বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পটুয়াখালীর পায়রা সেতুর টোল আদায়কে কেন্দ্র করে সংরক্ষিত আসনের মহিলা সংসদ সদস্য কাজী কানিজ সুলতানা হেলেন এর স্বজনদের সাথে সেতুর টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠানের স্টাফদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে লেবুখালী পায়রা সেতুর দক্ষিন প্রান্তে টোল প্লাজায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্যর বড় ছেলের নতুন বউ নিয়ে ফেরার পথে এ মারামারির ঘটনা ঘটে।
পায়রা সেতুর টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার আসাদুজ্জামান বলেন, ‘সিসি টিভি ফুটেজ থেকে আমরা অনেক কিছু স্পস্ট হয়েছি। আমি যেহেতু ঘটনা স্থলে ছিলাম না। আমি জানতে পেরেছি, একটি বিয়ের গাড়ি সহ বেশ কয়েকটি গাড়ী ব্রীজ পার হয়ে টোল প্লাজায় আসার পর ব্রীজের টোল চাইলে গাড়ী থেকে নেমে মহিলা এমপি’র পরিবারের সদস্য পরিচয় দেয়া হয়। এ সময় তাদের তথ্য যাছাই বাছাই করার এক পর্যায়ে গাড়ী থেকে নেমে কয়েকজন যুবক টোল আদায়কারী স্টাফদের সাথে কথা কাটাকাটি এবং এক পর্যায়ে মারধর শুরু করে এবং সুপারভাইজার রাসেলেকে ঘুসি মেরে নাক ফাটিয়ে দেয়। এ সময় আমাদের বেশ কয়েকজন স্টাফ আহত হন। পরে তারা অফিস রুমে এসেও আমাদের মারধর করে। এ
সময় টহল পুলিশকে অবহিত করলে তাঃক্ষনিক তার ঘটনা স্থলে এসে পরিস্থীতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করলেও তা সম্ভব না হওয়া তারা উদ্ধৃতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে পরে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। আহতরা হচ্ছেন সিকিউরিটি সুপারভাইজার রাসেল,স্টাফ বাবুল, সুবজ এবং মাহবুব।
এ বিষয়ে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য কাজী কানিজ সুলতানা হেলেন সাংবাদিকদের মুঠোফোনে জানান, পটুয়াখালী থেকে বরিশাল যাওয়ার পথে পায়রা সেতুর টোল প্লাজার লোকজন বলে, ঈদের বকসিস দিয়ে যান। তখন ছোট ছেলে বলছে, আসার পথে মিষ্টি খাওয়ার টাকা দিবো। যাওয়ার সময় কিছু হলো না। কিন্তু বরিশাল থেকে পটুয়াখালী আসার পথে হটাৎ টোলপ্লাজা এলাকার স্টাফরা বড় ছেলে, ছোট ছেলের সঙ্গে অনেক অনেক বাকবিতন্ডায় জরায়। এক পর্যায়ে ছোট ছেলের বন্ধু মেরিন ইঞ্জিনিয়ার আশিককে টেনে হিছরে টোলপ্লাজার নিচ তলায় নিয়ে বেদম প্রহার করে। এসময় তার সাথে থাকা আইফোন, ড্রাইভারের স্মার্ট ফোন ছিনতাই করে। গাড়ির ভিআইপি হর্ন নিয়ে গেছে। এছাড়া নতুন পুত্রবধূর ডান হাতের তিন আঙ্গুলের ফলছ নক নিয়ে গেছে। এসময় হাতের স্বর্নের বালাও নিয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার সময় টোলপ্লাজার বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়। এটি একটি পরিকল্পিত ডাকাতি করা হয়েছে। যেখানে আমার গাড়ি টোলপ্লাজা এলাকায় নিরাপদ নয় সেখানে সাধারণ মানুষ কি ভাবে নিরাপদ? এ বিষয়ে আমরা মামলা করবো। তিনি দাবী করেন তার গাড়ী বহরে থাকা আশিক মাহমুদ, ড্রাইভার বিলাল হোসেন ও জাকারিয়া মাহমুদ কে আহত করা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ, দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ সহ পুলিশ এবং র্যাবের উর্দ্ধোতন সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ বিষয়ে পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনিরুজ্জামান জানান, পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।