Inqilab Logo

সোমবার ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ কার্তিক ১৪৩১, ০১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাঘায় ভেজাল গুড়ের কারখানায় পুলিশের হানা-জব্দকৃত গুড় খেয়ে মারা যাচ্ছে মৌমাছি

বাঘা (রাজশাহী) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৯ মে, ২০২২, ৯:১৩ পিএম

রাজশাহীর বাঘায় চিনি গালায় করে-তার সাথে গো খাদ্য আখের মোনালিস মিশিয়ে তৈরী করা হচ্ছে আখের ভেজাল গুড়। এই কারবার বহু দিনের। মাঝে মধ্যে এসব কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে থাকেন সরকারের আইন শৃংখলা বাহিনী। তার পরেও অতি গোপনে চলছে এই গুড় তৈরীর কারবার ।

সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (১৯ মে) সকালে উপজেলার আড়ানী পেয়াদা পাড়া এলাকায় শামসুল প্রাং এর বাড়ী থেকে এক হাজার কেজি ভেজাল গুড় জব্দ করেছে বাঘা থানা পুলিশ। আর বিষাক্ত এই গুড় খেয়ে মারা যাচ্ছে মৌমাছি এমনটি অভিমত ব্যক্ত করেন বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি)সাজ্জাদ হোসেন।

বাঘা থানা পুলিশের একটি মুখপাত্র জানান, এই উপজেলার আড়ানী পৌর এলাকার বিভিন্ন গ্রাম এবং বাউসা ও আড়ানী ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকায় দীর্ঘ দিন থেকে-শত-শত ট্রাক চিনি গালাই করে আখের ভেজাল গুড় তৈরী করেন কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী । এটি তৈরী করার সময় তারা আখের মোনালিস(গো খাদ্য)এবং তার সাথে চুন,ফিটকারি ও রং ব্যবহার করে থাকেন। যা মানব দেহের জন্য অত্যান্ত ক্ষতিকারক। এ গুলো প্রতিরোধে বাঘা থানা সহ মাঝে মধ্যে র‌্যাব ও ডিবি পুলিশ হানা দিয়ে গুড় ধবংস করেছেন এ রকম নজির অনেক। তার পরেও কিছু মানুষ এ পেশা বন্ধ করছেন না।

এদিকে সর্বশেষ বৃহস্পতিবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাঘা থানা পুলিশ উপজেলার পিয়াদা পাড়া গ্রামের মোসলেম প্রাং এর ছেলে শামসুল(৩৫) প্রাং এর বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ির লোকজন পেছন দিক দিয়ে পালিয়ে যান। এ অবস্থায় পুলিশ স্থানীয় লোকজনের সামনে ঐ বাড়ি থেকে এক হাজার কেজি গুড় জব্দ করে থানায় নিয়ে আসেন।

ওসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমরা মানবজাতি অন্যায়ের শেষ পর্যায়ে এসে দাড়িয়ে গেছি। আমাদের নীতি-নৈতিকতা বলতে আর কিছুই থাকছে না। যে বিষাক্ত ভেজাল গুড় খেয়ে মোমাছি এবং পোকাড়-মাকড় মারা যাচ্ছে, সেই গুড় তারা মানুষকে খাওয়াচ্ছে। এর চেয়ে অন্যায় এবং ঘৃনিত কাজ আর কিছুই হতে পারেনা। তিনি এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা রজু করেছেন বলে জানান।

 



 

Show all comments
  • Yousman Ali ১৯ মে, ২০২২, ৯:৪৫ পিএম says : 0
    Fasi chai
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মৌমাছি

১২ এপ্রিল, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