পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আমরা তো আন্দোলনেই আছি। প্রতিদিন তো রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রোগ্রাম করছি, এগুলো তো আন্দোলনের অংশ। এখন প্রশ্ন রইল, আন্দোলনের গতি নিয়ে? তা হলো এ সরকার পতনের জন্য যথেষ্ট না। আন্দোলনের গতি বাড়াতে হবে। শক্তিটা বাড়তে হবে। মূল্য আন্দোলন যখন শুরু হবে তখন শ্রীলংকার মতো পালাবার পথ খুঁজে পাবেন না। গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন-সংকটের একমাত্র সমাধান শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে এলডিপি।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমরা একটা জায়গায় স্থির হয়েছি যে শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যাব না। তার মানে কি ছেড়ে দেব? না ছেড়ে দেব না। নির্বাচনে যাব না, যেন তেন নির্বাচনও করতে দেব না। যেন তেন নির্বাচন করার শক্তিও শেখ হাসিনার হাতে নেই। এটাও আপনাকে বোঝতে হবে। বিদেশি শক্তিও আর পাশে থাকবে না। তাদেরকেও হিসাব-নিকাশ করে চলতে হবে। বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখতে গেলে, এক ব্যক্তি বা একটি দলের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখলে দেশে সঙ্গে বন্ধুত্ব থাকে না, এই উপলব্ধি তাদের আশা করি হবে। তাদের এ উপলব্ধি হয়েছে বলেও বিশ্বাস করি। সে কারণে জনতার শক্তির কাছে কোনো শক্তি টিকে না। কোনো কালেই টিকে।
সরকার পতনের জন্য চলমান আন্দোলন যথেষ্ট নয় উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আজকে সাংস্কৃতিক কর্মীরা গান গেয়ে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে পারছে? ঘরে-ঘরে লিফলেট বিলি করে উদ্বুদ্ধ করতে পারছে? পারছে না। সেই কারণে ফ্যাসিবাদকে হটাতে শুদ্ধ ভাষায় কথা বললে হবে না। ফ্যাসিবাদের জবাব তাদেরকে যথাযথভাবে দিতে হবে। আঘাত আসলে পাল্টা আঘাত করতে হবে।
নির্বাচনকালীন সরকারের নাম নিয়ে এতো ব্যস্ততা কেন প্রশ্ন রেখের বিএনপির এই নেতা বলেন, নাম ঠিক করা ১ ঘণ্টার ব্যাপার। আমরা যখন লক্ষ্য অর্জন করতে পারব তখন কি নাম রাখতে পারবো না? যারা যারা বলেন পারবে কিনা? না পারার তো কিছু নেই। ৯ বছর ক্ষমতায় ছিল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, তারপর শাহাবদ্দিন সাহেব এলেন, কিছু অচেনা মানুষ বঙ্গভবনে এসে নির্বাচনের দায়িত্ব নিল। তখন তেমন লোকবলও ছিল না, তারা কি নির্বাচন করতে পারেনি? আমাদের এই আশঙ্কা কেন? শেখ হাসিনা থাকলে পুলিশকে নিয়ে কি করব? আরে পুলিশ, এটা-সেটা খুঁজে পাওয়া যাবে কি? খুঁজে পাওয়া যাবে না। যেদিন শেখ হাসিনা ক্ষমতায় নেই, সেদিনই মানুষের হাতে শক্তি আসবে। সেদিন পুলিশ হাসিনার পক্ষে ব্যালট বাক্স ছিনতাই তো দূরের কথা, সিল মারা তো দূরের কথা, তখন জনগণকে স্যালুট দিয়ে বলবে, আমরা কিন্তু আপনাদেরকে যথেষ্ট সহযোগিতা করছি। এটাই হলো বাস্তব চিত্র।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন এলডিপির একাংশের সভাপতি আবদুল করিম আব্বাসী, মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বিএনপির নেতা জহির উদ্দিন স্বপন, এনপিপির সভাপতি ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।