মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
এবার থেকে ব্রিটেনের সাবওয়েতে কোনও মহিলার দিকে তাকিয়ে থাকলেও সেই ব্যক্তিকে হাজতবাস করতে হতে পারে! এমনই নিয়ম চালু করেছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি শহরের সাবওয়ের ভিতর মহিলাদের উত্যক্ত করার ঘটনা মারাত্মক হারে বেড়ে গিয়েছে। সেই কারণেই এবার কঠোর পদক্ষেপ করার কথা ঘোষণা করেছেন পুলিশের এক শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তা। তিনি জানিয়েছে, এবার যদি কারও বিরুদ্ধে কোনও মহিলার দিকে এক নাগাড়ে তাকিয়ে থাকার অভিযোগ ওঠে, তাহলে সেই ব্যক্তিকে প্রয়োজনে গ্রেফতার করা হতে পারে।
এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন ব্রিটিশ পরিবহণ পুলিশের ডেপুটি সুপারিনটেন্ডেন্ট সারা হোয়াইট। তাতে বলা হয়েছে, যদিও কোনও ব্যক্তি কোনও মহিলার প্রতি 'অস্বাস্থ্যকর আচরণ' করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের এই প্রসঙ্গে সারা বলেছেন, "আশপাশের জিনিসের দিকে তাকানো মানুষের সহজাত অভ্যাস। এ নিয়ে কারও কিছু বলার থাকতে পারে না। কিন্তু, কেউ যদি বিশেষভাবে দীর্ঘক্ষণ বা বারবার কারও দিকে তাকান, তাহলে সেটি অবশ্যই অস্বস্তিকর।" অনেক সময় অপরাধীদের মধ্যে এমন আচরণ দেখা যায়। রাস্তা-ঘাটে মহিলাদের অনুসরণ করার মতো ঘটনাও ঘটে। যা বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে গুরুতর অপরাধ ঘটায়।
এমন পরিস্থিতি এড়াতেই এবার আরও বেশি সতর্কতা অবলম্বন করল ব্রিটিশ পুলিশ। তাদের বক্তব্য, সাবওয়েতে অনেক সময়েই লোকজন খুব বেশি থাকে না। এমন সুযোগের অপেক্ষাতেই থাকে দুষ্কৃতীরা। কোনও মহিলাকে একা পেলে তার সঙ্গে অশালীন আচরণ করা হয়। এমন ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সেটাই পুলিশ প্রশাসন নিশ্চিত করতে চাইছে।
একইসঙ্গে, মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে প্রচারও শুরু করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। কোন কোন ক্ষেত্রে মহিলারা পুলিশের সাহায্য চাইতে পারেন, সেই বিষয়ে তাদের ওয়াকিবহাল করা হচ্ছে। পুলিশের এই উদ্যোগকে অধিকাংশ মহিলাই স্বাগত জানিয়েছেন বলে দাবি সংশ্লিষ্ট পক্ষের। লন্ডনের সাবওয়ে দিয়ে যেসব ট্রেন চলাচল করে, সেগুলিতে ইতিমধ্যেই পোস্টারিং করা হয়েছে। কোন ধরনের আচরণকে যৌন হেনস্থা বলে ধরা হবে, সেই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পেশ করা হয়েছে সেখানে।
তবে, একইসঙ্গে পুলিশের এই কর্মসূচি নিয়ে সমালোচনাও শুরু হয়েছে। অনেকের বক্তব্য, বহু মহিলা নতুন নিয়মকে ব্যবহার করে পুরুষ সহযাত্রীদের বিপাকে ফেলার চেষ্টা করবেন। প্রসঙ্গত, করোনার জেরে জারি হওয়া লকডাউন শেষ হওয়ার পর হঠাৎ করেই ব্রিটেনের ট্রেনে, বাসে মহিলাদের যৌন হেনস্থা সংক্রান্ত অভিযোগের সংখ্যা ১৭৫ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে! এই পরিসংখ্যান দেখে চিন্তা বেড়েছে পুলিশ প্রশাসনেরও। তাই সমালোচনা সত্ত্বেও কোনওরকম ঝুঁকি নিতে নারাজ তারা। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।