Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফয়সালা হবে রাজপথে

বিএনপিসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সারাদেশে বিক্ষোভ দিনাজপুরে মির্জা ফখরুল পরিষ্কার কথা শেখ হাসিনার অধীনে কোন নির্বাচন হবে না: বগুড়ায় গয়েশ্বর সরকারের পতন হলে আ.লীগ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ মে, ২০২২, ১২:০১ এএম

বর্তমান সরকারের অধীনে আর কোন নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে না সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছিল বিএনপি। এবার একই বার্তা সারাদেশের তৃণমূলে ছড়িয়ে দিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা। এদিন ৬৪টি সাংগঠনিক জেলায় কেন্দ্রীয় নেতারা বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে আর কোন নির্বাচন হবে না। নির্বাচন করতে দেয়া হবে না। বিএনপিও এই সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। দেশ যাবে কোন পথে ফয়সালা হবে রাজপথে। তারা বলেন, খুন শিগগিরই জনতার আদালতে আওয়ামী লীগের বিচার হবে। ২০২৩ সালের মধ্যেই এই সরকারের পতন হবে, দেশে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে। আর শেখ হাসিনার পতন হলে আওয়ামী লীগকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।

গতকাল শনিবার বিএনপিসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সারাদেশের জেলায় শহরে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে এই বার্তার পাশাপাশি সরকার পতন আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান।
মাহফুজুল হক আনার দিনাপুর থেকে জানান, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশ বর্তমানে একটি কঠিন সময় পার করছে। আমরা একটি ক্রান্তিকাল অতিবাহিত করছি। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৭৫ সালে একবার গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করেছিল, আবারো ক্ষমতায় এসে এক যুগ ধরে তারা দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে একটি স্বৈরাচার রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।

তিনি বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের সুসংগঠিত আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটিয়ে আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে হারিয়ে যাওয়া সেই গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনা হবে।’এ জন্য তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। গতকাল দিনাজপুর ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে জেলা বিএনপির কাউন্সিল অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, অবিলম্বে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করে সবার অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। এ জন্য দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দেন তিনি। ফখরুল আবারো বলেন, ‘দেশ যাবে কোন পথে, ফয়সালা হবে রাজপথে।
তিনি বলেন, চারিদিকে হত্যা, খুন, রাহাজানী, ধর্ষণ, চুরি, লুটপাট ছাড়া আর কিছু নেই। চুরি-ডাকাতি করতে করতে বাংলাদেশকে এমন জায়গায় নিয়ে গেছে যে এখন তাদের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নিজেই বলছেন যে সমস্ত নেতা কর্মীরা হাজার হাজার টাকা লুট করে পাচার করেছেন তাদের আওয়ামী লীগে জায়গা হবে না। গত কয়েকদিন আগে কুমিল্লায় কাউন্সিলে তিনি একথা বলেছেন। অর্থাৎ ওবায়দুল কাদের স্বীকার করেছেন আপনারা হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করেছেন। দিনাজপুর জেলা জেলা বিএনপি কাউন্সিল ও নির্বাচন পূর্ব সম্বেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর উল্লেখিত মন্তব্য করে বলেছেন, আপনারা নির্যাতন করছেন, গুম-খুন করেছেন, আমাদের একথা অগ্রাহ্য করা হয়েছে কিন্ত আজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের প্রতিষ্ঠান র‌্যাব ও র‌্যাব কর্মকর্তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। এরা বিচার বিভাগকে ধ্বংস করেছে, প্রশাসনকে ধ্বংস করেছে, সংবাদ মাধ্যমকে দলীয়করণ করেছে, সমস্ত দেশকে পৈত্রিক সম্পত্তি মনে করে দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের মানুষ এখন বিএনপির দিকে তাকিয়ে রয়েছে। তাই দেশের মানুষের কথা বিবেচনা করেই দায়িত্বশীল দল হিসেবে বিএনপির নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ে তুলে এই জালিম সরকারের পতন ঘটাতে হবে।

