পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বারবার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি করে সরকার মানুষের সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করছে বলে দাবি করেছেন বিশিষ্টজনরা। গতকাল শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) গোলটেবিল মিলনায়তনে এক নাগরিক সভায় এসব মন্তব্য করা হয়। ভোক্তার স্বার্থ উপযোগী-পরিবেশবান্ধব এলএনজি ও এলপিজির যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণের দাবিতে এ সভার আয়োজন করে নাগরিক কমিটি। বিশিষ্ট নাগরিক সাংবাদিক, কলামিস্ট, গবেষক, প্রাবন্ধিক ও লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ সভাপতির বক্তব্যে বলেন, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি করে সরকার মানুষের সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করছে। ছোট ছোট গোষ্ঠীর স্বার্থে সরকার কোটি কোটি মানুষের জীবন যাপনের মূল্যবৃদ্ধি করছে। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি মানুষের সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করছে, যা মানবাধিকার লঙ্ঘন। সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, বর্তমান সরকার ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলের মহাজন ব্যবসায়ীদের মতো আচরণ করছে। সরকার পার্টনারশিপ ব্যবসায়ী হয়ে গেছে। বছরে দুই বার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করছে।সরকার কিছু গোষ্ঠীর স্বার্থে কাজ করছে। উন্নয়নের নামে পরিবেশ নষ্ট করছে। লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, জনগণ টেকসই উন্নয়ন চায়। পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষা করতে চায়। আর সরকার এসবের ধারে কাছে নেই। এভাবে চলতে থাকলে সরকারকে ইতিহাসের কাঠগোড়ায় দাঁড়াতে হবে।
সভায় নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, সাগর জয় করে সরকার নানা উৎসব করছে। কিন্তু সাগর থেকে গ্যাস উত্তোলনের দিকে তাদের নজর নেই। ভারত ও মিয়ানমার সাগর থেকে গ্যাস উত্তোলন করছে। কিন্তু বাংলাদেশ এখনো শুরু করতে পারে নাই। ফলে বাংলাদেশের গ্যাস ভারত ও মিয়ানমারের দিকে চলে যাচ্ছে। এসব দিকে কেন সরকারের নজর নেই প্রশ্ন রাখেন তিনি? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ব বিভাগের অধ্যাপক বদরুল ইসলাম বলেন, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি ও পরিবেশ দূষণ নৈরাজ্যের দিকে চলে যাচ্ছে। সরকার এক সময় বলছে দেশ গ্যাসের উপরে ভাসছে। আবার একই মুখে বলছে গ্যাস শেষের দিকে। মূলত নিজেদের স্বার্থে সরকার এমন বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, গ্যাসের দাম সঠিক করতে হলে রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং ন্যায় সমতা দরকার হবে। সভায় আরো বক্তব্য দেন, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এম শামসুল আলম, কমিউনিস্ট পার্টি নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।