Inqilab Logo

বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

গর্ভাবস্থায় বিপজ্জনক ওষুধ

প্রকাশের সময় : ১৬ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

এনএসএআইডি অর্থাৎ স্টেরয়েডবিহীন ব্যথানাশক ওষুধ ডাকটাস আর্টেরিয়াসাস (ওহ ঁঃবৎড়)-কে বন্ধ করে দিতে পারে। ফিটাল পালমোনারী হাইপারটেনশনের সৃষ্টি করতে এবং ডেলিভারীর সময় দেরি করাতে পারে বা দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করতে পারে। অ্যাসপিরিন প্লাটিলেটের সমস্যার সৃষ্টি করে থাকে। কো-ট্রাইমোক্সাজল গোত্রভুক্ত ওষুধ নিওন্যাটাল হেমোলাইসিসের সৃষ্টি করে। কটিকোস্টেরয়েড ফিটাল এডরেনালকে সাপ্রেস করতে পারে। গর্ভাবস্থায় মেট্রোনিডাজল পরিহার করা ভালো। এছাড়া এজোল এন্টিফাংগাল ওষুধ, অপিয়ডস পরিহার করা উচিত। টেট্রাসাইক্লিন দাঁতের রঙ পরিবর্তন করতে পারে। সম্ভাব্য টেরাটোজেন যেমন, কার্বামাজেপেইন, ফিনাইটয়েন, কো ট্রাইমোক্সাজল, থ্যালিমাইড (যা মাঝে মাঝে আলসার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়) অবশ্যই পরিহার করা উচিৎ। এক্স-রে না করাই ভালো। বিশেষ করে গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসে যদি ডেন্টাল এক্সরের গুরুত্বপূর্ণ ঝুঁকি থাকে না। তারপরেও এক্স-রে না করে চিকিৎসা দেওয়া শ্রেয়। দাঁতের চিকিৎসা গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় তিন মাসে করা উচিৎ। কিছু ওষুধ মা থেকে ফিটাসে সঞ্চালিত হয়ে থাকে। সেফালেক্সিন অত্যন্ত দরকারি এন্টিমাইক্রোবায়াল যেহেতু এটি মায়ের দুধে নিঃসরিত হয় না। ফ্লোরাইড মায়ের দুধ অতিক্রম করে শিশুতে সঞ্চালিত হতে পারে। তাই কোনো এলাকার পানিতে যদি ফ্লোরাইড বেশি থাকে তবে সেখানে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। 

ষ ডাঃ মোঃ ফারুক হোসেন
মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ
মোবাইল : ০১৮১৭-৫২১৮৯৭
ফৎ.ভধৎঁয়ঁ@মসধরষ.পড়স



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গর্ভাবস্থায় বিপজ্জনক ওষুধ
আরও পড়ুন