মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ তার সৎভাই প্রিন্স হামজাকে গৃহবন্দি করে রেখেছেন। বৃহস্পতিবার (১৯ মে) এক রাজকীয় আদেশে তার আবাসস্থল, চলাচল এবং গতিবিধির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে নিজের সৎভাই ‘মানসিকভাবে সুস্থ নন’ উল্লেখ করে আবদুল্লাহ বলেন, ‘প্রিন্স হামজার বিষয়ে একটি ডিক্রি জারি হয়েছে। এই ডিক্রি অনুযায়ী, এখন থেকে তাকে সবসময় ঘরে অবস্থান করতে হবে। বাইরের কারো সঙ্গে যোগাযোগ ও কোথাও যাতায়াত করতে পারবেন না তিনি।’
‘রাজপরিবার বিষয়ক আইন অনুযায়ী গঠিত পরিষদের সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতেই জারি করা হয়েছে এ ডিক্রি,’ বিবৃতিতে বলেন বাদশাহ।
দেশটির একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, গত বছর ফেব্রুয়ারিতে জর্ডানের সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে অভ্যুত্থান ঘটানোর পরিকল্পনা করেছিলেন প্রিন্স হামজা। অভুত্থানের মূল লক্ষ্য ছিল বাদশাহ আবদুল্লাহকে ক্ষমতাচ্যুত করা।
তবে সেই পরিকল্পনা সফল হয়নি; বরং ‘ষড়যন্ত্রে’ যুক্ত থাকার অভিযোগে দুই জন সরকারি কর্মকর্তাকে গত বছর গ্রেপ্তার ও ১৫ বছর করে কারাবাসের সাজা দেওয়া হয়েছে।
সাজাপ্রাপ্ত দুই সরকারি কর্মকর্তা হলেন জর্ডানের রাজকীয় আদালতের সাবেক প্রধান বিচারপতি বাসেম আওয়াদুল্লাহ ও সৌদি আরবে জর্ডানের সাবেক রাষ্ট্রদূত শরিফ হাসান বিন জাইদ। রাজকীয় আদালতে বিচার চলাকালে অপরাধ স্বীকার করায় দু’জনই বর্তমানে কারাগারে আছেন।
তবে প্রিন্স হামজাকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়নি। তার প্রতি বড় ধরনের শাস্তিমূলক কোনো ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি এতদিন।
তবে গত মাসে জর্ডানের রাজকীয় আদালত একটি বিবৃতি দেন। সেই বিবৃতিতে বলা হয়, বাদশাহকে ক্ষমতাচ্যুত করতে অভ্যুত্থানের পরিকল্পনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন হামজা।
সেই বিবৃতির প্রতিবাদ করে হামজা বলেন, তিনি ‘প্রিন্স’ পদবি ছাড়তে প্রস্তুত আছেন। তার এক মাস পরই তাকে গৃহবন্দি ঘোষণা করা হলো।
বাদশাহ আবদুল্লাহ বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে এক বক্তৃতায় বলেন, আপনারা জানেন যে গত বছর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাটির বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশিত হয়েছিল। তখন আমি আমাদের পরিবারের মধ্যে থেকেই আমার ভাই প্রিন্স হামজার বিষয়টি মেটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।
তিনি আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, কিন্তু এক বছরের বেশি সময় ধরে সঠিক পথে ফিরে আসার সকল সুযোগ সে নষ্ট করেছে। আমি হতাশার সাথে সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে সে কখনো বদলাবে না।
জর্ডানের বাদশাহ বলেন, এ কারণে আমি তার যোগাযোগ, আবাসস্থল ও চলাচলের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করলাম। উল্লেখ্য, দেশটির বর্তমান নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে গত বছর প্রিন্স হামজা তার রাজকীয় পদবি ত্যাগ করেন। সূত্র : রোয়া নিউজ
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।