ্যে বলেছেন প্রমাণিত হলে তাকে পদত্যাগ করতে হয় ব্রিটেনে। বরিসকে ১৩ তারিখের পার্টি নিয়ে জিজ্ঞাসা করায় তিনি বলেছিলেন, তেমন কোনও বিধিই লঙ্ঘন হয়নি সে দিন। যা সত্যি নয় বলেই বুঝিয়ে দিচ্ছে ওই ছবি।
লেবার পার্টির নেতা জোনাথন অ্যাশওয়ার্থ কনজ়ারভেটিভ নেতাদেরও বরিসের পদত্যাগ নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দিয়েছেন। কনজারভেটিভদের এক বর্ষীয়ান নেতা, টম টুগেনড্যাট বরিসের সমালোচনা করে বলেন, ‘এর মূল্য আমাদের সকলকে চোকাতে হচ্ছে।’
এই পরিস্থিতিতে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই পার্টির তদন্ত নিয়ে ‘সু গ্রে রিপোর্ট’ পেশ হওয়ার কথা। প্রধানমন্ত্রীর নিজে ওই রিপোর্ট পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে পড়ে শোনানোর কথা। তবে সিনিয়র সরকারি আমলা সুজান গ্রে-কেও বরিস প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে খুব সম্প্রতি। পার্টি সংক্রান্ত রিপোর্ট যাতে পুরোপুরি প্রকাশিত না-হয় তার জন্য সুজানকে চাপ দিতে বরিস তার সঙ্গে বৈঠকের ব্যবস্থা করেন বলে অভিযোগ।
বরিস অবশ্য জানিয়েছিলেন বৈঠক করতে সুজানই আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সুজানের সঙ্গে দেখা করার দিন স্থির করতে প্রধানমন্ত্রীর তরফেই অনুরোধ করা হয়েছিল। সূত্র: ডেইলি মেইল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।