মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইমরান খানকে সরিয়ে দায়িত্ব গ্রহণের পর এবার তীব্র ক্ষমতার দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছে শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন সরকার। আর এর ফলে মঙ্গলবার মন্ত্রিসভা গঠন করার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হতে পারেনি।
ক্ষমতাসীন জোটের সূত্রগুলো জানায়, পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) হলো মুসলিম লিগ (নওয়াজ)-এর পর জোটের সবচেয়ে বড় শরিক। তারা নতুন ব্যবস্থায় অতি গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু পদ লাভের ব্যাপারে অনড় রয়েছে। বিষয়টি সোমবার পিপিপির একটি প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে অবগতও করেছে। সূত্রটি জানিয়েছে, পিপিপির কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলী জারদারি নতুন ব্যবস্থায় প্রেসিডেন্ট, সিনেট চেয়ারম্যান, জাতীয় পরিষদের স্পিকার ও সিনেট নেতার পদগুলো দাবি করেছেন।
সূত্রটি জানায়, আসিফ আলি জারদারি প্রেসিডেন্ট হতে কোনো আগ্রহ দেখাননি। বরং তিনি আগামী নির্বাচনে তার ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারিকে সহায়তা করতে চান। এ কারণে তিনি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পদে তার দলের ফারিয়াল তালপুরকে চাচ্ছেন। আর দলের ইউসুফ রাজা গিলানিকে সিনেট চেয়ারম্যান, সিনেট হাউস নেতা হিসেবে শেরি রহমান এবং জাতীয় পরিষদের স্পিকার হিসেবে নাভিদ কামার বা রাজা পারভেজকে চাচ্ছেন তারা। সূত্র জানায়, পিপিপি জানিয়ে দিয়েছে যে তাদের এই দাবিগুলো মানা হলেই কেবল মন্ত্রিত্ব গ্রহণ করবে বা মন্ত্রিসভার অংশ হবে।
সূত্রটি জানায়, পিপিপি অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি পানি ও বিদ্যুৎ, আইন ও প্রবাসী পাকিস্তান বিষয়ক মন্ত্র্রিত্ব চায়। তবে পিপিপি জানিয়ে দিয়েছে, তাদের দাবি মানা না হলেও তারা নতুন সরকারকে পূর্ণভাবে সমর্থন করবে। তারা নতুন সরকারের প্রতি নিঃশর্ত সমর্থন অব্যাহত রাখবে। সূত্র জানিয়েছে, শাহবাজ বিষয়টি নিয়ে তার বড় ভাই সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সাথে কথা বলেছেন।
এদিকে শাহবাজ শরিফের অধীনে বিলাওয়াল ভুট্টোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়া নিয়েও পিপিপি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। কেউ কেউ মনে করছে, বিলাওয়াল পররাষ্ট্রমন্ত্রী হলে ভবিষ্যতে তার জন্য কল্যাণকর হবে। আন্তর্জাতিক রাজনীতি বোঝা সহজ হবে। আবার কেউ কেউ বলছেন, শাহবাজের অধীনে তিনি মন্ত্রী হলে তার মর্যাদার অবনতি হবে।
এদিকে একটি সূত্র জানায়, বর্তমান প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে তার বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনা হতে পারে। একটি সূত্র প্রেসিডেন্ট পদটি জেইউআই-এফ প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমানকে দিতে বলছে। সূত্র : জিও টিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।