পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলার। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, খাদ্য ও বিদ্যুৎ যোগাযোগসহ সর্বক্ষেত্রে দ্রুত উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে তিনি বিশ্বব্যাপী ‘মাদার অব হিউমিনিটি’ উপাধি পেয়েছেন। বিভিন্ন ইতিবাচক কাজের জন্য পেয়েছেন প্রচুর প্রশংসা ও উপাধি। শেখ হাসিনা এগিয়ে যাচ্ছেন, বাংলাদেশও এগিয়ে যাচ্ছে আগামীর পথে।
আজ থেকে ৪১ বছর আগে ৬ বছর নির্বাসিত থেকে বঙ্গবন্ধুবিহীন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় আলোর মশাল হাতে এসেছিলেন তাঁর জ্যেষ্ঠকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। সেদিনই বাংলাদেশের পুনর্জন্ম হয়েছিল। এখন জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী আছেন বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। চার দশক আগে যদি শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের নৌকার বৈঠা না ধরতেন, বাংলাদেশের নেতৃত্বে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত না করতেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী না হতেন, তাহলে বাংলাদেশের আজকের এ উন্নতি, এ অগ্রগতি সুদূরপরাহত ছিল। আওয়ামী লীগের গণমুখী রাজনীতি থাকতো না। দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠিত হতো না। গণতন্ত্র আসতো না। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের বিচার হতো না। যুদ্ধাপরাধীদেরও বিচার অসম্পন্ন থাকতো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেছেন। দেশকে বিশ্বের বুকে মর্যাদাবান করেছেন। শেখ হাসিনা রাজনীতিতে না আসলে স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ স্বাধীণতার সুর্বণ জয়ন্তী এবং জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী পালন করার সুযোগ পেত না। জননেত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের হাল না ধরলে আমাদের নেতা-কর্মীদের অস্তিত্বও বিপন্ন হতো। দেড় লাখ গৃহহীন-ভূমিহীন পরিবার পাকা বাড়িসহ ঘর পেত না। আমাদের সৌভাগ্য আমরা শেখ হাসিনার মতো একজন যোগ্য, সৎ,সাহসী, কর্মঠ নেতা পেয়েছি। তাঁর নেতৃত্ব পেয়েছি। শোকর আলহামদুলিল্লাহ।
জননেত্রী শেখ হাসিনা সেই নেত্রী যিনি মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট পাঠান আবার একেবারে সমাজের সবচেয়ে অবহেলিত হতদরিদ্র, অসহায়, বয়স্ক নারী-পুরুষ, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, প্রতিবন্ধীদের মাসিক ভাতার ব্যবস্থাও করেন। তিনি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য দেশ করে দিয়ে যাওয়ার জন্য নিরলস সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। সারাদেশের মানুষকে নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষার জন্য, বন্যা, ঝড়, জলোচ্ছাস, হাওরের মানুষকে হাসিমুখে ফসল ঘরে তোলার জন্য স্থায়ী প্রকল্প গ্রহণ করছেন। উন্নত ভবিষ্যৎ নির্মাণের জন্য তিনি ডেল্টাপ্ল্যান ২১০০ ঘোষণা করেছেন। তিনি শুধু বর্তমান নিয়েই ভাবেন না, ভবিষ্যতও তাঁর ভাবনায় থাকে। অন্যরা ক্ষমতা আর বর্তমানকে নিয়ে ভাবে। এখানে জননেত্রী শেখ হাসিনা অন্যদের থেকে আলাদা।
জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে অশান্ত পাহাড়ে শান্তি ফিরেছে। ভারতের সঙ্গে গঙ্গার পানি চুক্তি হয়েছে, সিট মহল সমস্যার সমাধান হয়েছে, আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে বিশাল সুনীল অর্থনীতির আধার অর্জিত হয়েছে। তাঁর হাত ধরে ছাত্র রাজনীতি ও জাতীয় রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন এসেছে।
