জয়পুরহাট জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে কিডনি ক্রয়-বিক্রয় চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ।শুক্রবার (১৩ মে) গভীর রাতে জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার

করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, দালাল চক্রের প্রধান কাওছার এবং চক্রের সক্রিয় সদস্য কালাইয়ের এলাকার মৃত সিরাজের ছেলে সাহারুল (৩৮), উলিপুর গ্রামের ফরিদুল ইসলামের ছেলে ফরহাদ হোসেন চপল (৩১), জয়পুর বহুতী গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে মোশাররফ হোসেন (৫৪), ভেরেন্ডি গ্রামের জাহান আলমের ছেলে শাহারুল ইসলাম (৩৫), জয়পুর বহুতী গ্রামের মৃত মোবারকের ছেলে মোকাররম (৫8), দুর্গাপুর গ্রামের মূৃত বছির উদ্দিন ফকিরের ছেলে সাইদুল ফকির (8৫), জয়পুরহাট সদর উপজেলার হানাইল বম্বু এলাকার মৃত আঃ সাত্তারের পুত্র সাদ্দাম হোসেন (৪০)।

শনিবার দুপুরে জয়পুরহাট পুলিশ লাইন সভাকক্ষে জেলা পুলিশ সুপার মাসুম আহাম্মদ ভূঞা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন জেলার কালাই থানা এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ অসহায় ও গরীব প্রকৃতির লোকজনদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে একটি সংঘবদ্ধ দালালচক্র মোটা অংকের টাকার প্রলোভন দেখিয়ে মানবদেহের কিডনি বিক্রয়ে প্রলুব্ধ করে আসছিল।প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগীরা পরবর্তীতে দালালে পরিনত হয় এবং তাদের আত্মীয়-স্বজনসহ এলাকার নিরীহ গরীব লেকজনদেরকে কিডনি বিক্রয়ের জন্য বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে চক্রটি প্রথমে সুদের উপর টাকা ধার দেয়।কিছু দিন পর পরিকল্পনা অনুযায়ী টাকা ফেরত চান এবং টাকা ফেরত দিতে না পারলে কিডনি বিক্রয়ের জন্য বাধ্য করে সংঘবদ্ধ দালাল চক্র। তিনি বলেন কতিপয় অসাধু ডাক্তারের মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেশের অভ্যন্তরে এবং দেশের বাহিরে পাঠিয়ে দিয়ে তাদের কিডনি অপসারণ করা হয়। পরে নাম মাত্র চিকিৎসা শেষে তাদের হাতে এক থেকে দুই লক্ষ টাকা দিয়ে সারা জীবনের মতো অঙ্গহানী করে দেশে পাঠিয়ে দেয়।

সাম্প্রতিক কালাই থানা এলাকা থেকে কয়েক জন লোক হঠাৎ করে নিখোজ হয়, পরবর্তীতে জানা যায় তারা এলাকার কিডনি বেচা কিনা চক্রের প্রধান দালাল জনৈক কাওছার এবং সাত্তার এর মাধ্যমে দুবাই ও ভারতে অবস্থান করছে এবং পাঁচবিবি থানা এলাকাতেও চক্রটি কিডনি বিক্রয়ের জন্য অসহায় গরীব লোকজনকে প্রলুন্ধ করছে মর্মে গোয়েন্দাদের কাছে অভিযোগ আসে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে দালাল চক্রকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে জয়পুরহাট জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল কালাই থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে দালাল চক্রের প্রধান কাওছারকে গ্রেফতার করে ।পরে তার দেওয়া তথ্যমতে ওই চক্রের সদস্যদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে বাকিদের গ্রেফতার করে । পুলিশ জানায় তাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।