এর আগে লন্ডন থেকে ভার্চুয়াল যুক্ত হয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সম্মেলনে অন্যান্যদের বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, কেন্দ্রীয় নেতা ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহসান হাবিব দুলু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

পরিষ্কার কথা শেখ হাসিনার অধীনে কোন নির্বাচন হবে না:
বগুড়া ব্যুরো জানায়, বিএনপি কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, খালেদা জিয়া আন্দোলনের ডাক দিয়ে স্বৈরাচারী জেনারেল এরশাদের পতন ঘটিয়েই ৯০ সালে ঘরে ফিরেছেন। একইভাবে তারেক রহমানের নির্দেশে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়েই এবার ঘরে ফিরবে বিএনপি। তিনি শনিবার বগুড়া জেলা বিএনপি অফিসের সামনে বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। গয়েশ্বর বলেন, পরিষ্কার হওয়া উচিত শেখ হাসিনার অধিনে কোন নির্বাচন হবে না। নির্বাচন করতে দেয়া হবে না। বিএনপিও এই সরকারের অধিনে কোন নির্বাচনে যাবে না। বগুড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও পৌর মেয়র রেজাউল করিম বাদশার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা ওবায়দুর রহমান চন্দন, হেলালুজ্জামান লালু, ভিপি সাইফুল ইসলাম, জয়নাল আবেদীন চান, আলী আজগর তালুকদার হেনা, ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল, এম আর ইসলাম স্বাধীন, মীর শাহে আলম, মহিলা দলের সভানেত্রী লাভলী রহমান প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন জেলা বিএনপির নেতা কেএম খায়রুল বাশার।

রাজশাহী ব্যুরো জানায়, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, এই সরকারের আর কোন প্রকার অন্যায় সহ্য করা হবেনা। এখন শুধু প্রতিরোধ। আগামী সংসদসহ সকল নির্বাচন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধিন ছাড়া দেশে আর কোন নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে সরকার পতনের আন্দোলনে সবাইকে অংশগ্রহণ করতে হবে। সরকারের প্রধান এখন মায়া কান্না করতে শুরু করেছেন। বিগত নির্বাচনে বন্দুকের নলের মুখে, জনগণকে জিম্মি করে দিনের ভোট রাতে করে ক্ষমতায় বসে আছে এই সরকার। ক্ষমতার দম্ভে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের খুন, গুম, নির্যাতন, মিথ্যা ও গায়েবী মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। সারাদেশে আওয়ামী সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে রাজশাহী ভূবনমোহন পার্কে শনিবার বিকেলে রাজশাহী জেলা ও মহানগর বিএনপি’র আয়োজনে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ধর্মের কল বাতাসে নরে। এখন সকল সত্য কথা বেড়িয়ে আসছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করে বিদেশে পাচার করেছে। দেশের বুদ্ধিজীবী থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণ আওয়ামী লীগের এই অপকর্মের কথা বলছেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা। বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা কবির হোসেন, আশরাফ উদ্দিন আহাম্মেদ উজ্জল, আবু সাঈদ চাঁদ, সাইফুল ইসলাম মার্শাল।

সরকারের পতন হলে আ.লীগ খুঁজে পাওয়া যাবে না:
ফেনী জেলা সংবাদদাতা জানান, বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, খুব শিগগিরই জনতার আদালতে আওয়ামী লীগ সরকারের বিচার হবে। শেখ হাসিনার পতন হলে, কোন আওয়ামী লীগের খোঁজ পাওয়া যাবে না। ফেনী জেলার সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলালের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপি নেতা জালাল উদ্দিন মজুমদার, হারুনুর রশীদ, এমএ খালেক, ইয়াকুব নবী, আলাউদ্দিন গঠন, ফজলুর রহমান বকুল, আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী, মেছবাহ উদ্দিন মেছবাহ প্রমুখ।