১৯৮১ সালের ১৭ মে, দিনটি ছিল রবিবার। সেদিন ঘণ্টায় ৬৫ মাইল বেগে কালবৈশাখী ঝড় হচ্ছিল। বৈরী আবহাওয়াতেও মানুষের গতি ঠেকানো যায়নি। জাতির পিতার কন্যাকে একনজর দেখার জন্য কুর্মিটোলা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শেরেবাংলা নগর পর্যন্ত এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। ১৯৮১ সালের এইদিনে বাংলাদেশের লাখো মানুষের সঙ্গে স্কুল পড়ুয়া একজন ছাত্রলীগ কর্মী হিসেবে ঢাকার কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে উপস্থিত হওয়ার সৌভাগ্য আমারও হয়েছিল। বয়সের কারণে বঙ্গবন্ধুকে দেখার সৌভাগ্য হয়নি, কিন্তু সেদিন বঙ্গবন্ধুকন্যাকে দেখেছিলাম লাখো জনতার মধ্যে। সেদিন বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা লাখো জনতার সংবর্ধনার জবাবে বলেছিলেন, ‘আমি সবকিছু হারিয়ে আপনাদের মাঝে এসেছি। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তার আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে জাতির পিতার হত্যার বিচার করতে আমি জীবন উৎসর্গ করতে চাই। বাংলার দুঃখী মানুষের সেবায় আমি আমার এ জীবন দান করতে চাই। আমার আর হারাবার কিছুই নেই। পিতা-মাতা, ভাই সকলকে হারিয়ে আমি আপনাদের কাছে এসেছি, আমি আপনাদের মাঝেই তাদের ফিরে পেতে চাই। আপনাদের নিয়েই আমি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তা বাস্তবায়ন করে বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চাই, বাঙালী জাতির আর্থ-সামাজিক তথা সার্বিক মুক্তি ছিনিয়ে আনতে চাই।’
শেখ হাসিনা জনগণকে দেয়া সেই অঙ্গীকার ৪১ বছর ধরে পূরণের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তার জন্য বাংলাদেশ আজ ধন্য। তিনি ফিরে না এলে ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে কে সরকার গঠন করত, আমাদের জানা নেই। তিনি ফিরে এসে হাল ধরেছিলেন গণতন্ত্রের। ফলে গত ১৩ বছর দেশের উন্নয়ন আকাশ ছুঁয়েছে। এ দেশ প্রকৃতপক্ষে এগিয়েছে তাঁর অসীম সাহসিকতা ও যোগ্য নেতৃত্বের কারণে। বর্তমান প্রজন্মের কাছে শেখ হাসিনা এক সাহসী রাজনীতিকের নাম; যার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনায় ভবিষ্যতের বাংলাদেশ উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে চলেছে।
শান্তির অগ্রদূত শেখ হাসিনা দেশের মানুষের জন্য নিজের প্রাণকে তুচ্ছ করতে পারেন নির্দ্বিধায়। সাধারণ মানুষের আস্থা ও ভরসার কেন্দ্রবিন্দু তিনি। ধৈর্য্য ও সাহসের প্রতিমূর্তি শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের মানসকন্যা, দেশরত্ন, কৃষকরত্ন, জননেত্রী- বহুমাত্রিক জ্যোতিষ্ক। তাঁকে কেন্দ্র করে, তাঁর নেতৃত্বে আবর্তিত হচ্ছে বাংলাদেশ। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, বঙ্গবন্ধু ট্যানেল, মেট্রোরেল, গভীর সমুদ্রবন্দর প্রভৃতি বড় প্রকল্পের বাস্তবায়নই মনে করিয়ে দিচ্ছে শেখ হাসিনা প্রকৃতপক্ষে আলাদা, ভিন্ন, স্বতন্ত্র ও নেতৃত্বের গৌরবজনক আসনে সমাসীন। তিনি জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী অর্থনৈতিক বিকাশ ত্বরান্বিত করছেন; সংকট উত্তরণে অনন্য ভূমিকা রাখেছেন।
শেখ হাসিনাকে এই দীর্ঘ সময় দলের প্রধানের দায়িত্বে থেকে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে অনেক বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। নানা চড়াই-উৎরাই, কারাবরণ, মৃত্যুর মুখোমুখী হওয়াসহ অনেক ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে তিনি আওয়ামী লীগকে আজকের অবস্থানে এনে দাঁড় করিয়েছেন। শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বের ফলেই আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ রেখে চার বার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার সুযোগ পেয়েছেন এবং বর্তমানে টানা তৃতীয়বার ক্ষমতাসীন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের এই সময়ের শাসন আমলেই দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের নতুন মাত্রা সূচিত হয়েছে। শেখ হাসিনার শাসনামলেই গত বছর বাংলাদেশ স্বল্পন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। তার হাত ধরেই বাংলাদেশ ডিজিটাল দেশে পরিণত হয়েছে।
