পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রামে নিজ নিজ এলাকায় অবস্থান করছেন মন্ত্রী, এমপিসহ রাজনৈতিক দলের নেতারা। তাদের বাসা, বাড়ি, বৈঠকখানায় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ভিড়। ঈদ শেষ হলেও রয়ে গেছে উৎসবের আমেজ। নেতাদের কাছে পেয়ে উচ্ছ্বসিত তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশপাশি ঘর গোছানোর কাজও চলছে। সরকারি দল আওয়ামী লীগ খুব শিগগির চট্টগ্রাম মহানগরী ও জেলার তৃণমূলে কমিটি গঠনের মাধ্যমে সংগঠনকে ঢেলে সাজাবে। যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ সহযোগী সংগঠনেও চলছে ঘর গোছানোর তোড়জোড়।
একই চিত্র মাঠের বিরোধী দল বিএনপিতেও। পবিত্র মাহে রমজানেও দলটির মহানগরীর ইউনিট ও ওয়ার্ড পর্যায়ে নেতৃত্বে নির্বাচনের লক্ষ্যে সাংগঠনিক তৎপরতা অব্যাহত ছিল। ঈদের ছুটিতে কেন্দ্রীয় নেতাদের আগমনে বড় দুই দলের সাংগঠনিক ভিত্তি মজবুতের কাজে আরো গতি এসেছে।
অন্যান্য রাজনৈতিক দলেও চলছে নিজেদের সাংগঠিক শক্তি বৃদ্ধির নানামুখি তৎপরতা। আগামী জাতীয় নির্বাচন আর নির্বাচনকালীন সরকারের দাবিতে বিরোধী দলগুলো রাজনীতির মাঠ গরমের কথা বলছে। আর তা মোকাবেলার আগাম হুঁশিয়ারী এসেছে সরকারি দলের তরফে। ফলে আগামী দিনে রাজনৈতিক ময়দানে উত্তাপ বাড়বে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
তারা বলছেন, বড় দুই দল তাদের লড়াইয়ে ছোট দলগুলোকে কাছে টানবে। জোট-মহাজোটের রাজনীতি ফের চাঙ্গা হবে। ইতোমধ্যে রাজনীতির মাঠে নানা মেরুকরণের আভাসও মিলছে। ফলে ছোট দলগুলোও তাদের শক্তিমত্তা প্রদর্শন করে জোটে ভাল অবস্থান তৈরী করার প্রস্তুতিতে মনোনিবেশ করেছে।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা তাই নিজ নিজ দলের পাশপাশি সমমনা রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথেও যোগাযোগ বাড়িয়ে দিয়েছেন। বলা যায়, আপাতত মাঠে রাজনৈতিক কোন তৎপরতা না থাকলেও ঘরোয়া রাজনীতি দারুণ জমে উঠেছে।
রাজধানী ঢাকার পর রাজনীতিতে চট্টগ্রামের গুরুত্ব। অতীতের সকল রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে চট্টগ্রাম ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছে। প্রধান দুই দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আছেন চট্টগ্রামের অনেক নেতা। সামনের দিনে রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতি কোন দিকে মোড় নেবে সে বিষয়ে এসব নেতারা দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের নানা রকম আভাস দিচ্ছেন।
সেই সাথে সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় নিজেদের প্রস্তুত হতেও বলছেন। আবার জাতীয় পর্যায়ের এসব নেতারা নানা বিষয়ে মাঠ পর্যায়ের নেতাদের মতামতও গ্রহণ করছেন। আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ক্ষমতায়। তারা নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নানা মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। কিছু কিছু প্রকল্পে অনিয়ম দুর্নীতি এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতায় জনদুর্ভোগ হচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি নিয়েও জনমনে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে।
সরকারি দলের নেতাদের ঈদ শুভেচ্ছার আড্ডা-আলোচনায় এসব বিষয়ও উঠে আসছে। মাঠ পর্যায়ের নেতারা এসব বিষয়ে আরো বেশি কঠোর হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। তারা মনে করছেন আগামী দিনে নির্বাচনকে সামনে রেখে কঠিন সময় আসছে। আর তাই এসব বিষয়ে এখন থেকে মনযোগ দিতে হবে। পক্ষান্তরে বিএনপি নেতাদের আলোচনায় প্রধান্য পাচ্ছে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার। এই দাবিতে আন্দোলন জোরদারের তাগিদ দিচ্ছেন তৃণমূলের নেতারা। আন্দোলন বেগবান এবং সফল করতে বৃহত্তর ঐক্যের কথা বলছেন মাঠের নেতারা। বড় দুই দলেই রয়েছে গৃহবিবাধ। বিশেষ করে শাসক দলে এ সমস্যা বেশ প্রকট। সামনের দিনে এ কলহ বিরোধ কমিয়ে আনার পরামর্শও দিচ্ছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
এবারের ঈদে লম্বা ছুটিতে চট্টগ্রাম অঞ্চলের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ প্রধান প্রধান দলের কেন্দ্রীয় নেতারা নিজ নিজ এলাকায় আসেন। অনেকে এখনও এলাকায় অবস্থান করছেন। পবিত্র মাহে রমজানেও অনেকে এলাকায় এসেছেন, নেতাকর্মী সমর্থকদের সাথে ইফতার মাহফিলে শরিক হয়েছেন। অনেকে দলের নেতাকর্মী সমর্থকদের ঈদ উপহার দিয়েছেন।
ঈদের দিন থেকে নেতাদের বাড়ি বাড়ি চলছে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়। দলের কর্মী, সমর্থকদের নানা পদের খাবার দিয়ে আপ্যায়িত করছেন। এসব অনুষ্ঠানে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশপাশি অঙ্গ ও সহযোগী এবং সমমনা পেশাজীবী সংগঠনের নেতারাও শরিক হচ্ছেন। বড় দলগুলোতে বরাবরই অবহেলিত থাকেন তৃণমূলের নেতারা। তবে বিভিন্ন উপলক্ষ্যে নেতারা যখন তাদের খোঁজখবর নেন তখন তারা উজ্জীবিত হন। তারাই রাজনৈতিক দলের মূল শক্তি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।