যতো ষড়যন্ত্রই হোক না কেন, বিএনপিকে ভাঙা যাবে না’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদিন। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা জেলা বিএনপির আয়োজনে ‘দেশব্যাপী বিএনপিসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলার’ প্রতিবাদে ডাকা বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি বলেন, অবৈধ সরকারের কলাকুশলীরা নির্বাচনের রোডম্যাপ তৈরি করছেন। দেশে বারবার নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে, তারা (সরকারদলীয় নেতারা) বিএনপিকে নির্বাচনে নেওয়ার অহেতুক চেষ্টা করছে। এই সরকারের আশ্বাসে বিএনপি আর কোনও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না।

দলের নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, হালুয়া-রুটির লোভে আপনারা যদি দলের সঙ্গে বেঈমানি করেন, এই বেঈমানদের জায়গা বাংলাদেশে হবে না। ঘর ভাঙ্গার (বিএনপিকে ভাঙ্গার) ষড়যন্ত্র করে তারা নিজেরা বক্তব্য দিচ্ছেন; এই সরকার পতনের নাকি ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ যে আন্দোলন করছে, এই আন্দোলন আপনাদের পতনের আন্দোলন। কোনও ষড়যন্ত্রের কথা বলে এই আন্দোলন ঠেকানো যাবো না। আপনারা যতো চেষ্টাই করেন, বিএনপিকে ভাঙা যাবে না।

বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি দেওয়ান মো. সালাহউদ্দিন। আরও বক্তব্য দেন ঢাকা জেলা বিএনপিসাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক, কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি নিপুণ রায় চৌধুরী প্রমুখ।
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, শ্রীলঙ্কার উদাহরণ টেনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, আওয়ামী লীগের ক্ষমতার সময় শেষ হয়ে এসেছে। তারা ভাবতেই পারে না ক্ষমতা ছাড়তে হবে। তারা ভাবে এটা তাদের জন্মগত অধিকার। আওয়ামী লীগ সব ছাড়তে রাজি কিন্তু ক্ষমতা ছাড়তে রাজি না। কিন্তু ক্ষমতা ছাড়তেই হবে। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। না হলে আপনাদের পরিণতিও ভাল হবে না।গতকাল শনিবার বিকালে নগরীর কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে চট্টগ্রাম বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপি নেতা লুৎফুর রহমান কাজল, এএম নাজিম উদ্দীন, জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, আবুল হাশেম বক্কর। সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান।
নোয়াখালী ব্যুরো জানায়, দেশব্যাপী আওয়ামী সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে নোয়াখালীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জেলা বিএনপিসহ দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। গতকাল কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নোয়াখালী প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশে জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসির সভাপতিত্বে জেলা বিএনপিসাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমানের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির অধ্যাপক লিয়াকত আলী খান, আবু নাছের, শাহ জাফর উল্যাহ রাসেল প্রমুখ। সমাবেশে বক্তারা বলেন, এই সরকারের অধীন নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। দেশ এখন চরম সঙ্কটের মধ্যে সময় অতিবাহিত করছে এবং এই সঙ্কট থেকে উত্তরণের জন্য এই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে। এ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত না করতে পারলে তারেক জিয়া দেশে ফিরতে পারবে না, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা যাবে না। তাই সকলকে সরকার বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণে জন্য আহবান জানানো হয়।

স্টাফ রিপোর্টার, নরসিংদী থেকে জানান, নরসিংদীতে বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুল হক চৌধুরী বলেছেন, দেশে সরকার থাকলেও এ সরকার জনগনের সরকার নয়। নরসিংদী জেলা বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নরসিংদী জেলা বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন। বক্তব্য রাখেন বিএনপির বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জল হোসেন মাস্টার, এড. আবদুল বাসেদ ভূইয়া, আকবর হোসেন, আবু ছালেহ চৌধুরী, আমিনুল হক বাচ্চু, দ্বীন মোহাম্মদ দীপু, একেএম গোলাম কবির কামাল, ফারুক উদ্দিন ভূইয়া প্রমুখ।


কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা জানান, জেলা বিএনপি কার্যালয় থেকে মিছিল বের হলে পুলিশ বাঁধা দেয় পরে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক উমর ফারুক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক রুবেল,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন সহ নেতৃবৃন্দ ।