শেখ হাসিনা দীর্ঘপথ হেঁটে বাংলাদেশের জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছেন। এজন্য তাকে দুটি সামরিক জান্তার এবং একটি অনির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে হয়েছে। নিয়মতান্ত্রিক পথে, বিভিন্ন সময়ে স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান, এরশাদ ও খালেদা জিয়াকে আন্দোলনের মাধ্যমে সরাতে হয়েছে। শেখ হাসিনা নীতির সাথে আপস করলে অনেক আগে ক্ষমতায় আসতে পারতেন। তিনি ক্ষমতার জন্য নেতিবাচক রাজনীতির পথে কখনো এগোননি। তিনি তার জীবনে কোনো বাঁকা পথ, কোনো প্রলোভনকে প্রশ্রয় দেননি। যেহেতু তিনি জনগণের জন্য রাজনীতি করেন, সেজন্য তিনি জনগণকে নিয়ে, জনগণের ভালোবাসা নিয়ে, নিয়মতান্ত্রিক পথে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হয়ে সরকার পরিচালনায় এসেছেন। নিয়মের প্রতি, আইনের প্রতি, জনগণের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ তাকে বড় মাপের নেত্রীর মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছে। তিনি এদেশে নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির অগ্রদূত। তিনি যে ‘গণতন্ত্রের মানসকন্যা’, এটা তাঁর প্রতিটি কাজ ও কর্মে নিরন্তর উদ্ভাসিত।
শেখ হাসিনার রাজনৈতিক জীবনের এই দীর্ঘ চলার পথ ফুল বিছানো ছিল না। পদে পদে বিপদ এবং মৃত্যুর ঝুঁকি তাকে তাড়া করেছে। ২১ বার তাকে হত্যার অপচেষ্টা চলেছে। জীবনমৃত্যুকে পায়ের ভৃত্য করে তিনি এগিয়ে চলেছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা মাত্র ৩৪ বছর বয়সে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। এখন তিনি সব দিক দিয়েই একজন পরিণত মানুষ। তিনি কেবল দীর্ঘ সময় ধরে আওয়ামী লীগেরই সভানেত্রী নন, তিনি সরকার প্রধান হিসেবেও বেশি সময়ের রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন। চলতি মেয়াদ শেষ হলে তার প্রধানমন্ত্রীত্বের ২০ বছর পূর্ণ হবে। নির্বাচিত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় শেখ হাসিনাই হতে চলেছেন বিশ্বে উজ্জ্বল নক্ষত্র। তিনি এখন একদিকে যেমন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, একই সঙ্গে তিনি একজন বিশ্বনেতাও বটে। তার প্রশংসায় অকুণ্ঠ অনেক দেশের সরকার প্রধান। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথে চলেছে। বিশ্বসভায় বাংলাদেশ এক ভিন্নতর মর্যাদার আসন লাভ করেছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও জনগণের ভালোবাসা নিয়ে তিনি টানা চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন।
শেখ হাসিনা জাতির বিভিন্ন সঙ্কটকালে সাহসী, দূরদর্শী ও সুদূরপ্রসারী সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতা দেখিয়েছেন। সবাই যখন সঙ্কট উত্তরণের কোনো ভালো সম্ভাবনা দেখেন না, তখনও তিনি একটা না একটা উপায় বের করে ফেলেন। তিনি দেশের মানুষের আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসা অর্জন করেছেন। তার নিখাঁদ দেশপ্রেম তাকে মানুষের কাছে গভীরতর ভালোবাসার ঋণে আবদ্ধ করেছে। বঙ্গবন্ধু যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন তাকেই পূর্ণতা দিতে চলেছেন। আজ এ কথা বলা যায় যে, শেখ হাসিনাই বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণের যোগ্য কাণ্ডারি। তাঁর মধ্যেই মূর্ত হয়ে উঠছে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ।
