মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
শুক্রবার বিশ্বজুড়ে পালিত হয়েছে আর্থ ডে। গত শতাব্দীর সাতের দশক থেকে এই দিনটিতেই পালিত হয় পৃথিবী দিবস। দিনটি পালন করেছে গুগলও। বিশ্বের জনপ্রিয়তম সার্চ ইঞ্জিনের ডুডলে ফুটে উঠছে জলবায়ু পরিবর্তনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও। তাতে দেখা গিয়েছে, আমাদের নীল গ্রহের উপরে এর কী প্রভাব পড়েছে।
এদিনের গুগল ডুডলে দেখা গিয়েছে পৃথিবীর নানা অংশের দৃশ্য। এর মধ্যে প্রবাল দ্বীপ যেমন রয়েছে তেমনই রয়েছে হিমবাহ কিংবা সবুজ প্রকৃতির দৃশ্যও। দেখা গিয়েছে, মানুষের অবহেলা ও অন্যান্য কারণে কীভাবে দশকের পর দশক ধরে অবক্ষয়ের দিকে এগিয়ে চলেছে পৃথিবীর নানা ভূমিরূপ।
গুগল জানিয়েছে, গ্রিনহাউস গ্যাস নিষ্ক্রমণই জলবায়ুর পরিবর্তনের অন্যতম কারণ। জাতিসংঘ জানিয়েছে, গ্রিনহাউস গ্যাস যত পৃথিবীর উপরের অংশকে কম্বলের মতো জড়িয়ে ধরেছে, ততই তা সূর্যের উত্তাপকে শুষতে শুরু করেছে। এর ফলেই বিশ্ব উষ্ণায়নের সৃষ্টি হয়েছে। ইতিহাসের হিসেবে, পৃথিবী এই মুহূর্তে যত দ্রুত গলছে তা সর্বকালীন রেকর্ড।
উল্লেখ্য, ১৯৭০ সালের ২২ এপ্রিল পালিত হয়েছিল প্রথম আর্থ ডে। এরপর থেকেই প্রতি বছর পালিত হচ্ছে এই দিনটি। ১৯৬৯ সালে সানফ্রান্সিসকোর ইউনেস্কো সম্মেলনে ঠিক হয় ওই দিনেই পালিত হবে দিনটি। আসলে ওই সময়ে পরিবেশ সচেতনতার আন্দোলন শুরু হয়েছিল আমেরিকায়। আর সেখান থেকেই জন্ম নেয় পৃথিবী দিবস পালন করে সকলকে সচেতন করার পরিকল্পনা। কিন্তু দীর্ঘ পাঁচ দশক ধরে এই দিনে সকলকে সচেতন করেও যে লাভ হয়নি, তা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে এদিনের গুগল ডুডলের ছবিতে। যা বুঝিয়ে দিয়েছে, আরও বেশি করে সচেতন হওয়ার প্রয়োজন হয়েছে।
শুক্রবার সকাল থেকে গুগলে মিলেছে আর্থ ডে-র ঝলক। এক সঙ্গে দুটি ছবি কোলাজ করে রয়েছে হোম পেজে। একটিতে রয়েছে ২০০০ সালের ছবি ও একটি ২০২০ সালের। ছবিটি কোনও স্যাটেলাইট থেকে তোলা। ছবিতে দেখা যাচ্ছে পৃথিবীরে একটি বিশেষ অংশের দৃশ্য। যা থেকে স্পষ্ট পৃথিবীর বরফ কতটা গলে গিয়েছে। বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য বরফ গলে যাচ্ছে, তা সকলেরই জানা। এবার তা প্রমাণ করার জন্য প্রকাশিত হল এমন ছবি।
প্রথম ডুডল তানজানিয়ার মাউন্ট কিলিমাঞ্জারোর চূড়ায় হিমবাহের রিট্রিটের বাস্তব চিত্র দেখা যাচ্ছে। ব্যবহৃত ছবিতে ১৯৮৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রতি বছরের ডিসেম্বর মাসের ছবি দেখা যাচ্ছে। দ্বিতীয় ডুডলে ২০০০ সালে থেকে ২০২০ সাল পর্যম্ত প্রতি ডিসেম্বর মাসের গ্রিনল্যান্ডের একটি স্থান্র ছবি দেখা যাচ্ছে। আর তৃতীয় ডুডলে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার গ্রেট ব্যারিয়ার রিফের ছবি। যেখানে লিজার্ড দ্বীপের ছবি রয়েছে।
এই সব কয়টি ছবি জানান দিচ্ছে, কীভাবে পৃথিবী ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আর পৃথিবীর এমন ক্ষতি করে চলেছি আমারাই। গাছ কেটে, জলের অপচয় করে প্রতি মুহূর্তে আমরা নিজেদের ক্ষতি করছি। এমনকী, এমন বহু অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি আছে, যার জন্য পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে ধ্বংসের দিকে। তাই পৃথিবীকে রক্ষা করতে ও সুস্থ জীবন ফিরে পেতে শপথ নিন, পৃথিবীকে রক্ষা করার। সূত্র: এশিয়ানেট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।