রাজবাড়ী জেলা সংবাদদাতা জানান, জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে জেলা বিএনপির আহবায়ক লিয়াকত আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, বিএনপির হারুন-অর রশিদ হারুন, রেজাউল করিম পিন্টু প্রমুখ।
সুনামগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা জানান, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সম্মুখ হতে মিছিলটি বের হয়ে স্থানীয় কালীবাড়ি মোড়স্থ পৌঁছালে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হয়। সেখানেই তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ সমাবেশে করে।

জয়পুরহাট জেলা সংবাদদাতা জানান, জেলা বিএনপির উদ্যোগে অফিসের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জেলার আহবায়ক প্রিন্সিপাল শামছুল হকের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক সামশুজ্জোহা খান। আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ওবায়দুর রহমান চন্দন, মাসুদ রানা প্রধান, আব্দুল ওয়াহাব, ফজলুর রহমান, সেলিম রেজা ডিউক, আলমগীর চৌধুরী বাদশা প্রমুখ।
কিশোরগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা জানান, রথখলা ময়দানে জেলা বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলমের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- মাজহারুল ইসলাম, রেজাউল করীম খান চুন্নু, জাহাঙ্গীর মোল্লা, জালাল উদ্দিন, রুহুল হোসাইন ও শরীফুল ইসলাম, খালেদ মো. সাইফুল্লাহ সোহেল, ইসরাইল মিয়া, নাজমুল আলম ও আমিনুল ইসলাম আশফাক প্রমুখ।

মেহেরপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, জেলা বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন অ্যাডভোকেট গৌতম চক্রবর্তী, বিশেষ অতিথি ছিলেন বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ডু। বক্তব্য রাখেন- জেলা বিএনপির মো. আমজাদ হোসেন, জাভেদ মাসুদ মিল্টন। সভাপতিত্ব করেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মাসুদ অরুন। সভা সঞ্চালনে ছিলেন মেহেরপুর পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস।

নেত্রকোণা জেলা সংবাদদাতা জানান, জেলা বিএনপির উদ্যোগে ছেটবাজারস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মো. আনোয়ারুল হকের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব ড. রফিকুল ইসলাম হিলালীর সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু।অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির- এডভোকেট মাহফুজুল হক, মজিবুর রহমান খান, তাজেজুল ইসলাম ফারাস সুজাত, বজলুর রহমান পাঠান, এসএম মনিরুজ্জামান দুদু প্রমুখ।

পঞ্চগড় জেলা সংবাদদাতা জানান, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে পঞ্চগড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জেলা বিএনপিসহ দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। বিক্ষোভ সমাবেশে জেলা বিএনপির আহবায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চুর সভাপতিত্বে বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মুহম্মদ জমির উদ্দিন সরকার উপস্থিত ছিলেন। আরও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির ফরহাদ হোসেন আজাদ, তৌহিদুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট আদম সুফি ও অ্যাডভোকেট মির্জা নাজমুল ইসলাম কাজল প্রমূখ।



 

Show all comments
  • Elias Hossain Elias ১৫ মে, ২০২২, ১২:৪৫ এএম says : 0
    এটা ত্ব চরম সত্য কথা,এদেশে জনগণের ভোটে আওয়ামীলীগ কখনো নির্বাচিত হয় নাই।
    Total Reply(0) Reply
  • Shahin Alam ১৫ মে, ২০২২, ১২:৪৪ এএম says : 0
    আন্দোলন সংগ্রাম থেকেই আওয়ামীলীগ এর জন্ম। আওয়ামীলীগকে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই।
    Total Reply(0) Reply
  • RS Rasel Khan ১৫ মে, ২০২২, ১২:৪৪ এএম says : 0
    বাংলাদেশ যাবে কোন পথে, ফয়সালা হবে রাজপথে
    Total Reply(0) Reply
  • Solaiman Ahmed ১৫ মে, ২০২২, ১২:৪৫ এএম says : 0
    ত্যাগ স্বীকার করে জনগণ নেতাদের হয় উন্নয়ন এই সিসটেম বদলে দিন লাল ঝান্ডা হাতে নিন ৷ আসছে আবার সুদিন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিএনপি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