মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতে প্রায় সব ধর্মের মানুষের বসবাস। তবে দেশটিতে আনুপাতিক হারে মুসলিমদের প্রজনন হার কমছে। দেশটির জাতীয় ফ্যামিলি হেলথ সার্ভিস (এনএফএইচএস) ৫-এর তথ্য বলছে, ২০১৫-১৬ সালে প্রজননের হার ছিল দুই দশমিক ছয়। ২০১৯-২১ সালে এই হার কমে দাঁড়িয়েছে দুই দশমিক তিন-এ। সব ধর্মের মানুষের মধ্যে প্রজননের হার কম হলেও মুসলিমদের মধ্যে কমার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। ১৯৯২-৯৩ সালে ভারতে মুসলিমদের মধ্যে প্রজননের হার ছিল চার দশমিক চার, এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে দুই দশমিক তিন-এ। তবে ভারতে মুসলিমদের প্রজননের হার অন্যদের তুলনায় এখনো সবচেয়ে বেশি। ভারতে হিন্দুদের মধ্যে প্রজনন হার হলো এক দশমিক ৯৪। ২০১৫-১৬ সালের মধ্যে তা ছিল দুই দশমিক এক। ১৯৯২-৯৩ সালে হিন্দুদের প্রজননের হার ছিল তিন দশমিক তিন। এনএফএইচএসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ক্রিশ্চিয়ানদের প্রজননের হার এক দশমিক ৮৮, শিখদের এক দশমিক ৬১, জৈনদের এক দশমিক ছয় এবং বৌদ্ধদের এক দশমিক ৩৯। পপুলেশন ফাউন্ডেশন ইন্ডিয়ার নির্বাহী পরিচালক পুনম মুর্তাজা বলেন, ‘‘হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে প্রজননের হারে যে ব্যবধান ছিল, তা কমছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘গত কয়েক দশকে মধ্যবিত্ত মুসলিমরা পরিবার পরিকল্পনা ও মেয়েদের শিক্ষার ব্যাপারে সচেতন হয়েছেন।’’ এর আগে ২০১৫-১৬ সালের এনএফএইচএসের সমীক্ষায় দেখা যায়, ৩২ শতাংশের বেশি মুসলিম মেয়ে কোনো স্কুলেই যান না। সেই হার এবারের এনএফএইচএসের সমীক্ষায় কমে দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক নয়-এ। হিন্দুদের ক্ষেত্রে এ হার আগে ছিল ৩১ দশমিক চার, এখন তা কমে হয়েছে ২৮ দশমিক পাঁচ। সমীক্ষায় আরও দেখা যায়, যত বেশি মেয়েরা শিক্ষা পাচ্ছেন, ততই সন্তানের সংখ্যাও কমছে। যে মেয়েরা স্কুলে যাননি, তাদের প্রজননের হার হলো দুই দশমিক আট, আর যারা স্কুলে গেছেন এবং অন্তত ১২ ক্লাস পর্যন্ত পড়েছেন, তাদের প্রজনেনর হার এক দশমিক আট। যে সব নারীরা গরিব, তাদের প্রজননের হার অন্যদের তুলনায় বেশি। মুর্তাজার দাবি, ‘‘মুসলিমরা এখন পরিবার পরিকল্পনার বিষয়ে আগের থেকে বেশি সচেতন। সমীক্ষায় এটাও দেখা গেছে, তারা আগের থেকে অনেক বেশি জন্মনিরোধক ব্যবহার করছেন।’’ দশটির এক প্রবীণ সাংবাদিক বলেন, ‘‘হিন্দুত্ববাদীরা প্রচার করেন যে, মুসলিমদের প্রজননের হার খুবই বেশি। হিন্দুদের কম। ফলে ভারতে মুসলিমদের সংখ্যা হিন্দুদের তুলনায় বাড়ছে। সরকারি তথ্য দেখিয়ে দিচ্ছে, এ ধরনের প্রচারণা একেবারেই ভিত্তিহীন।’’ ডয়েচে ভেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।