বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মাদারীপুরে শিবচর বাংলাবাজার শিমুলিয়া নৌ রুটে ঈদের ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ ক্রমেই বাড়তে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয়ে গতকাল শনিবার পযর্ন্ত লঞ্চ, স্পীটবোর্টে ছিলো যাত্রীদের উপচে পড়া ভীড়। বাংলাবাজার শিমুলিয়া স্পীটবোর্ট ঘাটে প্রশাসনের চোখের সামনেই ১২ জনের পরিবর্তে ২৫ থেকে ৩০ জন করে তুলছে স্পীটবোর্টে, বাড়তি ভাড়া দিয়ে যাত্রী পরিবহন করছে স্পিডবোটগুলো। এদিকে যাত্রীদের চাপ মাথায় রেখে ঘাটের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে ঘাট এলাকায় প্রস্তুতিমূলক সভা করেছে পুলিশ প্রশাসন। যাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
অপরদিকে সরকারী নিষেধাজ্ঞা থাকাস্বত্বেও ঈদে ঘরমুখো যাত্রায় বেড়েছে মোটরসাইকেলের ব্যবহার। ঈদের ছুটিতে অসংখ্য যাত্রী নিজস্ব বাহন মোটরসাইকেল নিয়ে ছুটছেন বাড়ির উদ্দেশে।দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় যেতে ফেরিতে এক সময় যাত্রীবাহী দূরপাল্লার বাসের আধিক্য দেখা গেলেও ইদানিং উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে মোটরসাইকেলের সংখ্যা। মোটরসাইকেলের চাপে ফেরিতে অন্যান্য যানবাহন উঠতে ব্যর্থ হচ্ছে মাঝে মধ্যে। শনিবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া থেকে শুধু মোটরসাইকেল আরোহীদের নিয়েই কেটাইপ ফেরি কুঞ্জলতা বাংলাবাজার ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে আসে।
বাংলাবাজার ফেরিঘাট সূত্রে জানা গেছে, প্রায় প্রতিটি ফেরিতেই অর্ধেক জায়গা মোটরসাইকেল আরোহীদের দখলে। শনিবার শিমুলিয়া থেকে শুধু মোটরসাইকেল নিয়েই একটি ফেরি বাংলাবাজার ঘাটে আসে। প্রায় এক হাজার মোটরবাইক ছিল ফেরিতে। দুপুরে ক্যামেলিয়া নামের ফেরিতে মাত্র ছয়-সাতটি গাড়ি পার হয়েছে। আর ফেরির বাকি অংশ ছিল বাইকের দখলে।
মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি ফেরা বরিশালের গৌরনদী এলাকার মো. সোহেল জানান, অফিসের প্রয়োজনে মোটরসাইকেল চালাতে হয়। ঢাকা যাওয়া-আসার ক্ষেত্রে মোটরসাইকেলই ব্যবহার করেন তিনি। ফেরি না চললে ট্রলারে করেও পদ্মা পার হয়ে থাকেন। ইচ্ছামতো রুট ব্যবহার করে চলাচল করা যায় বলে মোটরসাইকেল চালিয়ে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে চলেন তিনি।
ইউসুফ নামে আরেক মোটরসাইকেল চালক বলেন, আমি ঢাকায় মোটরবাইকে যাত্রী বহন করি। এখন বাড়ি যাচ্ছি। ঘাট থেকে গোপালগঞ্জের যাত্রী পেলে নিয়ে যাব।
বিআইডব্লিউটিসি'র বাংলাবাজার ফেরিঘাট ম্যানেজার মো: সালাউদ্দিন জানান .ঈদে যাত্রীচাপ মোকাবেলারত রয়েছে ৮৭ টি লঞ্চ ও শতাধিক স্পিডবোট।ফেরিতে যানবাহনের চাপ বেড়েছেই। প্রতিটি ফেরিতে মোটরসাইকেলের চাপ আরও বেশি।এছাড়াও মোট ১০টি ফেরি নৌরুটে যানবাহন পারাপার করছে।প্রতিটি ফেরিতেই অন্যান্য যানবাহনের পাশাপাশি মোটরসাইকেলের বেশ চাপ রয়েছে। ঘাটে ফেরি ভিড়লেই মোটরসাইকেল দ্রুত ফেরিতে উঠে যায়। এ কারণে অনেক সময় অন্যান্য গাড়ি উঠতে পারে না। মোটরবাইক 'রাইড' এর জনপ্রিয়তা থাকায় এ পেশায় অনেক যুবক ঝুঁকছেন। ঢাকাতেও অসংখ্য মোটরসাইকেল রাইডার রয়েছেন। ঈদে বাড়িতে যাচ্ছেন তারা। এ কারণে চাপ বেড়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।