আমার সৌভাগ্য ১৯৮৪ সাল থেকে নেত্রীকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছি। জাহাঙ্গীর নগর বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, জাকসুর ভিপি, ছাত্রলীগের সভাপতি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নেত্রীর কাছে থেকে কাজ করেছি। তাকে দেখা ও বোঝার সৌভাগ্য হয়েছে। খোলা বইয়ের মতো তার রাজনীতি ও জীবন মানুষের সামনে উন্মুক্ত করেই তিনি পথ হাঁটেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাজের কোনো ক্লান্তি নেই। অনীহা নেই। আছে সম্মুখে এগিয়ে যাওয়ার গতি। তার সারল্য শিশুর মতো। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল তার হাতের কাছেই শোভা পায়। অবসরে বইয়ের মধ্যে ডুবে থাকতে তাকে দেখেছি। তিনি নিজে যেমন পড়াশোনায় মগ্ন থাকেন, তেমন আমাদেরও পড়াশোনার তাগিদ দেন। সন্তানদের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করলেও ক্ষমতার কাছে ভিড়তে দেন না। আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনা হচ্ছেন স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, পতাকা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সুযোগ্য রক্ষক। নিজে রাজনীতি করার পাশাপাশি তার দুই সন্তানকেও সুশিক্ষিত করে তুলেছেন। ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় আজ আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন তথ্যপ্রযুক্তিবিদ। যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তথ্যপ্রযুক্তিতে তিনি উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েছেন। মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল অটিজম বিশেষজ্ঞ হিসেবে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় ইতিমধ্যেই সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা এমন একজন নেত্রী যিনি নিজের ছেলেমেয়ের মতই কর্মীদের ভালোবাসেন । মায়ের স্নেহ-মমতা তিনি নির্দ্বিধায় কর্মীদের দেন। অসহায় বিপন্ন মানুষের কাছে ব্যাকুল চিত্তে তিনি ছুটে যান মানবিক হৃদয় নিয়ে, মায়ের ভূমিকায় পাশে দাঁড়ান। তার মতো স্নেহশীল মা, কর্মীবান্ধব সভানেত্রী, প্রাজ্ঞ দৃঢ়চেতা দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক নেত্রী যেভাবে দেশ ও মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নিরন্তর পথ চলছেন, দেশের স্বার্থে যেভাবে আপসহীন দৃঢ়তা দেখিয়ে যাচ্ছেন তা ইতিহাসে তাঁকে অমরত্ব দেবে। বিশ্ববরেণ্য নেতারা শেখ হাসিনা সম্পর্কে বলেছেন, ‘মেধা, যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, সততা আর দক্ষতায় শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ায়ই নয়, সমগ্র বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে পারেন।’ ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িটিও তিনি জনগণকে দিয়েছেন। লোভ, মোহের ঊর্ধ্বের পথচলা বিশ্ববরেণ্য নেত্রী আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা যতদিন বেঁচে থাকবেন, আমাদের রাজনীতিতে নেতৃত্ব দেবেন, ততদিন দেশ উন্নয়নের পথেই হাঁটবে, ততদিন গণতন্ত্র ও অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি বিকশিত হতে থাকবে, ততদিন গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হতে থাকবে। দেশ হবে তার স্বপ্নের দারিদ্র্যমুক্ত বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ। আজ ত্ার এই দেশে ফেরার শুভদিনে মহান আল্লাহর কাছে ত্ার সুস্থ, কর্মঠ ও দীর্ঘজীবন প্রত্যাশা করি। আল্লাহ রাব্বুল আল আমিন আমাদের দোয়া কবুল করুন।
লেখক: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের উপ-মন্ত্রী, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জাকসুর সাবেক ভিপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।