পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জনজীবন যখন দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বোগতিতে জড়জড়িত, সে সময় জ্বালানি তেল, গ্যাস অথবা বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি আগুনে ঘি ঢালা হবে বলে মনে করছে কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। ক্যাবের হিসাবে মতে এক শতাংশ মূল্য বৃদ্ধিরও প্রয়োজন নেই। গতকাল বুধবার ক্যাব-এর উদ্যোগে ‘ন্যায্যতা উপেক্ষা করে গ্যাস বাণিজ্য কার স্বার্থে’ শীর্ষক একটি অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে বক্তরা এমনটি মনে করেন।
অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান। সংবাদ সম্মেলনের সঞ্চালনা করেন ক্যাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ড. সৈয়দ মিজানুর রহমান।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ক্যাবের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম। তিনি বলেন, বিগত ২১ থেকে ২৪ মার্চ ভোক্তা পর্যায়ে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাবসমূহের ওপর বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আয়োজিত গণশুনানি হলো। তাতে ভোক্তা পর্যায়ে গ্যাসের মূল্যহার পেট্রোবাংলা ভারিত গড়ে ১১৭ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে। বিইআরসি’র কারিগরি কমিটি ২০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে। ক্যাব ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ (প্রতি ঘনমিটারে ০.১৭ টাকা) কমানোর প্রস্তাব করেছে এবং সকল শ্রেণির ভোক্তাদের জন্য বিদ্যমান মূল্যহার ৯ দশমিক ৬৯ টাকা বহাল রাখতে বলেছে। তবে গ্যাস তছরুপ প্রতিরোধে মাসিক ৭৭ ঘনমিটারের পরিবর্তে ৪০ ঘনমিটার ব্যবহার ধরে মিটারবিহীন আবাসিক গ্রাহকদের চুলাপ্রতি গ্যাসের মূল্যহার কমানোর এবং কস্ট প্লাস-এর পরিবর্তে আগামী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত জিটিসিএল-এর সঞ্চালন চার্জ ও তিতাসের বিতরণ চার্জ মুনাফা ব্যতীত শুধুমাত্র কস্ট-এর ভিত্তিতে নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে ক্যাব।
ক্যাব সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, সরকার যদি গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করতে না চায় তাহলে সরকারের যে সংস্থাগুলো গ্যাসের দাম বৃদ্ধির জন্য বিইআরসিতে প্রস্তাব দিয়েছে তা যদি আলোচনা না করে, যৌক্তিকতা বিচার না করেই একটি আদেশ দিয়ে দেয় তাহলে সেটি জনগণের কাজে গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে। এ ক্ষেত্রে সরকারের ভাবমুর্তি খুন্ন হবে। তিনি বলেন, গ্যাসের দাম বাড়িয়ে জনগণের উপর বোঝা চাপিয়ে দিয়ে সবাই লাভবান হতে যাচ্ছে। গ্যাসের দাম বাড়ানোর জন্য সরকারের বিভিন্ন সংস্থ্যা প্রস্তাব করেছে। তবে ক্যাবের হিসাব মতে এক শতাংশ মূল্য বৃদ্ধিরও প্রয়োজন নেই। বরং দাম কমানোর সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের তিনটি কুপ খনন করলে একটিতে গ্যাস পাওয়া যায়। সমুদ্র থেকে আমাদের পাশের দেশ ভারত, মিয়ানমার গ্যাস উত্তোলন করছে। আমরা সমুদ্র জয় করলাম কিন্তু সমুদ্রের যে সম্পদ তা আহরণ করে জনগণের সেবায় ব্যহারের যে প্রচেষ্টা আমরা তা দেখছি না।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বদরুল ইমাম বলেন, গ্যাস সরবারহ এবং উৎপাদনে বাংলাদেশ একটি মাত্র পায়ের উপর দাঁড়িয়ে আছে। কোন কারণে সেটি অকেজো বা সমস্যা হলে কি হবে তা কল্পনা করা যায় না। সেভরনের বিবিয়ানা গ্যাস প্ল্যান্টে সমস্যা হলে সারাদেশেই গ্যাস সংকট দেখা দিবে।
ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হুমায়ূন কবির ভূঁইয়া বলেন, এমনিতেই করোনা মহামারিতে আমরা ভোক্তারা নিষ্পেশিত। এই মুহূর্তে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি কোনভাবেই কাম্য নয়।
এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ক্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাবের যুগ্ম সম্পাদক ডা. শাহনেওয়াজ চৌধুরী, ক্যাবের কোষাধ্যক্ষ ড. মো: মুঞ্জুর-ই- খোদা তরফদার প্রমূখ। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।