পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিরাপত্তাহীনতার অভাবে জুয়াড়ি ও বখাটেদের অভয়াশ্রম পদ্মা উত্তর থানার শিমুলিয়া ঘাট। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তেমন কোন তৎপরতা না থাকায় ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা পড়ছে বিপাকে। স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালু উদ্ধোধনের পর থেকেই শিমুলিয়া ঘাটে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এরপর থেকেই শিমুলিয়া ঘাটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা কমে গেছে। এ সুযোগে ঘাট হয়ে উঠেছে জুয়াড়ি ও বখাটেদের অভয়াশ্রম।
ঘুরতে আসা দর্শনার্থী ও স্থানীয়দের অভিযোগ, পদ্মা সেতু উত্তর থানা পুলিশ, বিআইডবিøউটিএ, নৌ-পুলিশ কেউ মূলত ঘাটের নিরাপত্তার দায়িত্বে নেই। এ কারণে অরক্ষিত অবস্থায় শিমুলিয়া ঘাট। বাড়ছে সব অন্যায় অপকর্ম। স্থানীয়রা জানান, পদ্মা সেতু দেখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ ছুটে আসেন শিমুলিয়া ঘাটে। এখানে রেস্তোরাঁয় ইলিশ ভাজা খেতে আসেন তারা। এখানে হারিকেনের ফিতার সাহায্যে জুয়া খেলা চালায় স্থানীয় বখাটেরা। ঘাটে এসে দর্শনার্থী তরুণেরা জুয়াড়িদের পাল্লায় পড়ে জুয়া শুরু করেন। সর্বশান্ত হয়ে ফিরে যান তারা। কেউ জিতলেও কলাকৌশলে তার টাকা রেখে দেয় জুয়াড়িরা। টাকা না থাকলে মুঠোফোন কিংবা সোনার চেইন হাতিয়ে নেয়া হয়। কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর ও অপদস্ত হতে হয়। গত রোববার সকালে মাদারীপুর থেকে ঘুরতে আসা এক যুবক জুয়া খেলায় তার শখের মোটরসাইকেল খুইয়ে যায় জুয়াড়িদের কাছে।
একই দিন শিমুলিয়া ঘাটের যাত্রী ছাউনিতে স্থানীয় সাংবাদিক মিজানুর রহমান ঝিলু জুয়া খেলার ছবি তুলতে গেলে তার ক্যামেরা কেড়ে নেয় জুয়াড়িরা। ৮-১০ জন জুয়াড়ি দলবদ্ধভাবে তাকে বেধড়ক মারধর করে এবং প্রাণে মেরে তার লাশ পদ্মা নদীতে ফেলার হুমকি দেয়।
ঘাটের বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা জানান, শিমুলিয়া ঘাটে জুয়া খেলা পরিচালনার মূল হোতা সুমন মাদবর ও শামীম মাদবর। সুমন উপজেলার কুমারভোগ গ্রামের মতি মাদবরের ছেলে। আর শামীম একই গ্রামের হাসেম আলী মাদবরের ছেলে। ঘাট যখন সচল ছিল তখন সুমন যাত্রীদের টাকাপয়সা ও মোবাইল ফোন ছিনতাই করত। ট্রাফিক পুলিশ সুমনের কাছ থেকে বেশ কয়েকবার যাত্রীদের ছিনতাই হওয়া টাকাপয়সা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করে।
শিমুলিয়া ঘাটের একজন রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী বলেন, ঘাটের আনাচে-কানাচে মাদকের ব্যবসা হচ্ছে। প্রকাশ্যে জুয়া চলছে। দর্শনার্থীদের হয়রানি করা হচ্ছে। এসব দেখভালের জন্য কোন নিরাপত্তা কর্মী নেই। এমন ভাবে চলতে থাকলে ঘাটে যে কয়জন দর্শনার্থী আসেন তারাও আসা বন্ধ করে দেবেন। এতে পুরোপুরি ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে এ ঘাটের। এ বিষয়ে দ্রæত প্রশাসনের পদক্ষেপ নেয়া দরকার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।