বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শেরপুরে এক স্বামী পরিত্যক্তা তরুণীকে (১৮) গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ১৬
মে সোমবার বিকেলে সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের লছমনপুর নয়াপাড়া গ্রামে
ওই ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার ভোররাতে ওই ঘটনায় জড়িত হাফিজুর রহমান মন্টু (৩৫)
নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মন্টু স্থানীয় সুরুজ্জামানের ছেলে।
অপর ধর্ষক একই গ্রামের আজাদ মিয়ার ছেলে আলম মিয়া (২৭) ঘটনার পর থেকেই
পলাতক রয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত মন্টুকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে
পাঠিয়েছে পুলিশ। একইসাথে জেলা সদর হাসপাতালে ধর্ষিতা তরুণীর ডাক্তারি
পরীক্ষা ও আদালতে ২২ ধারার জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে।
জানা যায়, স্বামী পরিত্যক্তা ওই তরুণী গত ৩ দিন আগে গাজীপুর থেকে শেরপুর
শহরের চকপাঠক মহল্লার তার বড়বোন ও বোনজামাইয়ের ভাড়া বাড়িতে বেড়াতে আসে।
সোমবার বিকেল ৫টার দিকে ওই তরুণী তার বড়বোনের সাথে সদর উপজেলার লছমনপুর
নয়াপাড়া যাওয়ার পথে ওই এলাকার হাফিজুর রহমান মন্টু ও আলম মিয়া তাদের ২
বোনকে জোরপূর্বক ধরে পার্শ্ববর্তী একটি লেবু বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে
কৌশলে বড়বোনকে পাশে আটকে রেখে ছোটবোন তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষণের পর তাদের
সেখানে রেখে পালিয়ে যায় মন্টু ও আলম। পরে ধর্ষণের শিকার তরুণীকে সাথে
নিয়ে তার বড়বোন ওইদিন রাতেই মন্টু ও আলমের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি
অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
মনসুর আহম্মেদের নেতৃত্বে সদর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক সারোয়ার হোসেন, এসআই
খোকন চন্দ্র সরকার, এসআই রুবেল মিয়া, এসআই সুমন মিয়া, এসআই সুরেশ রাজবংশী
সঙ্গীয় ফোর্সসহ একদল পুলিশ মঙ্গলবার ভোররাতে লছমনপুর নয়াপাড়া গ্রামে
অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত হাফিজুর রহমান মন্টুকে গ্রেফতাার করেন।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া
জানান, ওই ঘটনায় ধর্ষিতা তরুণীর বড়বোন বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের
করেছেন। ওই মামলায় ইতোমধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পলাতক অপর
অভিযুক্তকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।