বাংলাদেশে মুক্তির পর এবার জাপানের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেলো রুবাইয়াত হোসেন পরিচালিত বাংলাদেশি সিনেমা ‘শিমু’। টোকিওসহ হোকাইদো থেকে ওকিনওয়ার ১৫টি প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হচ্ছে সিনেমাটি। জাপানে ‘শিমু’র পরিবেশনা করছে পেন-ডোরা। শনিবার (১৬ এপ্রিল) জাপানে সিনেমাটির উদ্বোধনী শো অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন পরিচালক রুবাইয়াত হোসেন। সিনেমাটির ফেসবুক পেজ শিমু-মেড ইন বাংলাদেশ থেকে এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

রুবাইয়াত হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নে ও আত্মনির্ভরশীলতা অর্জনে পোশাকশিল্পের যে ভূমিকা আছে তার আলোকে দৃঢ়চেতা নারী পোশাক শ্রমিকদের সংগ্রাম ও সাফল্যের চলচ্চিত্র শিমু বা মেইড ইন বাংলাদেশ।’

রুবাইয়াত হোসেনের পাশাপাশি সিনেমাটির মূল কুশলীদের অধিকাংশই নারী। তেমনি জাপানেও সিনেমাটি মুক্তিতে নারীদের ভূমিকা ছিল উল্লেখ করার মতো। জাপানি পরিবেশক পেন-ডোরার প্রধান একজন নারী, পাশাপাশি সিনেমাটির জাপানি সাবটাইটেলও করেছে ওসাকা ওম্যান বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল নারী শিক্ষার্থী।

বাংলাদেশের খনা টকিজ ও ফ্রান্সের লা ফিল্মস দ্য এপ্রেস-মিডির ব্যানারে নির্মিত ‘শিমু’র বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রিকিতা নন্দিনী শিমু, নভেরা রহমান, দীপান্বিতা মার্টিন, পারভীন পারু, মায়াবি মায়া, মোস্তফা মনোয়ার, শতাব্দী ওয়াদুদ, জয়রাজ, মোমেনা চৌধুরী, ওয়াহিদা মল্লিক জলি, সামিনা লুৎফা প্রমুখ। দুটি অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেছেন মিতা চৌধুরী ও ভারতের শাহানা গোস্বামী।

সিনেমাটির প্রযোজক ফ্রসোঁয়া দক্তেমা ও আশিক মোস্তফা এবং সহ-প্রযোজক পিটার হিলডাল, পেদ্রো বোর্হেস, আদনান ইমতিয়াজ আহমেদ ও রুবাইয়াত হোসেন।

২০১৯-এর ডিসেম্বরে ফ্রান্স, ডেনমার্ক, কানাডা ও পর্তুগালের বিভিন্ন সিনেমা হলে বাণিজ্যিকভাবে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ নামে মুক্তি পায় সিনেমাটি। এরপর ২০২০ আমেরিকার বিভিন্ন হলে প্রদর্শনের পর এটি বাণিজ্যিকভাবে দেখানো হয় ম্যাক্সিকো, চীন, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, তুরস্ক ও জার্মানির সিনেমা হলে। আর গত ১১ মার্চ সিনেমাটি বাংলাদেশে মুক্তি পায়। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সমাদৃত ও পুরস্কৃত হয়েছে সিনেমাটি।